বিশ শতকের সূচনায় বাংলার মঞ্চ জুড়েই ছিল বিনোদনের অদম্য জোয়ার। অভিনয়ের অনুষঙ্গে গানে গানে আলোড়িত রঙ্গমঞ্চ। সেই প্রবহে লাগল নতুন ঢেউ। এত দিন মঞ্চ ছিল চলমান, ছবি ছিল স্থির। বদল-জমানায় সচল হল ছবি। রূপ নিল বায়োস্কোপ। স্টার থিয়েটারের বিজ্ঞাপনে ‘পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য! ... আসুন! দেখুন! যাহা কেহ কখনও কল্পনাও করেন নাই তাহাই সম্ভব হইয়াছে! ছবির মানুষ, জীবজন্তু, জীবন্ত প্রাণীর ন্যায় হাঁটিয়া ছুটিয়া চলিয়া বেড়াইতেছে! চিত্রের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হইয়াছে!' তখন সে নির্বাক। ধ্বনি এল ভিন্ন সৃজনে। মিনিটে আটাত্তর-পাক ঘুরন্ত ডিস্কের প্রলেপে । নব নাদ যন্ত্রে রূপ পেল না-দেখা শ্রুতি। কলোনিয়াল কলকাতায় বাজতে থাকল তার সুরতরঙ্গ। বনফুলের শৈশব-স্মৃতিতে, ‘এক আশ্চর্য যন্ত্র যা মানুষের মতো কথা বলতে পারে, হাসেকাঁদে-গান করে— এমনকী বাজনা পর্যন্ত বাজায়। চলতি কথায় তাকে হিন্দিতে বলত বাজা কল, যার ইংরেজি নাম গ্রামোফোন।' আর বাঙালি সংস্কারে 'কলের গান'। নবীন যাত্রায় শুরু হল গ্রামোফোনের বাড়বাড়ন্ত। চটকদার বৈচিত্রে প্রকাশ পেতে থাকল শয়েশয়ে গান-বাজনার শ্রুতি আর অভিনয়ের কথোপকথন।
প্রতি সুখী গৃহকোণে শোভা পেতে শুরু করল গ্রামোফোন। বুদ্ধদেব বসুর মানসপটে, ‘বাড়িতে একটি গ্রামোফোন ছিল...। শুনেছি, আমার অজ্ঞান বয়সে, যখন পর্যন্ত পড়তে শিখিনি, আমি বলামাত্র যে-কোনও রেকর্ড বের করে দিতে পারতাম— এতে বোঝা যায় ওই চোঙ লাগানো ধ্বনিযন্ত্রটি আমাকে কতদূর পর্যন্ত মুগ্ধ করেছিল।.... আমি বাক্সের পাল্লা খুলে উঁকি দিয়ে দেখি ভিতরে কোনও মানুষ লুকিয়ে আছে কিনা... চকচকে গোল শব্দপ্রসবী চাকতিগুলোকে এক অপার রহস্য বলে মনে হয় আমার।” কালান্তরে, তিনের দশকে পর্দায় কথা বলল ছবি। নীরবতা ঘুচল। শুরু হল টকি-ফিল্মের অভিযান। বিজ্ঞাপন পড়ল, 'Shadows talk in human voice' আবার অন্যত্র 'Pictures do the talking'। সংলাপের সঙ্গী হল গান। সাথ-সঙ্গ দিল কলের গান। ঘরে ঘরে গ্রামোফোন ডিস্কের দৌলতে স্থায়ী হতে থাকল ফিল্মের বর্ণময় গীতসম্ভার।
Esta historia es de la edición October 17, 2024 de Desh.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor ? Conectar
Esta historia es de la edición October 17, 2024 de Desh.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor? Conectar
চিকিৎসক আন্দোলন, কোন পথে? নিঃসন্দেহে, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর সরকারবিরোধী এই মাপের আন্দোলন কখনও দেখেনি।
জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন ধর্মঘট উঠে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত বাঙালি স্বস্তি পেয়েছে। আন্দোলনের ইতিবাচক দিক যেমন আছে, তেমনই শাসকের প্রতিক্রিয়া নিয়ে নানা বিতর্কও রয়েছে। এই প্রতিবাদ শাসককে নাড়া দিলেও আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
ভারতীয় দার্য্যের প্রতীক
ফোর্ড মোটর কোম্পানি ১৯০৮ সালে ‘মডেল টি’ গাড়ি চালু করে, যা জনসাধারণের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী হয়ে ওঠে। ১০০ বছর পর, ২০০৮ সালে রতন টাটা ‘ন্যানো’ গাড়ি নিয়ে বিশ্বমঞ্চে ওঠেন, যাকে বলা হয়েছিল ‘পিপলস কার’। টাটার নেতৃত্বে টাটা গ্রুপ বিশ্ববাজারে বিশাল অধিগ্রহণ করে, যেমন জাগুয়ার-ল্যান্ড রোভার, এবং গড়ে তোলে এক শক্তিশালী আন্তর্জাতিক উপস্থিতি।
মৃত্যুরূপা কালী, আজও
শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর কালীসাধনায় এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন, যা যুক্তিবোধ ও ভক্তির সমন্বয় করে। তাঁর গভীর আবেগে জীবনপণ করে কালীসাধনা কেবল আধ্যাত্মিক নয়, সামাজিক বিপ্লবেরও প্রতীক হয়ে ওঠে। স্বামী বিবেকানন্দ সেই বার্তা শক্তি ও সংগ্রামের পূজার রূপে প্রসারিত করেন।
দেশের খোঁজ
স্মৃতি, সত্তা, ভবিষ্যৎ একটা মাটির মণ্ডের মতো অর্বাচীন অবয়ব নিয়ে তার তাত্ত্বিক পরিণতিকে জব্দ করে চলে নিয়ত।
যারা শুনতে পেয়েছিল
রবি প্রতি রাতে দেওয়ালের ফিসফিস আওয়াজ শুনতে পায়। দেওয়াল তাকে গল্প শোনায়, পুরনো স্মৃতি আর লুকোনো রহস্যের কথা বলে। একদিন রবির দেওয়ালের কথার সত্যতা প্রমাণ হলে তার জীবন বদলে যায়।
নিঃসঙ্গ
ওখানেও দু'কামরার ঘর তুলে দিয়েছি।” লোকটার গলায় দীর্ঘশ্বাস। একটু চুপ করে থেকে লোকটা বলল, “চলি স্যর, নমস্কার।” লোকটা চলে গেল। একদম একা, নিঃসঙ্গ।
আনন্দময় অনন্তের উপলব্ধি
দু'টি পর্বে বিন্যস্ত অনুষ্ঠানটিতে রবীন্দ্র গান ও কবিতা পরস্পরের জন্য সযত্নে চালচিত্র নির্মাণ করে।
স্মৃতিমেদুরতা ও গূঢ় জীবনদর্শন সংস্কৃতির দু'টি নাট্য। একটিতে মনস্তাত্ত্বিক জটিলতার ভাষ্য, অন্যটিতে পুরুষতন্ত্রের সূক্ষ্ম অসুখ।
স্বাধীনতা-উত্তর ভারতে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশি নাটক আত্মস্থ করে বাংলার মঞ্চে নতুন প্রযোজনার পথ খুঁজেছিলেন। পিরানদেল্লো থেকে ব্রেশটের নাটকের বঙ্গীকরণে তিনি সমকালীন বাংলা থিয়েটারকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেন। দেবেশ চট্টোপাধ্যায় তাঁর পুনর্নির্মাণে আধুনিকতার সংযোজন করে বাংলা নাটকের ঐতিহ্য ও নতুনত্বকে মেলাতে চেষ্টা করেন।
তুষারচিতার ডেরায়
স্পিতি থেকে লাদাখ যাওয়ার রাস্তায় শেষ গ্রাম কিব্বের। তুষারচিতার ওম আর পর্যটন ব্যবসার সোনার কাঠির ছোঁয়ায় তা আড়মোড়া ভেঙে জাগছে।
চন্দননগরের বিপ্লবী সুবাস
আলোচ্য গ্রন্থে চন্দননগর মহাফেজখানার বহু মূল্যবান তথ্যাদি অনেক ক্ষেত্রেই এই প্রথমবার ব্যবহার করা হয়েছে।