দেওল সাম্রাজ্য

বলিউডে একদিকে যেরকম শোনা যায় তিন খান, কপূর পরিবার, বচ্চন পরিবার-এর আধিপত্যর কথা, তার সঙ্গে রয়েছে দেওল পরিবারও। গত বছর ধর্মেন্দ্র, সানি ও ববি দেওল...পরিবারের সকলেই কিন্তু দারুণ সফল। এবং তার পিছনে রয়েছে অনেক গল্প। লিখছেন আসিফ সালাম

ক "থায় বলে পুরনো চাল | ভাতে বাড়ে... আগের বছর দেওল পরিবার তা প্রমাণ করে দিয়েছে। ‘অ্যানিমাল’, ‘গদর ২’, ‘রকি অউর রানি কী প্রেম কহানী’... তিনটে ছবিই কিন্তু বলিউডকে বিশাল অঙ্কের ব্যবসা দিয়েছে। আর এই তিনটে ছবিতেই প্রত্যাবর্তন ঘটেছে তিন দেওলের। ধর্মেন্দ্র, সানি ও ববি দেওলের সম্মিলিত মার্কেট ভ্যালু এখন তুঙ্গে। ‘গদর ২’-এর গ্লোবাল গ্রস কালেকশন ৬৯১ কোটি টাকার উপরে। ছবির বাজেট ছিল ৬০ কোটি টাকা মতো। ‘অ্যানিমাল’ এখনও অবধি সারা বিশ্বে আয় করেছে ৮৩৫ কোটি টাকা। আর ‘রকি অউর রানি কী প্রেম কহানী’র গ্লোবাল বক্স অফিসের অঙ্ক ৩৪০ কোটি টাকা (১৬০ কোটির বাজেট)। শুধু ব্যবসায়িক অঙ্কে নয়। বরং, তিন ছবিতে তিন দেওলের পারফরম্যান্সের চর্চা বাকিদের ছাপিয়ে গিয়েছে।

কোন ফর্মুলায় কামব্যাক ‘তারকা’ সানির? ‘গদর ২’ সানি দেওলকে তারকা হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছে শুধু, তেমনটা নয়। বরং, এখনকার প্রজন্মের কাছেও গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে। আটের দশকের যে সুপারস্টার সানি দেওলকে নিয়ে দর্শকরা মাতামাতি করতেন, এখনকার তরুণদের কাছে সানির সেই স্টারডমের ব্যাপারটি অজানা ছিল। তা ফিরিয়ে দিল ‘গদর ২’। এক সাক্ষাৎকারে সানি জানিয়েছিলেন, “ইনস্টাগ্রামে এখন যাঁরা আমায় ফলো করেন, তাঁদের গড় বয়স ১২-২৪ বছর। এঁরা কেন আমায় ফলো করছেন, বুঝতেই পারছিলাম না!” হয়তো এই ফ্যান ফলোয়ারদের অনেকেই ‘গদর’ দেখেনইনি। কিন্তু তাঁরাও যে সানির ক্যারিশমায় মজেছেন, তা

আর আলাদা করে বলে দিতে হবে না। কিন্তু কেরিয়ারের এই দ্বিতীয় ইনিংসে কেন সাফল্য পেলেন সানি? কী-ই বা এই সাফল্যের তাৎপর্য? প্রথমত, আট বা নয়ের দশকের বলিউড যে তারকাতন্ত্র দেখতে অভ্যস্ত ছিল, অনেকটাই স্তিমিত হয়ে পড়েছে গত পাঁচ-সাত বছরে। অনেকেই বলেন, ওটিটি-র দৌলতে এখন সকলের বাড়ির ড্রয়িং রুমে পৌঁছে যাচ্ছেন তারকারা। আবার ওটিটি-কেন্দ্রিক যে অরিজিন্যাল কনটেন্টগুলো আসছে, তাতে তারকার গুরুত্ব কম, চরিত্রের গুরুত্ব বেশি। ফলে, সিনেমা হলে তারকাকে নিয়ে বা বাণিজ্যিক ছবি নিয়ে যে উন্মাদনা, ব্লকবাস্টার বা হাউজ়ফুলের যে উত্তেজনা...