স ত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত আলাপ ১৯৭৮’৭৯ সাল থেকে। লাইব্রেরি সায়েন্সের ছাত্র হিসেবে বিবলিওগ্রাফি প্রোজেক্টের প্র্যাক্টিক্যাল বিষয়ের ক্ষেত্রে আমি বেছে নিয়েছিলাম ‘সত্যজিৎ রায়।' অর্থাৎ সত্যজিৎ রায়ের যাবতীয় কাজের একটি তথ্যপঞ্জি তৈরি করা। সেই কাজের সূত্রেই তাঁর সঙ্গে আমার আলাপ। পরে ১৯৮১ সালে একটি চিঠির মারফত সেই আলাপ গাঢ় হয় ।
বাড়িতে যাতায়াত বাড়ে। ততদিনে আমার কাজ সম্বন্ধে কিঞ্চিৎ ওয়াকিবহাল হয়েছেন। নানা বিষয়ে কথা হয়। পুরনো কিছু পেলে দেখাই। কখন প্রশ্ন থাকলে জিজ্ঞেস করে নিই। নিজে থেকেও মাঝেমধ্যে খোঁজখবর নেন।
আমৃত্যু সেই সম্পর্ক অটুট ছিল। তাঁর সঙ্গে দেখা করার সময় বা শ্যুটিং দেখতে গিয়ে নানান অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছি। সেই সব অভিজ্ঞতা থেকে কয়েকটি ঘটনার কথা এখানে জানাই। আমার মনে হয় সত্যজিৎ রায়কে জানতে, তাঁকে বুঝতে এই ঘটনাগুলি পাঠকের ভালো লাগতে পারে। ১৯৮১ তে সন্দেশ পত্রিকায় দুই কিস্তিতে প্রকাশ পেয়েছিল তাঁর অসাধারণ স্মৃতিকথা ‘যখন ছোট ছিলাম'। পরের বছর পয়লা বৈশাখে সেই আত্মকথা বই হয়ে বেরোয়।
বই হওয়ার আগেই পার্থ বসুর কাছে শুনতাম, বইয়ের সঙ্গে দু'টি অত্যাশ্চর্য জিনিস থাকবে। তার একটি হচ্ছে রায় পরিবারের বংশলতিকা। যেটি নির্ভুল করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল পার্থদাকে। তিনি রায় পরিবারের বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছে গিয়ে, তাঁদের প্রশ্ন করে কাজটি সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করছিলেন।
আর দ্বিতীয়টি হল তাঁর নামকরণ দলিল। ব্রাহ্মসমাজভুক্ত পরিবারে প্রচলিত নিয়মে শিশুর নামকরণ অনুষ্ঠানের দলিল রাখা হয়। সেই দলিলের প্রতিলিপি যোগ হবে ‘যখন ছোট ছিলাম' বইতে।
বই বেরনোর পর সেই নামকরণ দলিল দেখে যুগপৎ বিস্মিত ও মুগ্ধ। এ জিনিস আগে কখনও দেখিনি। দলিলে সাক্ষী হিসেবে চার স্বাক্ষরকারীর নামের মধ্যে অনুষ্ঠানের আচার্য ছাড়াও সই রয়েছে বাংলার প্রথম মহিলা ডাক্তার কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়ের। পরে তাঁর মুখেই শুনেছিলাম, তিনি জন্মেছিলেন কাদম্বিনীর হাতেই।
Diese Geschichte stammt aus der May 2024-Ausgabe von Sukhi Grihakon.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent ? Anmelden
Diese Geschichte stammt aus der May 2024-Ausgabe von Sukhi Grihakon.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent? Anmelden
মাণ্ডবী নদী ও দুধসাগর
ভারতীয় সংস্কৃতিতে নদীকে ভগবান হিসেবে পূজা করা হয়। নদীর তীরে গড়ে ওঠে সভ্যতা, তাই বোধহয় এই রীতি। লিখেছেন পূর্বা সেনগুপ্ত।
কাছেপিঠে
সপ্তাহান্তের ছোট্ট ছুটিতে যাওয়ার মতো পাঁচটি গন্তব্যের খবর দিলেন তাপস কাঁড়ার।
মেলার টানে
বৈচিত্র্যময় দশটি মেলার সন্ধান দিচ্ছেন অরিন্দম ঘোষ৷
শীতের রূপকথা
শীত মানেই পিকনিক, পিঠে পরব। গ্রীষ্মপ্রধান দেশে এক মায়াবী রূপকথা। লিখছেন অনিরুদ্ধ সরকার।
সীমানা পেরিয়ে
সীমানা পেরিয়ে\" বইটি ঘিরে অর্ক ও রজতের গল্প একদিকে স্মৃতির মধুর পরশ, অন্যদিকে ক্ষতির মর্মব্যথা নিয়ে এক অনন্য রূপ নিয়েছে। বইটি শুধুমাত্র একটি উপন্যাস নয়, এটি অর্কর শৈশব থেকে কৈশোর, বন্ধুতা, এবং জীবনের গভীর অনুভূতির প্রতীক। বইটি হারানোর বেদনাকে কেন্দ্র করে দুই বন্ধুর সম্পর্কের জটিলতা ও স্মৃতিচারণার মধুর দোলাচল সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। এটি পাঠককে জীবনের ক্ষণস্থায়ীত্ব এবং অতীতের মায়ার গভীরতায় ডুবিয়ে দেয়।
শেফের রেসিপি
শীতের সময়ে ঘরে তৈরি পুরভরা পরোটা খাওয়ার মজাই আলাদা। আলু বা কপির পুর দিয়ে তৈরি এই পরোটা, গরম গরম খেলে উপভোগ করা যায় একদম আলাদা। আলু পরোটা ও কপির পরোটা, দুইটি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং সুস্বাদু বিকল্প, যা ঘিয়ে ভেজে কিংবা তন্দুরে সেঁকে পরিবেশন করা হয়। এই পরোটা সিজনের সেরা রেসিপি যা শীতকালীন খাবারের স্বাদ আরো বিশেষ করে তোলে।
‘সিনেমার হিরো হওয়ার জন্য ১২ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে'
বছরের শুরুতে সোজাসাপ্টা নানা প্রশ্নের উত্তর দিলেন চট্টোপাধ্যায়। অভিনেতা বিক্রম লিখছেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য।
কলকাতার রোল আর বিরিয়ানি সব খেতাম!
একসময়ে কব্জি ডুবিয়ে খেতেন বাংলা তথা হিন্দি ছবির প্রবীণ এবং জনপ্রিয় অভিনেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এখন অবশ্য মেপেজুপে খাওয়া। সাক্ষাৎকারে দেবারতি ভট্টাচার্য।
‘যা বলতে চাই’
কারও অভিনয় জীবন দীর্ঘ, কারও বা সবে শুরু। কেউ আবার ক্যামেরার পিছনে কাজ করতেই বেশি ভালোবাসেন। ইন্ডাস্ট্রির অভিজ্ঞতা, ভালোলাগামন্দলাগা, চাওয়া-পাওয়া মন খুলে জানাচ্ছেন তাঁরা। এবার কলম ধরলেন অনুরাধা রায়।
ফেলু বক্সী
টলিউডে বিভিন্ন ধরনের ছবি নির্মিত হচ্ছে, তার মধ্যে একটি ছবি ফেলু বক্সীর বিষয়ে কথা বলছেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য।