রিকশাচালকের ছোট বাড়িতে বসে সত্যিকােবর ভালবাসা টের পেয়েছিলাম :সোহম মজুমদার

প্রথম বলিউডি ছবিতে নায়কের বন্ধুর চরিত্র করেও তিনি চর্চিত। এরপর বাংলা-হিন্দি মিলিয়ে একাধিক ছবি করার পর মুক্তি পেল ‘দিলখুশ’। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সোহম মজুমদারের সঙ্গে আড্ডায় আসিফ সালাম

ডন বসকো পার্ক সার্কাস-এর ছাত্র, ব্যারাকপুরে থাকতেন। সেখান থেকে মুম্বই অবধি জার্নিটা কেমন ছিল? আমি প্রথমে কলকাতাতেই থিয়েটার করতাম। স্কুলে পড়ার সময়ে আমার ইংরেজির শিক্ষক অনুপম বন্দ্যোপাধ্যায় নাটক করতে উৎসাহ দিতেন। উনি নিজেও নাটক লিখতেন। আমি কিন্তু শুরুতে গান গাইতাম। তাই কখনও স্টেজ ফ্রাইট ছিল না। বাড়ির অনুষ্ঠানেও আমি আর মামা মিলে নাচ-গানের প্রস্তুতি নিতাম। তারপর ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট-এ ভর্তি হলাম। খুব খারাপ সিদ্ধান্ত ছিল ওটা (হাসি)। ওই সময়ে আমার স্কুলের দুই বন্ধুর (সৌম্য ও সৌমেন্দ্র) সঙ্গে মিলে ঠিক করি, নাটক নিয়েই এগোব। এভাবেই থিয়েটার গ্রুপ ম্যাড অ্যাবাউট ড্রামা তৈরি করি। বেশ নাম করতে শুরু করি। টেস জোসেফের মতো কাস্টিং ডিরেক্টর আমাদের যোগাযোগ করতেন। মানে, থিয়েটারের পাশাপাশি নানা ওয়র্কশপ করতাম আমরা, অন্যদের কাস্টিংয়ে সাহায্য করতাম। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় পারফর্ম করতে যেতাম। পৃথ্বী থিয়েটার-এ পারফর্ম করতে গিয়ে চোখ খুলে যায়। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের থার্ড ইয়ারের শেষে ইন্টার্নশিপ করতে হত। ইন্টার্নশিপ শেষ করেছিলাম ঠিকই, কিন্তু স্টেজে পা দেওয়ার পরেই বুঝেছিলাম, অভিনয়টাই আমার জীবন! ২০১৮-তে মুম্বইতে একটি মিউজ়িক্যাল ‘আলাদিন’ করতে গিয়েছিলাম। তখনই একটি ফোন পাই, ‘কবীর সিংহ’এর অডিশনের জন্য। বাকিটা তো আপনাদের জানা।

কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দৃষ্টিকোণ’ও কি ওই সময়েই হয়? উজান গঙ্গোপাধ্যায়কে (কৌশিকের পুত্র) আমি একটি নাটকে পরিচালনা করেছিলাম। কৌশিকস্যরও এসেছিলেন নাটক দেখতে। আমি একটা ছোট্ট চরিত্রে ছিলাম। সেই সময় খুব মোটা ছিলাম, ৯০ কেজির উপর ওজন ছিল। কিন্তু উনি মনে করেছিলেন আমি অভিনেতা হতে পারব। কিছুদিন পরে উজানের জন্মদিনের পার্টিতে কৌশিকস্যর আমাকে একটি ছবির অফার দেন। দু'মাস পরে ‘দৃষ্টিকোণ’ করি।