ক লকাতা শহরে এমন একখানা বাড়ি দেখে থমকে গেলেন মিহির সেন। বিজয়গড় এলাকায় এতখানি জায়গা নিয়ে এমন চমৎকার বাড়ি? তিনি বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গিয়েছেন দেখে তপন পাল হেসে বলল, ‘আপনার বাক্যি হরে গেল যে? কিছু বলুন। এই নিয়ে দশখানা বাড়ি দেখালাম। এই বাড়িও যদি মনে না ধরে, আপনাকে অন্য ব্রোকার ধরতে হবে। তবে যার কাছেই যান না কেন, আমি চ্যালেঞ্জ দিতে পারি, আমার মতো এত ভালো ভালো বাড়ির সন্ধান আর কেউ দিতে পারবে না। মিহির সেন লম্বা শ্বাস নিয়ে বললেন, ‘অপূর্ব সুন্দর। ভিতরে যাওয়া যায়?' ‘কেন যাবে না? পিছনেই কেয়ারটেকার থাকে। আপনি এক মিনিট দাঁড়ান।' বাড়ির মালিকের নাম মোহিত মল্লিক। পাঁচ বছর হল তিনি পরপারে গিয়েছেন। একমাত্র ছেলে জার্মানিতে থাকে। ওদেশের নাগরিকত্ব নিয়েছে, তাই বাড়ি আর রাখতে চায় না। কাঠা দশেক জমি তো নিশ্চয়। তপন পাল বলেছে বারো কাঠা। সাধারণত এরা খানিক বাড়িয়ে বলে। সামনে অনেকটা বড় বাগান। সুন্দর করে সাজানো ফুল ও পাতাবাহার। বাড়িটা ফুট তিনেক উঁচু ভিতে। ইটের রং করা।
মাঝে মাঝে সাদা রঙের ছোঁয়া মনোরম। সামনে ছোট বারান্দায় লতানো গাছে থোকা থোকা লাল ফুল। মূল বাড়ি একতলাই বলা চলে। তবে ছাতে একটি কাচের ঘর চোখে পড়ছে। সেই ঘরের সামনে খোলা ছাত। সামনের বাগান যেখানে শেষ, সেখান থেকে বড় বড় গাছের সারি বাড়ির পিছন দিক পর্যন্ত চলে গিয়েছে। ফলে, বাড়িটিতে রোদ্দুর ও ছায়াময়তা দুইই আছে। তপন পাল বাড়ির কেয়ারটেকারকে সঙ্গে নিয়ে এসেছে। বাড়ির মতো তারও বিশেষত্ব আছে। মিহির সেন জীবনে বহু মানুষ দেখেছেন। সেই অভিজ্ঞতা তাঁকে গভীর বোধ ও দৃষ্টি দান করেছে। তাঁর মনে হল এই লোকটি বিশ্বস্ত ও দায়িত্বজ্ঞান সম্পন্ন। সে দু'হাত জোড় করে কপালে ঠেকিয়ে বলল, ‘নমস্কার বাবা
তপন পাল বলল, ‘ও হল কালন সর্দার।' মিহির সেন প্রতিনমস্কার করলেন। সরাসরি বললেন, ‘বাড়ির ভিতরে বাইরে ঘুরে দেখা যাবে তো?' ‘হ্যাঁ বাবু। চলুন আমি দেখিয়ে দিচ্ছি।' মিহির সেন বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক কালন সর্দারের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে বাড়ি দেখলেন। তপন পাল ক্রমাগত কথা বলে চলেছে। ধারাবাহিকভাবে ফোন আসছে তার। দু'টি ফোনের মধ্যে
Diese Geschichte stammt aus der May 2024-Ausgabe von Sukhi Grihakon.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent ? Anmelden
Diese Geschichte stammt aus der May 2024-Ausgabe von Sukhi Grihakon.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent? Anmelden
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।