আমি নিজেই ‘কাবুলিওয়ালা', সিনেমার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াই:সুমন ঘোষ

তিনি অর্থনীতির অধ্যাপক। সিনেমা মাধ্যমটা ভালাবাসা থেকে এখন পেশা হয়েছে। সুমন ঘোষ বললেন তাঁর সিনেমা নিয়ে ভাবনাচিন্তার কথা। শুনলেন সায়ক বসু।

অর্থনীতির জনপ্রিয় অধ্যাপক যখন বাংলা সিনেমার নান্দনিক দিক নিয়ে স্বপ্ন দেখেন, বড় স্কেলে ভাবেন, তখন কোনও সংঘাত হয় কি? অন্তত বাংলা সিনেমার সাম্প্রতিক অবস্থার কথা ভেবে...

না। তেমনটা হয় না। তবে হ্যাঁ, বাংলা সিনেমা ব্যবসাগত দিক থেকে একটা খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে চলছে, সেটা নিয়ে চিন্তা তো হয়ই। সংখ্যার দিক থেকে বাংলা ছবি কমে যাচ্ছে, তাছাড়া দক্ষিণী ছবির এই যে রমরমা, তার মোকাবিলা করতে বাংলা সিনেমার একটা পর্যালোচনা দরকার। ব্যবসার কথাটা আপনি খুব ভাল বলেছেন, কারণ এই যে এখন ১০-১২ দিনে একটা বাংলা সিনেমার শুটিং হয়, প্রি প্রোডাকশনের সময় নেই... এটা এই ব্যবসারই একটা ফল। সিনেমা থেকে ব্যবসা ভাল হলে এই প্রবণতাও কমে যাবে।

সেক্ষেত্রে আপনার নতুন ছবি ‘কাবুলিওয়ালা’ যে শাহরুখরাজকুমারের ‘ডানকি', প্রভাসের ‘সালার' এবং দেবের ‘প্রধান’-এর সঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে, এটাকে কীভাবে দেখেন? খারাপভাবে দেখার কিছু নেই। দেখুন, ছবি কখন মুক্তি পাবে, সেটা প্রযোজকরা ঠিক করেন। তবে আমার ভেবে ভাল লাগছে যে, প্রথমে মুক্তির তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার কথা হলেও, পরে তাঁরা ভেবেছেন এই দিনেই মুক্তি দেবেন। কনটেন্টের প্রতি ভরসা না থাকলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। পাশাপাশি এটাও ঠিক যে, বছরের একটা দীর্ঘ সময় পড়ে থাকে, যখন কোনও ছবি মুক্তি পায় না। শিবপ্রসাদ-নন্দিতাই তো দেখিয়ে দিয়েছেন যে, গ্রীষ্মকালে ছবি মুক্তি দিয়ে কীভাবে হিট করানো যায়। এখানেও সব প্রযোজকদের সেইভাবেই আলোচনা করতে হবে, কীভাবে নিজেদের ছবি দর্শককে দেখানো যায়।