ব্যক্তিমানুষ মানেই আধিপত্যবাদী। আর সেটাকে যৌথ ভাবে সামলে রাখার নামই গণতন্ত্র। সাধারণ মানুষকে হঠাৎ করে রাজা বা মন্ত্রী বানিয়ে দিলে সে অবশ্যই শুরুতে নিজের পরিবারের জন্যে সম্পদটুকু সরিয়ে রাখবে। তৃতীয় বিশ্বে এমনিতেই সে দুর্নীতি দেখে বড় হয়েছে। ফলে সেইখানে ক্ষমতা হাতে পেয়ে তার পর বিষয়টায় লাগাম পড়ানো শক্ত। সেটুকু তো হল। কিন্তু তাতে শান্তি নেই। এর পর সে চেষ্টা করবে নিজের মতটা অন্যের ওপর চাপিয়ে দিতে। নিজের গুণ নিজে গাইতে। তার গলায় সুর না থাকলেও তার গান মানুষকে শোনাতে, তার আঁকার হাত না থাকলেও সেই ছবি অনেক দামে বিক্রি করতে, তার সাহিত্যে দখল না থাকলেও রোজ সতেরো পাতা করে কবিতা লিখে মানুষকে শোনাতে, তার হাবিজাবি যা মনের কথা সকাল বেলা উঠে গণমাধ্যমে সম্প্রচার করতে, তার নিজের পরীক্ষার নম্বরের ঠিক নেই কিন্তু ছোট ছোট বাচ্চাদের সেই নিয়ে জ্ঞান দিতে, সে ধ্যান করবে বাবু হয়ে বসে আর দেখবে গোটা দেশ। একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে এই সব বৈশিষ্ট্য আমাদের অনেকের মধ্যেই থাকে। মুশকিল হয় দেশনেতাদের ক্ষেত্রে। তাঁদের অনেক বেশি সাধারণ হতে হয়, অনেক বেশি সৎ হতে হয়, কারণ তাঁর হাতেই তো থাকে লক্ষ কোটি মানুষের ক্ষমতা, গোটা দেশের সম্পদ। তাঁদের ক্ষেত্রেই তাই আধিপত্যবাদের প্রশ্নটা উঠে আসে। সংসদীয় গণতন্ত্রে সেই ক্ষমতা বা সম্পদ হাতবদল হয় সমস্ত মতদাতার মতকে একত্রিত করে কোনও একটি নিয়মের মাধ্যমে। আমাদের দেশে তার একটি উদাহরণ লোকসভা নির্বাচন।
Esta historia es de la edición June 02, 2024 de Desh.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor ? Conectar
Esta historia es de la edición June 02, 2024 de Desh.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor? Conectar
চিকিৎসক আন্দোলন, কোন পথে? নিঃসন্দেহে, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর সরকারবিরোধী এই মাপের আন্দোলন কখনও দেখেনি।
জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন ধর্মঘট উঠে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত বাঙালি স্বস্তি পেয়েছে। আন্দোলনের ইতিবাচক দিক যেমন আছে, তেমনই শাসকের প্রতিক্রিয়া নিয়ে নানা বিতর্কও রয়েছে। এই প্রতিবাদ শাসককে নাড়া দিলেও আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
ভারতীয় দার্য্যের প্রতীক
ফোর্ড মোটর কোম্পানি ১৯০৮ সালে ‘মডেল টি’ গাড়ি চালু করে, যা জনসাধারণের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী হয়ে ওঠে। ১০০ বছর পর, ২০০৮ সালে রতন টাটা ‘ন্যানো’ গাড়ি নিয়ে বিশ্বমঞ্চে ওঠেন, যাকে বলা হয়েছিল ‘পিপলস কার’। টাটার নেতৃত্বে টাটা গ্রুপ বিশ্ববাজারে বিশাল অধিগ্রহণ করে, যেমন জাগুয়ার-ল্যান্ড রোভার, এবং গড়ে তোলে এক শক্তিশালী আন্তর্জাতিক উপস্থিতি।
মৃত্যুরূপা কালী, আজও
শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর কালীসাধনায় এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন, যা যুক্তিবোধ ও ভক্তির সমন্বয় করে। তাঁর গভীর আবেগে জীবনপণ করে কালীসাধনা কেবল আধ্যাত্মিক নয়, সামাজিক বিপ্লবেরও প্রতীক হয়ে ওঠে। স্বামী বিবেকানন্দ সেই বার্তা শক্তি ও সংগ্রামের পূজার রূপে প্রসারিত করেন।
দেশের খোঁজ
স্মৃতি, সত্তা, ভবিষ্যৎ একটা মাটির মণ্ডের মতো অর্বাচীন অবয়ব নিয়ে তার তাত্ত্বিক পরিণতিকে জব্দ করে চলে নিয়ত।
যারা শুনতে পেয়েছিল
রবি প্রতি রাতে দেওয়ালের ফিসফিস আওয়াজ শুনতে পায়। দেওয়াল তাকে গল্প শোনায়, পুরনো স্মৃতি আর লুকোনো রহস্যের কথা বলে। একদিন রবির দেওয়ালের কথার সত্যতা প্রমাণ হলে তার জীবন বদলে যায়।
নিঃসঙ্গ
ওখানেও দু'কামরার ঘর তুলে দিয়েছি।” লোকটার গলায় দীর্ঘশ্বাস। একটু চুপ করে থেকে লোকটা বলল, “চলি স্যর, নমস্কার।” লোকটা চলে গেল। একদম একা, নিঃসঙ্গ।
আনন্দময় অনন্তের উপলব্ধি
দু'টি পর্বে বিন্যস্ত অনুষ্ঠানটিতে রবীন্দ্র গান ও কবিতা পরস্পরের জন্য সযত্নে চালচিত্র নির্মাণ করে।
স্মৃতিমেদুরতা ও গূঢ় জীবনদর্শন সংস্কৃতির দু'টি নাট্য। একটিতে মনস্তাত্ত্বিক জটিলতার ভাষ্য, অন্যটিতে পুরুষতন্ত্রের সূক্ষ্ম অসুখ।
স্বাধীনতা-উত্তর ভারতে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশি নাটক আত্মস্থ করে বাংলার মঞ্চে নতুন প্রযোজনার পথ খুঁজেছিলেন। পিরানদেল্লো থেকে ব্রেশটের নাটকের বঙ্গীকরণে তিনি সমকালীন বাংলা থিয়েটারকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেন। দেবেশ চট্টোপাধ্যায় তাঁর পুনর্নির্মাণে আধুনিকতার সংযোজন করে বাংলা নাটকের ঐতিহ্য ও নতুনত্বকে মেলাতে চেষ্টা করেন।
তুষারচিতার ডেরায়
স্পিতি থেকে লাদাখ যাওয়ার রাস্তায় শেষ গ্রাম কিব্বের। তুষারচিতার ওম আর পর্যটন ব্যবসার সোনার কাঠির ছোঁয়ায় তা আড়মোড়া ভেঙে জাগছে।
চন্দননগরের বিপ্লবী সুবাস
আলোচ্য গ্রন্থে চন্দননগর মহাফেজখানার বহু মূল্যবান তথ্যাদি অনেক ক্ষেত্রেই এই প্রথমবার ব্যবহার করা হয়েছে।