ক্রান্তিকালের অভিজ্ঞতালব্ধ লেখকসত্তা

- প্রচ্ছদ কাহিনিগুলিতে (সমরেশ বসু, ২ ডিসেম্বর ২০২৪) সংক্ষিপ্ত পরিসরের আলোচনা থেকে সমরেশ বসুর সামগ্রিক জীবনের সঙ্গে সাহিত্যকর্মের নিবিড় গভীর, আন্তরিক এবং অকপট সম্পর্ক অনুভব করা যায়। বেশ বোঝা যাচ্ছে, কেন এই সাহিত্যকর্মের বিশ্লেষণ ও বিচার আজও গবেষণার বিষয়। এই গবেষণার মুখ্য বিষয় হওয়া উচিত রক্তমাংসের লেখকের বস্তুনিষ্ঠ সাহিত্যকর্মে বস্তুনিষ্ঠ অনুভব ও দর্শন। এই গবেষণা থেকেই সম্যক উপলব্ধি হবে আজকের সাহিত্যকর্মের দুর্বলতা কোথায়, কী তার উদ্দেশ্য হওয়া দরকার, অথবা তার গন্তব্য পথ কেমন হতে পারে।
সমরেশ বসুর কথাসাহিত্যে তাঁর জীবন ও জীবিকা সম্পৃক্ত হয়ে গেছে, নেশা ও পেশা একাকার হয়ে গেছে। স্বাধীনতা, ভারত ভাগ, বাংলা ভাগ, কমিউনিজমের বিভাজন সর্বোপরি স্বীয় ব্যক্তিত্ব ভাগের সঙ্গে জড়িত তাঁর ক্রান্তিকালের অভিজ্ঞতালব্ধ লেখনী। তাঁর লেখকসত্তার অভিনবত্ব অবাক করে। সমরেশ বসু লেখকোচিত বিনয়ের সঙ্গে আক্ষেপ করেছেন, ‘জীবনে কিছুই হল না। তারাশঙ্করের মতো একটা লাইনও লিখতে পারলাম না।' কোনও তুলনা নয়, রাঢ় বাংলাকে বুঝতে যেমন তারাশঙ্কর-রচনা পড়তেই হবে, তেমনই দুই অখণ্ড ও খণ্ডিত বাংলাকে বুঝতে গেলে সমরেশ-রচনা পড়তেই হবে।
This story is from the December 17, 2024 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In


This story is from the December 17, 2024 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In

আজও সমকালীন
নাটকের সংলাপে আবেগনির্ভর দীর্ঘ স্বগতোক্তি, এলিজাবেথীয় যুগের ইংরেজি নাটকের সংলাপ মনে পড়িয়ে দেয়। প্রকৃতির প্রতিশোধ-এ নাটক রচনায় রবীন্দ্রনাথের ভাবনা আরও স্পষ্ট চেহারা নেয় রাজা ও রাণী ও বিসর্জন নাটকে। এর পরে তিনি যখন মালিনী লেখেন তখন তাঁর নাটকে শেক্সপিয়রের একটা প্রচ্ছন্ন প্রভাব দেখা যায়।

গভীর সত্যের সংলাপ
রক্তকরবী নিয়ে লিখতে বসে একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে প্রথমে কেন এই গল্পটাই মনে এল, আপনারা নিশ্চয়ই তা আন্দাজ করতে পারছেন। দর্শক বা পাঠক যে পরিবেশে আছেন, যে কোনও মহৎ নাটকের মতো রক্তকরবী-ও সেই পরিবেশটা ছেঁকে নিয়ে সেই মতো মানে তৈরি করতে পারে।

আত্মপ্রতারক
ছেলেবেলার দুঃসহ অভিজ্ঞতা আমাকে গড়ে তুলেছিল সংযমী, আত্মনিয়ন্ত্রণে দক্ষ এক মানুষে—যে নিজেকে চরিত্রবান রাখতে শিখেছে সব লোভ ও মোহের ঊর্ধ্বে। কিন্তু সেই সংযমের আড়ালেই চাপা ছিল এক আনচান করা আকাঙ্ক্ষা, যা আমাকে একসঙ্গে গর্বিত ও অপরাধবোধে জর্জরিত করেছে।

অবতরণের রাজনীতি
কোম্পানি যখন ইলন মাস্কের, প্রশাসনে যখন ট্রাম্প, তখন বিষয়টি কেবলমাত্র মহাকাশ গবেষণায় সীমাবদ্ধ থাকে না।

এক প্রতিবাদী-স্বপ্নের মাস্তুল
বাংলায় একবিংশ শতকের প্রথম দশকেও ছিল নানা অস্থিরতা। বাম শাসনের শেষ পর্ব এবং দরজায় অপেক্ষমাণ অধীর বিরোধীরা। রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও অভিযোগের উত্তর-প্রত্যুত্তরে বাতাস ভারী। রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে, দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষের জন্য।

জানালায় পৃথিবী
অবশেষে পৃথিবীতে ফিরলেন সুনীতা উইলিয়ামস ও তাঁর সহযোগী। মহাকাশ অভিযানও স্পর্শ করল এক ইতিহাস।

ধূমায়িত চায়ের কাপ
হেমন্তের কুয়াশায় চা-কাপ হাতে দামিনী, উষ্ণ স্মৃতি আর শীতল বাস্তবের মাঝে ঝিমিয়ে থাকা দুই নারী। চায়ের ধোঁয়ায় ভেসে ওঠে অগোচরে জমে থাকা কথা, চাওয়া-পাওয়ার হিসেব, আর জীবনের অদেখা কষ্ট।

যক্ষপুরী-নন্দিনী-রক্তকরবী
রবীন্দ্রনাথের ‘রক্তকরবী’ নাটকের রয়েছে বহু পাঠান্তর ও স্তরভিত্তিক রূপান্তর, যা তাঁর সৃষ্টিশীল গভীরতার সাক্ষ্য। নাটকটি শুধুই নাট্য নয়—এ এক দীর্ঘ ভাবনার যাত্রা, যেখানে যক্ষপুরী, নন্দিনী থেকে রক্তকরবী হয়ে উঠেছে মানবতার প্রতীক।

অতলস্পর্শ
নেড়ুদা আমার অভিভাবক, গাইড, আর অস্ত্র—চন্দননগরের ছায়াসঙ্গী। আমি বাপ্পি, যুদ্ধে জন্মানো, বিশ্বাসে গড়া এক অনাথ সৈনিক।

অভিব্যক্তির স্বাতন্ত্র ও নব আঙ্গিক
আলোচ্য প্রদর্শনীতে তিনজন শিল্পীর কাজে সাম্প্রতিক শিল্পআবহের একটি স্পষ্ট আভাস প্রকাশিত হয়।