সুন্দর সে দেশ

রোম-ফ্লোরেন্সভেনিস ঘুরে এলেন তিনি। আর বুঝলেন সেই দেশে সব সুন্দর। তবে পদ্মের মধ্যে পোকাও আছে। পোকাটা কী? ইতালি ঘুরে এসে সেটাই বললেন অনন্যা চট্টোপাধ্যায়

কেন যেন মনে হয় একা ঘোরার মধ্যে একটা | স্বাধীনতা আছে, নিজস্বতা আছে। তাই একাই চলে গেলাম ইতালি। আমার কোনও গাইডও ছিল না। আমার মনে হয় গাইড থাকলে সে শুধু চেনা জায়গাগুলোতে ঘোরাবে, নিজের মতো করে ঘোরার স্বাধীনতা থাকবে না, নতুন জায়গা আবিষ্কার করা যাবে না। তাই জিপিএস ভরসা করে আমি হেঁটেহেঁটে অনেক জায়গা দেখেছি। ইউরোপ আমার পছন্দের, তাই তো আমেরিকার ভিসা থাকা সত্ত্বেও নতুন করে ইতালির ভিসা করালাম। তবে আমার প্রথম পছন্দ ছিল স্ক্যান্ডেনেভিয়া। ঠান্ডার কথা ভেবে পিছিয়ে গেলাম। ফ্রান্স ঘোরা ছিল। স্পেন-পর্তুগালের ভিসা পাওয়া যাচ্ছে না, তাই ইতালি গেলাম। আমার ১৬ দিনের টুরের মধ্যে রোম, ফ্লোরেন্স, মিলান, ভেনিস, বেলাজিয়ো ছিল। সাদার্ন ইতালি পরেরবার যাব। এখান থেকে দোহা হয়ে গিয়েছি। কলকাতা থেকে দোহা যেতে সাড়ে ছ'ঘণ্টা লাগে, ওখানে এক ঘণ্টা হল্ট দিয়ে সাড়ে ছ'ঘণ্টায় রোমে পৌঁছয়। পাঁচ রাত ছিলাম। তাও মনে হচ্ছে কিছুই দেখতে পেলাম না। কলোসিয়াম, রোমান ফোরাম, সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা, প্যান্থেয়ন, ট্রেভি ফাউন্টেন দেখেছি। এগুলি কেমন, তা ইন্টারনেটের দৌলতে সকলেই জেনে গিয়েছেন। তবে আমি রোমে একটা নতুন জিনিস আবিষ্কার করলাম। কবি কিস শেষ বয়সটা রোমেই কাটিয়েছেন। টিবির

চিকিৎসার জন্য রোমে এসে ওখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। উনি যে বাড়িটায় ছিলেন, সেটি এখন মিউজ়িয়ম হয়ে গিয়েছে। কিটসের ব্যবহৃত জিনিস সব রাখা আছে। আমি তো জাস্ট পাগল হয়ে গিয়েছি দেখে। শেলি আর কিটসের সমাধিও দেখলাম। আরও একটা জিনিস দেখলাম। ভারতের মতো ওখানেও সকলে রাস্তা নোংরা করে। বিয়ার খেয়ে ক্যানটা রাস্তাতেই ফেলে দেয়। কিন্তু পার্থক্যটা হল, পরক্ষণেই কেউ এসে সেটা তুলে ডাস্টবিনে ফেলে দেয়, যেটা আমাদের এখানে হয় না। একদিন ভ্যাটিকান গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল কী