১৩ এপ্রিল ইজরায়েলকে লক্ষ করে তিনশোরও বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে অবস্থিত ইরানের কূটনৈতিক ভবনে ইজরায়েলি সেনার হামলার ফলে প্রাণ হারিয়েছিলেন ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ডের (ইরানীয়
সশস্ত্র বাহিনীর একটি শাখা) এক প্রবীণ সদস্যসহ ন'জন। বলা হচ্ছে, ইরানের ১৩ এপ্রিলের ইজরায়েল-আক্রমণ সেই হামলারই প্রতিক্রিয়া। ইজরায়েলের দাবি এই আক্রমণের ফলে তাদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সামান্যই। উন্নত প্রতিরোধী ব্যবস্থার ফলে, তারা নাকি দেশের সীমানার বাইরেই তাদের দিকে নিক্ষেপিত বেশির ভাগ ক্ষেপণাস্ত্র আটকে দিতে সমর্থ হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি যাই হোক, ইরান-ইজরায়েলের এই সংঘাত যে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, তা নিয়ে সংশয় নেই কূটনৈতিক মহলে। এমনকি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে ইজরায়েলের উপর ইরানের এই আক্রমণকে পশ্চিমের কোনও কোনও সংবাদপত্র তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা বলেও অভিহিত করছে। মনে হতেই পারে, এই সংঘাতের শুরু বুঝি হঠাৎই। সেটা অবশ্য আদৌ সত্যি নয়—‘আরম্ভের পূর্বেও আরম্ভ আছে।' ১৯৭৯র আগে পর্যন্ত ইজরায়েল এবং ইরানের সম্পর্ক যথেষ্ট ভাল ছিল—এ কথা ঠিক। বস্তুত, ১৯৪৮-এ ইজরায়েল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর, মুসলিমপ্রধান দেশগুলির মধ্যে প্রথমে তুরস্ক এবং তার পরে ইরানই ইজরায়েলকে সার্বভৌম রাষ্ট্রের মর্যাদা দেয়। শুধু তাই নয়, পরবর্তী দু'দশকে যখনই ইজরায়েল এবং আরব দেশগুলির মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থতি তৈরি হয়েছে, তখন প্রায় সব সময়ই ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছিল ইরান।
পরিস্থিতির বদল ঘটতে শুরু করে সত্তরের দশকের শেষ থেকে। ১৯৭৯ সালে ইসলামিক রেভলিউশনের পর, ইরান ধর্মীয় রাষ্ট্রে (ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরান) পরিণত হয়। স্বাভাবিক ভাবেই, আমুল পরিবর্তন ঘটে তাদের পররাষ্ট্রনীতিতে। সেই সময় থেকেই আমেরিকাকে 'বিগ সেটান' এবং ইজরায়েলকে ‘লিটল সেটান' হিসাবে চিহ্নিত করতে শুরু করে তারা। ইরানের অভিযোগ ছিল, আমেরিকা এবং তাদের মিত্ররাষ্ট্র ইজ়রায়েল উভয়েই মধ্যপ্রাচ্যের নানা বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে এবং নানা অসদুপায়ে ওই অঞ্চলে নিজেদের ক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টা করছে।
Esta historia es de la edición May 02, 2024 de Desh.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor ? Conectar
Esta historia es de la edición May 02, 2024 de Desh.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor? Conectar
ভূতের বাড়ি
প্রতিটি জনমুখী প্রকল্প থেকে কিছু মানুষ যদি বরাদ্দ অর্থের বড় অংশ নিজেদের ভাগে আনতে পারেন, তা হলেও সেটা প্রচুর।
চার দশকের মেট্রো
কলকাতায় মেট্রো রেলের চার দশক পূর্তি এই শহরের গতিবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য এক মাইলস্টোন।
ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ভারত
ঘরের মাঠে এমন পর্যুদস্ত হওয়া নতুন হলেও প্রত্যাশা থাকুক, আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ভারতীয় দল।
ফিরলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে ফিরছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে। তাঁর \"আমেরিকা ফার্স্ট\" নীতি আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভারত, চিন ও মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে কী পরিবর্তন আনবে তাঁর নতুন প্রশাসন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
দর্পণে প্রতিবিম্বিত তাসের ঘর
ওয়াশিংটন ডিসি প্রেক্ষাপটে নির্মিত রাজনৈতিক থ্রিলার \"হাউস অফ কার্ডস\"। ফ্র্যাঙ্ক আন্ডারউড ও তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্ত্রী ক্লেয়ারের ক্ষমতার লড়াইয়ের গল্প, যেখানে ক্লেয়ার আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হন।
মেরুকৃত এক সমাজের নির্বাচন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরুত্থান আমেরিকার রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের প্রতিফলন। কমলা হ্যারিসের পরাজয় ও ট্রাম্পের জয় গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও সমাজের মূল প্রশ্নগুলো নিয়ে নাগরিকদের হতাশা প্রকাশ করে।
বহুরূপী কৃত্তিকা
হেমন্ত আর শীতের সন্ধ্যায় মাথার ওপর কৃত্তিকাকে দেখায় উজ্জ্বল প্রশ্নচিহ্নের মতো। তাকে ঘিরে প্রশ্নও কম নেই।
দিগন্তের আলো
মাদল কুহকের অদ্ভুত টানাপোড়েনের গল্পের প্রতিটি ভাঁজে কেবল একটাই প্রশ্ন লুকিয়ে থাকে—কুহক কি কখনও তাকে ডেকেছিল? জীবনের আলো-ছায়ার মাঝখানে দাঁড়িয়ে, মাদল সেই ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বারবার হারিয়ে ফেলে নিজের পথ। তবু ভিড়ের মাঝে, তার পিছু হেঁটে, কমলা আঁচলের টানে, কুহকের উপস্থিতি যেন বারবার তাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
অসমাপ্ত গল্পের পাতা
একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: \"করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডে ভোরের মিষ্টি রোদ আড়মোড়া ভাঙছে, চায়ের ধোঁয়া আর পায়রার ঝাঁক জীবনের সাদামাটা সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে। ব্যস্ততার মাঝে প্রকৃতি ও স্মৃতির মিশেলে উঠে আসে এক টুকরো রোমাঞ্চকর অনুভূতি।\"
চৈতি-ঝরা বেলায়
মুহূর্তের ছোট্ট বিবরণ ডোরবেলের দিকে হাত বাড়িয়ে রুহানি হঠাৎ থমকে গেল। দরজার কাছে রাখা একজোড়া মহিলা জুতো দেখে তার মনের ভেতরে কিছু ভাবনা খেলে গেল। সুইচ থেকে আঙুল সরিয়ে নেওয়ার পরও বেলটা বেজে উঠল। মা দরজা খুলে জিজ্ঞেস করলেন, \"কী রে, এত হাঁপাচ্ছিস কেন?\" রুহানি ঢুকেই ড্রয়িং রুমের চারপাশে চোখ বুলিয়ে জানতে চাইল, \"কে এসেছে মা?\" মা প্রসঙ্গ এড়িয়ে বললেন, \"ফ্রেশ হয়ে নে, খেতে দিচ্ছি।\" মনে হচ্ছে, স্মৃতিকণা কিছু লুকোচ্ছে। মনের ঝড় থামাতে রুহানি একা একা মায়ের ঘরে ঢুকে। ততক্ষণে ব্যালকনির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়ে আর তার পুরনো দিনের কথাগুলো মিলে এক নতুন গল্প গড়ে তুলতে শুরু করেছে।