কানাকড়িও ছিল না। তাই শিখার উপর সব ছেড়ে দিয়েছিল। বলে না, মেয়েরা নাকি অন্নপূর্ণা ! ঠিক তাই। এ কথার কথা নয়, সত্যি হয়ে দাঁড়িয়েছে সুজয়ের জীবনে। কোথা থেকে কী করে যে দু'বেলা দু'মুঠো খাবারের ব্যবস্থা করছে শিখা! প্রথম প্রথম রাগারাগি করে। মুখ ঝামটা দেয়। বকবক করে। এক সময় সব কিছুই থেমে যায়। শিখা ঠান্ডা মাথার মেয়ে হয়ে যায়। খুব সামলে দেয় সংসারটাকে। এই না হলে বৌ!
মনে মনে এ সব কথা ভাবছিল সুজয়। আরও ভাবছিল আজকের দিনটার কথা। কী করে কথাটা পাড়বে শিখার কাছে? সুখের পরশ ছুঁইয়ে দেবে শিখার চোখে। খবরটা শুনে ঝলমল করবে শিখার চোখমুখ। কিছু না হোক, সাত দিনের কাজ তো। দিন হিসেবে দুশো টাকা। খারাপ কী? শুধু রাতের বেলায় বাড়ি পাহারা দেওয়া। সকাল হলেই ছুটি। কাজের মেয়ে বাড়িতে আসা পর্যন্ত। ব্যস। তার পর আর কী। চাল, ডাল, তেল, ফোড়ন, সব্জি, মাছটাছ নিয়ে বাড়িতে ঢুকে ডাক দেবে, ‘এই যে, কোথায় গেলে?' শিখা আদুরে গলায় বলবে, 'আসছি, গো আসছি। যেন নবাব বাহাদুর বাড়িতে এলেন!' হ্যাঁ, এরকমটাই চায় সুজয়। বাড়িতে ঢুকলে ছেলে, বৌ হামলে পড়বে ওর উপর। একেই কি সুখ বলে?
এ সব ভাবতে ভাবতে কখন যে পাড়ায় ঢুকে পড়েছে সুজয়, টের পায়নি। ওই তো সামনে ল্যাম্প পোস্টের পাশ দিয়ে সরু গলি এঁকেবেঁকে ঢুকে গেছে ভিতরে। রাস্তার দু'পাশের বড় বড় বাড়ির পাশ দিয়ে ঢুকে আরও ভেতরে সরু এক ফালি জমি সুজয়ের। বাবার কেনা। টালির লম্বাটে বাড়ি। বাড়ির সামনে ইটপাতা রাস্তা।
টালির ছাদে ফনফনিয়ে উঠে গেছে লাউডগা। আহা রে। দেখেও শান্তি। এই না হলে বাড়ি! আর হোক না টালির নড়বড়ে ছাদ। তবুও তো নিজের। আর ওই বাড়িটার মালিক সুজয়। সুজয় গোস্বামী। কখন যে বাড়িতে পা রেখেছে খেয়াল করেনি সুজয়। শিখার গলা কানে এল, “এই যে নবাব বাহাদুর, সকালবেলার পাড়া টহল শেষ হল?”
কথাটা শুনে রাগে মাথা জ্বলতে থাকে সুজয়ের। মুখ দিয়ে একটু হলেই বেরিয়ে পড়ত দু'-একটা কানে হাত দেওয়া আজেবাজে কথা
রাগের মাথায় মাথা ঠিক থাকে না। ও সব শব্দ আপনা-আপনি বেরিয়ে পড়তেই পারে। তবু নিজেকে সংযত রাখল সুজয়। বলল, “এত চিৎকার করে কথা বলছ কেন? আস্তে কথা বলতে পারো না?”
Esta historia es de la edición August 17, 2024 de Desh.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor ? Conectar
Esta historia es de la edición August 17, 2024 de Desh.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor? Conectar
চিকিৎসক আন্দোলন, কোন পথে? নিঃসন্দেহে, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর সরকারবিরোধী এই মাপের আন্দোলন কখনও দেখেনি।
জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন ধর্মঘট উঠে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত বাঙালি স্বস্তি পেয়েছে। আন্দোলনের ইতিবাচক দিক যেমন আছে, তেমনই শাসকের প্রতিক্রিয়া নিয়ে নানা বিতর্কও রয়েছে। এই প্রতিবাদ শাসককে নাড়া দিলেও আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
ভারতীয় দার্য্যের প্রতীক
ফোর্ড মোটর কোম্পানি ১৯০৮ সালে ‘মডেল টি’ গাড়ি চালু করে, যা জনসাধারণের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী হয়ে ওঠে। ১০০ বছর পর, ২০০৮ সালে রতন টাটা ‘ন্যানো’ গাড়ি নিয়ে বিশ্বমঞ্চে ওঠেন, যাকে বলা হয়েছিল ‘পিপলস কার’। টাটার নেতৃত্বে টাটা গ্রুপ বিশ্ববাজারে বিশাল অধিগ্রহণ করে, যেমন জাগুয়ার-ল্যান্ড রোভার, এবং গড়ে তোলে এক শক্তিশালী আন্তর্জাতিক উপস্থিতি।
মৃত্যুরূপা কালী, আজও
শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর কালীসাধনায় এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন, যা যুক্তিবোধ ও ভক্তির সমন্বয় করে। তাঁর গভীর আবেগে জীবনপণ করে কালীসাধনা কেবল আধ্যাত্মিক নয়, সামাজিক বিপ্লবেরও প্রতীক হয়ে ওঠে। স্বামী বিবেকানন্দ সেই বার্তা শক্তি ও সংগ্রামের পূজার রূপে প্রসারিত করেন।
দেশের খোঁজ
স্মৃতি, সত্তা, ভবিষ্যৎ একটা মাটির মণ্ডের মতো অর্বাচীন অবয়ব নিয়ে তার তাত্ত্বিক পরিণতিকে জব্দ করে চলে নিয়ত।
যারা শুনতে পেয়েছিল
রবি প্রতি রাতে দেওয়ালের ফিসফিস আওয়াজ শুনতে পায়। দেওয়াল তাকে গল্প শোনায়, পুরনো স্মৃতি আর লুকোনো রহস্যের কথা বলে। একদিন রবির দেওয়ালের কথার সত্যতা প্রমাণ হলে তার জীবন বদলে যায়।
নিঃসঙ্গ
ওখানেও দু'কামরার ঘর তুলে দিয়েছি।” লোকটার গলায় দীর্ঘশ্বাস। একটু চুপ করে থেকে লোকটা বলল, “চলি স্যর, নমস্কার।” লোকটা চলে গেল। একদম একা, নিঃসঙ্গ।
আনন্দময় অনন্তের উপলব্ধি
দু'টি পর্বে বিন্যস্ত অনুষ্ঠানটিতে রবীন্দ্র গান ও কবিতা পরস্পরের জন্য সযত্নে চালচিত্র নির্মাণ করে।
স্মৃতিমেদুরতা ও গূঢ় জীবনদর্শন সংস্কৃতির দু'টি নাট্য। একটিতে মনস্তাত্ত্বিক জটিলতার ভাষ্য, অন্যটিতে পুরুষতন্ত্রের সূক্ষ্ম অসুখ।
স্বাধীনতা-উত্তর ভারতে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশি নাটক আত্মস্থ করে বাংলার মঞ্চে নতুন প্রযোজনার পথ খুঁজেছিলেন। পিরানদেল্লো থেকে ব্রেশটের নাটকের বঙ্গীকরণে তিনি সমকালীন বাংলা থিয়েটারকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেন। দেবেশ চট্টোপাধ্যায় তাঁর পুনর্নির্মাণে আধুনিকতার সংযোজন করে বাংলা নাটকের ঐতিহ্য ও নতুনত্বকে মেলাতে চেষ্টা করেন।
তুষারচিতার ডেরায়
স্পিতি থেকে লাদাখ যাওয়ার রাস্তায় শেষ গ্রাম কিব্বের। তুষারচিতার ওম আর পর্যটন ব্যবসার সোনার কাঠির ছোঁয়ায় তা আড়মোড়া ভেঙে জাগছে।
চন্দননগরের বিপ্লবী সুবাস
আলোচ্য গ্রন্থে চন্দননগর মহাফেজখানার বহু মূল্যবান তথ্যাদি অনেক ক্ষেত্রেই এই প্রথমবার ব্যবহার করা হয়েছে।