আমি কাউকে মুখের উপর ‘না’ বলতে পারি না: মমতা শঙ্কর

‘পালান’ ছবিতে মমতা শঙ্কর ফিরে পেলেন ‘খারিজ'এর স্মৃতি। আজকালকার দুনিয়ায় নিজেকে একটু বেমানান মনে করেন তিনি। নতুন প্রজন্মের ভাষা বুঝতে পারেন না। এই সব নিয়ে মন খুলে কথা বললেন অংশুমিত্রা দত্ত-র সঙ্গে।

‘পালান'-এ অভিনয় করার সময় কি ‘খারিজ’-এর স্মৃতি ঘিরে ধরছিল বারবার? তা তো বটেই। আমি, শ্রীলা, অঞ্জন, যারা ‘খারিজ’-এ কাজ করেছি, তাদের তো মনে পড়াটা খুব স্বাভাবিক। ‘খারিজ’-এর আগে মৃণালদা আমার প্রতি অভিমান করেছিলেন। যখন ‘একদিন প্রতিদিন’ বানাচ্ছিলেন, তখন শ্রীলার রোলটা আমাকে করতে বলেছিলেন। তখন আমার বড় ছেলে সদ্য হয়েছে। মৃণালদাকে বললাম, এতক্ষণ ছেলেকে ছেড়ে থাকতে আমি পারব না। ছোট কোনও রোল থাকলে করে দেব। তখন শ্রীলার রোলটা আমাকে দিলেন, আমার রোলটা শ্রীলাকে। কিন্তু দুঃখ পেয়েছিলেন বেশ। ‘আকালের সন্ধানে’-তে স্মিতার চরিত্রটাও আমার করার কথা ছিল, করতে পারিনি।

কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিচালনার সঙ্গে আপনার পছন্দের পরিচালকদের মিল পান? কৌশিকের প্রথম ছবি ‘ওয়ারিশ’-এ আমি একটা ছোট রোল করেছিলাম। তারপর একটা সিরিয়ালও করেছি ওর সঙ্গে। আমার মনে হয়, ঋতুকে নিয়ে ‘আরেকটি প্রেমের গল্প’ ছবিটা করার পর ও অনেক পরিণত হয়েছে। ‘পালান’ করার সময় ওর ওই ম্যাচিয়োরিটিটা লক্ষ করলাম।

আচ্ছা, বাণিজ্যিক ছবি এবং সমান্তরাল ছবির পার্থক্য কি মুছে যাচ্ছে? এত বছরের অভিজ্ঞতায় কী মনে হয়? আগে একদিকে যেমন অসিত সেন বাণিজ্যিক ছবি তৈরি করছেন, ঋত্বিক ঘটক সমান্তরাল ছবি বানাচ্ছেন। সেটা এখন একেবারে শেষ হয়ে গিয়েছে। সকলে মধ্যপন্থা অবলম্বন করছেন। খারাপ এবং ভালর মধ্যে পার্থক্যটা মুছে যাচ্ছে। বাণিজ্যিক এবং সমান্তরাল তো মুছে যাবেই।