মুজিব: একটি জাতির রূপকার
মুজিব: একটি জাতির রূপকার ছবিটি বাংলাদেশের সিনেমাপ্রেমী মানুষ, চলচ্চিত্রকর্মী ও গবেষকের কাছে আনন্দের ঘটনা। ১৩ অক্টোবর ২০২৩ বাংলাদেশের ১৫৩টি হলে মুজিব মুক্তি পায়। আশ্চর্য ও আনন্দের খবর হল, সিনেমা মুক্তির এক মাস পেরিয়ে গেলেও মুজিব নিয়ে মানুষের কৌতূহল, উদ্দিপনা এবং উৎসবের আমেজ ফুরোয়নি। আমেজপূর্ণ এই ঘটনা প্রায় নীরবেই ঘটে চলেছে, স্বতঃস্ফূর্তভাবে। উপমহাদেশের প্রেক্ষিতে শেখ মুজিবুর রহমান একডন অসামান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলের এক সাধারণ স্কুলবালকের জাতির জনক হয়ে ওঠার গল্পই মুজিব ছবির ভরকেন্দ্র। সে-কারণে বলাই যায়, এ সাধারণ কোনও গল্প নয়, এক মহানায়কের গল্প।
সাহস, সততা ও বলিষ্ঠতা ছিল মুজিবের চরিত্রের অন্যতম সৌন্দর্য। পশ্চিম পাকিস্তানের পিশাচরূপী শাসনব্যবস্থার সামনে পূর্ববাংলার মানুষের অধিকারের প্রশ্ন তোলাটাই ছিল অপরাধ ও বিপুল সাহসের ব্যাপার। ছোটবেলা থেকেই মুজিব দেখেছিলেন শোষিত, অধিকারবঞ্চিত বাঙালিকে। সেই সময় পাকিস্তানের প্রায় ৫৪ শতাংশ মানুষ বাংলায় কথা বলত। অথচ অফিস, আদালত এবং রাষ্ট্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠান চলত উর্দুতে। একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম পূর্ববাংলা তথা বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের আগে ভাষার লড়াইটা জরুরি। মুজিব উপলব্ধি করেছিলেন।
১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান ভাগ হয়ে গেলে ভাষা ও স্বাধীনতার প্রশ্নে ভাষাটাই প্রধান হয়ে ওঠে। দেশভাগের পর মুজিব কলকাতা থেকে ফিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং ভাষার দাবি নিয়েই দূরগামী যাত্রাটা শুরু হয়। তিনি যে অকুতভয় ও দুর্দান্ত সাহসী ছিলেন, ছাত্রজীবনেই প্রতীয়মান হয়। জেল, জুলুম ও ভয় দেখিয়ে তাঁকে ‘দাবায়ে’ রাখা সম্ভব হয়নি। ন্যায্য দাবি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বরের এক অসামান্য প্রতীক হিসেবে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
Esta historia es de la edición November 17, 2023 de Desh.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor ? Conectar
Esta historia es de la edición November 17, 2023 de Desh.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor? Conectar
ভূতের বাড়ি
প্রতিটি জনমুখী প্রকল্প থেকে কিছু মানুষ যদি বরাদ্দ অর্থের বড় অংশ নিজেদের ভাগে আনতে পারেন, তা হলেও সেটা প্রচুর।
চার দশকের মেট্রো
কলকাতায় মেট্রো রেলের চার দশক পূর্তি এই শহরের গতিবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য এক মাইলস্টোন।
ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ভারত
ঘরের মাঠে এমন পর্যুদস্ত হওয়া নতুন হলেও প্রত্যাশা থাকুক, আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ভারতীয় দল।
ফিরলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে ফিরছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে। তাঁর \"আমেরিকা ফার্স্ট\" নীতি আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভারত, চিন ও মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে কী পরিবর্তন আনবে তাঁর নতুন প্রশাসন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
দর্পণে প্রতিবিম্বিত তাসের ঘর
ওয়াশিংটন ডিসি প্রেক্ষাপটে নির্মিত রাজনৈতিক থ্রিলার \"হাউস অফ কার্ডস\"। ফ্র্যাঙ্ক আন্ডারউড ও তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্ত্রী ক্লেয়ারের ক্ষমতার লড়াইয়ের গল্প, যেখানে ক্লেয়ার আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হন।
মেরুকৃত এক সমাজের নির্বাচন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরুত্থান আমেরিকার রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের প্রতিফলন। কমলা হ্যারিসের পরাজয় ও ট্রাম্পের জয় গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও সমাজের মূল প্রশ্নগুলো নিয়ে নাগরিকদের হতাশা প্রকাশ করে।
বহুরূপী কৃত্তিকা
হেমন্ত আর শীতের সন্ধ্যায় মাথার ওপর কৃত্তিকাকে দেখায় উজ্জ্বল প্রশ্নচিহ্নের মতো। তাকে ঘিরে প্রশ্নও কম নেই।
দিগন্তের আলো
মাদল কুহকের অদ্ভুত টানাপোড়েনের গল্পের প্রতিটি ভাঁজে কেবল একটাই প্রশ্ন লুকিয়ে থাকে—কুহক কি কখনও তাকে ডেকেছিল? জীবনের আলো-ছায়ার মাঝখানে দাঁড়িয়ে, মাদল সেই ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বারবার হারিয়ে ফেলে নিজের পথ। তবু ভিড়ের মাঝে, তার পিছু হেঁটে, কমলা আঁচলের টানে, কুহকের উপস্থিতি যেন বারবার তাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
অসমাপ্ত গল্পের পাতা
একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: \"করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডে ভোরের মিষ্টি রোদ আড়মোড়া ভাঙছে, চায়ের ধোঁয়া আর পায়রার ঝাঁক জীবনের সাদামাটা সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে। ব্যস্ততার মাঝে প্রকৃতি ও স্মৃতির মিশেলে উঠে আসে এক টুকরো রোমাঞ্চকর অনুভূতি।\"
চৈতি-ঝরা বেলায়
মুহূর্তের ছোট্ট বিবরণ ডোরবেলের দিকে হাত বাড়িয়ে রুহানি হঠাৎ থমকে গেল। দরজার কাছে রাখা একজোড়া মহিলা জুতো দেখে তার মনের ভেতরে কিছু ভাবনা খেলে গেল। সুইচ থেকে আঙুল সরিয়ে নেওয়ার পরও বেলটা বেজে উঠল। মা দরজা খুলে জিজ্ঞেস করলেন, \"কী রে, এত হাঁপাচ্ছিস কেন?\" রুহানি ঢুকেই ড্রয়িং রুমের চারপাশে চোখ বুলিয়ে জানতে চাইল, \"কে এসেছে মা?\" মা প্রসঙ্গ এড়িয়ে বললেন, \"ফ্রেশ হয়ে নে, খেতে দিচ্ছি।\" মনে হচ্ছে, স্মৃতিকণা কিছু লুকোচ্ছে। মনের ঝড় থামাতে রুহানি একা একা মায়ের ঘরে ঢুকে। ততক্ষণে ব্যালকনির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়ে আর তার পুরনো দিনের কথাগুলো মিলে এক নতুন গল্প গড়ে তুলতে শুরু করেছে।