ভারতের মূল ভূখন্ডের, আদি সভ্যতার মানুষের কাছে গেরুয়া একটা শ্রদ্ধার রং। হিন্দুধর্ম আসলে কোনও ধর্ম না এটা একটা জীবনযাপন মাত্র, এই সব বিতর্কে না-গিয়েও বলা যায় যাঁরা নিজেদের হিন্দু ধর্মাবলম্বী বলে মনে করেন তাঁরা আজন্মকাল গেরুয়া রংকে শ্রদ্ধার চোখে দেখতে শেখেন। গেরুয়া যে ত্যাগ, তিতিক্ষা, সন্ন্যাস, ক্ষমার রং, তা মেনে নিতে কোনও কষ্ট নেই ভারতীয়দের। আপত্তিও নেই।
এখানে একটি প্রসঙ্গ না-চাইতেও উঠে আসে। ভারতীয় জনতা পার্টি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, আরএসএস যে-রংটিকে গেরুয়া, ভাগবা, স্যাফ্রন বলছে এবং নিজেদের অর্গানাইজ়েশনের প্রতীকী রং হিসেবে চিহ্নিত করেছে সেই রং স্যাফ্রন বা অরেঞ্জ হিসেবে অবশ্যই অভিহিত করা যায়, কিন্তু তাকে গেরুয়া বলা যায় কিনা এই নিয়ে আমার মতো অনেক লোকেরই সন্দেহ আছে। আর এই ধর্মীয়-রাজনৈতিক সংগঠনটি যদি ‘স্যাফ্রন’কেই নিজেদের প্রতীকী রং হিসেবে গ্রহণ করে থাকে তা হলে এই প্রশ্নটা তো উঠবেই যে ‘গেরুয়া’ই ‘স্যাফ্রন' কিনা এবং গেরুয়া আর স্যাফ্রন যদি আলাদা হয় তাহলে গেরুয়া রংটি যে-অর্থ বহন করে স্যাফ্রন রংও সেই একই অর্থ বহন করে কিনা! গেরুয়া রঙের সঙ্গে প্রজ্জ্বলিত অগ্নির রঙের মিল নেই। বরং অস্তমিত সূর্য শেষ পর্যায়ে পৌঁছে যে-রং আকাশের গায়ে ছিটিয়ে দেয়, সেই লাল, গোলাপি, কমলার আভাটুকুও মুছে যাওয়া একটি সাদাটে পিচ রংকে
Esta historia es de la edición January 02, 2023 de Desh.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor ? Conectar
Esta historia es de la edición January 02, 2023 de Desh.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor? Conectar
দূর বিনীত রাজনীতি
সমস্ত বয়সি মানুষের একই সঙ্গে এই ভাবে কোনও একটি ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানানো— এ এক কথায় অভূতপূর্ব।
হুমকি সংস্কৃতির অনুপ্রেরণায়
এই জনজাগরণের সময়েও শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্র কেন ধরেই নেয় যে, নাগরিক মাথা নত করে মেনে নেবে এই থ্রেট কালচার?
স্বতন্ত্র একজন রাজনীতিবিদ
১৯৭৭ সালের পাঁচই সেপ্টেম্বর। জেএনইউ-র ছাত্রনেতা সীতারাম একেবারে ইন্দিরা গান্ধীর সামনে দাঁড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেন। সেই সময়ের চরম আধিপত্যবাদী, জরুরি অবস্থা জারি করা প্রধানমন্ত্রী আচার্য থাকেননি, পদত্যাগ করেছিলেন।
পথের শেষ কোথায়?
বিলের নামের পুরো ভাগে ‘অপরাজিতা' কথাটি বসানো যে এক নির্মম কৌতুক, এটা সরকারের মনে হয়নি! নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ সারা পৃথিবীতে হয়, কিন্তু আমাদের সমাজ যে ভাবে আক্রান্ত হওয়ার লজ্জা নারীর উপর চাপিয়ে তাকে আমরণ হেনস্থা করে তার কোনও তুলনা নেই।
গরিব বলে ফাঁসির দড়ি পরবে
বিভিন্ন আইন সত্ত্বেও অপরাধ কমেনি, তা হলে কি বিচার ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হবে? বরং আমাদের দেশ যেহেতু প্রাণদণ্ড বজায় রেখেছে, প্রাণদণ্ডে দণ্ডিতরা ন্যায্য বিচার পাচ্ছেন কি না সেটা দেখা যাক।
জাইজিসের জাদু-আংটি এবং শাস্তির প্রতীক্ষা
সমান হতে হবে শুধু অপমানে নয়, সমস্ত যন্ত্রণায়, সমস্ত অসহায়তায়, সমস্ত ক্রোধে। তখনই সুনিশ্চিত হবে অপরাধের শাস্তি। অন্যথায় রয়ে যাবে নীতিভ্রষ্ট পৃথিবীতে শাস্তির অনন্ত প্রতীক্ষা।
ঋজু দৃঢ় সঙ্গীতব্যক্তিত্ব
সুচিত্রা মিত্র (১৯২৪২০১১) কেবল গায়কের পরিচয়ে বাঁধা পড়েননি, পৌঁছে গিয়েছিলেন ‘শিল্পী’র আসনে।
স্মৃতিজড়ানো বকুল
তাঁর বাল্য, কৈশোর সব ধরা আছে এই গন্ধের মধ্যে। এত দিন এই গন্ধ তিনি মনে মনে কল্পনা করেছেন। কিন্তু আজ তিনি সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁর হারানো বাল্য আর কৈশোরকে।
বার্লিনের ডায়েরি
বার্লিন শহরের মজ্জায় রয়েছে প্রতিবাদ। তার শৈল্পিক বহিঃপ্রকাশ দেওয়ালে ছড়ানো গ্রাফিতিতে—ব্রিজের নীচে, কাফের গায়ে, এমনকি ইউ-বান ট্রেনের দেওয়ালেও।
মিথ ও অপর বাস্তবের চিত্র
প্রকট না হয়েও অন্যরকম একটা পাঠ মিশে থাকে শুভাপ্রসন্ন-র রামায়ণ-বিষয়ক চিত্রাবলীর এই প্রদর্শনীতে।