যীশু-নীলাঞ্জনার বিচ্ছেদ

শেষ হচ্ছে ২০ বছরের বিবাহিত জীবন? যীশু সেনগুপ্ত কি তাঁর ম্যানেজারের প্রেমে পড়ে বাড়ি ছেড়েছেন? কেন হাসপাতালে গেলেন নীলাঞ্জনা? কী বললেন তিনি এই বিষয়ে? সমগ্র বিষয় খতিয়ে দেখল আনন্দলোক

আমার শরীর খুব একটা ভাল নেই। হাসপাতাল থেকে ফেরার পর ডাক্তার “আ আমাকে টানা বিশ্রাম নিতে বলেছেন। এখন শরীরই আমার প্রায়োরিটি। তাছাড়া আপনি তো জানেন, মাম্মি চলে যাওয়ার পর থেকে বাবার শরীরও খুব একটা ভাল নেই। আমি একা সামলাতে পারছিলাম না। তাই মুম্বই থেকে আমার বোন চন্দনা এসে এখন এই কলকাতার (লেক গার্ডেন্স) বাড়িতে আছে।

সঙ্গে সারা জারা তো আছেই। সত্যি বলতে কী, ওরা তিনজনই আমাকে এবং বাবাকে দেখাশোনা করছে...” সপ্তাহখানেক আগে নীলাঞ্জনা (এখন আর সেনগুপ্ত পদবি ব্যবহার করছেন না) এই কথাগুলোই ফোনে বলেছেন। সত্যি কথা বলতে কী, গুজবের যে ‘ঝড়' হঠাৎ করে যীশুনীলাঞ্জনার জীবনে আছড়ে পড়েছে, তাতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়া স্বাভাবিক, যদি তাতে এতটুকু সত্যতা থাকে। এবং নীলাঞ্জনার গলা ফোনের অন্য প্রান্ত থেকে শুনেও বুঝতে অসুবিধে হয়নি, খবরে সত্যতা আছে। কারণ তাঁর গলা কেঁপে যাচ্ছিল বারবার। গলা মোলায়েম, স্বাভাবিক এবং হাসি-হাসি রাখার চেষ্টার মাঝেও প্রকট হচ্ছে, কান্না চাপার আপ্রাণ চেষ্টা। এই কিছুদিন আগেই তো নিজেদের কুড়ি বছরের বিবাহিত জীবন ধুমধাম করে পালন করেছিলেন নীলাঞ্জনা এবং যীশু সেনগুপ্ত! সেখানে হঠাৎ করে যদি যীশু সেনগুপ্তকে লেক গার্ডেন্সের বাড়ি ছাড়তে হয়, নীলাঞ্জনাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়, তা হলে তো বিভিন্ন ধরনের কথা রটবেই। সন্দেহটা আরও বাড়ে যখন হাসপাতাল থেকে ফিরে এসে নীলাঞ্জনা ইনস্টাগ্রামে লেখেন, একের পর এক বাধা, একের পর এক ধাক্কা ও প্রতিকূলতায় তিনি বিদ্ধ। তাঁর এখন সময় দরকার। এবং তিনি ঠিক ফিরে আসবেন। এই পোস্টে নীলাঞ্জনা সারা-জ়ারা-নিজের বোন এবং বাকিদের ধন্যবাদ জানালেও, যীশুর নামোল্লেখ অবধি করেননি। তখনই শোনা যায়, নিজের ম্যানেজার শিনাল সূর্তির সঙ্গে প্রেমের জেরে বাড়ি ছেড়েছেন যীশু।