সৌন্দর্যের সেরাম-কথা

পর্যাপ্ত যত্নের অভাবে বা দূষণে আমাদের ত্বক হয়ে পড়ে নিষ্প্রাণ। ত্বকের হারানো জেল্লা ফিরে পেতে সেরামের জুড়ি মেলা ভার। রইল সেরাম-গাইড।

হাসি-খুশি, প্রাণবন্ত ত্বক পাওয়ার জন্য আমরা কত কিছুই না করে থাকি! ত্বকের যত্নে টোনার, ফেসওয়াশ, ময়শ্চারাইজ়ার ব্যবহার আমাদের নিত্য দিনের রুটিন। তবে অনেক ক্ষেত্রেই আমরা সেরামকে লাগজ়ারি প্রডাক্ট ভেবে ব্রাত্য করে রাখি, যা একেবারেই সঠিক নয়। বলিরেখা, শুষ্ক ত্বক, দাগছোপ বা অ্যাকনের সমস্যায় সেরামের কয়েক ফোঁটা কখনও কখনও ম্যাজিকের মতো কাজ করে। তবে অন্যান্য স্কিনকেয়ার প্রডাক্টের মতোই এতেও কিন্তু এক রাতে কাজ হবে না। সেরাম আসলে অত্যন্ত লাইট ওয়েট। অন্যান্য প্রসাধনীর সঙ্গে এর তফাত, ছোট ছোট মলিকিউলস দ্বারা তৈরি হওয়ায় খুব সহজেই ত্বকের ভিতরের স্তরে প্রবেশ করতে পারে। সেরামে খুব বেশি মাত্রায় অ্যাক্টিভ উপাদান থাকে, যেমন হায়লুরনিক অ্যাসিড, ভিটামিন সি, স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ইত্যাদি। এই উপাদানগুলি ত্বকের নির্দিষ্ট সমস্যায় কাজ করে ত্বককে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। কিন্তু যেহেতু এতে অ্যাক্টিভ ইনগ্রেডিয়েন্টের মাত্রা অনেক বেশি হয়, তাই ত্বকের ধরন বুঝে, সঠিক উপাদানযুক্ত সেরাম ব্যবহার করা উচিত। সব ধরনের স্কিনের জন্য যদি একই রকম সেরামের ব্যবহার হয়, তা হলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই সেরামকে রোজকার ত্বক চর্চার অঙ্গ করে তোলার আগে জেনে নিন এর খুঁটিনাটি।

ত্বক বুঝে ব্যবহার...

সাধারণ ত্বকের জন্য: এই ত্বক যেমন খুব বেশি তৈলাক্ত হয় না, তেমন শুষ্কও হয় না। তবে সঠিক যত্নের অভাবে অনেক সময়েই নিষ্প্রাণ হয়ে যায় বা অকালে বার্ধক্যের ছাপ পড়ে। এই ধরনের ত্বকে ভিটামিন সি ও রেটিনল সমৃদ্ধ সেরাম ব্যবহার করতে পারেন।