সুর থেকে লিখিত/মুদ্রিত শব্দের দিকে পৌঁছোনোর আগে পেরিয়ে আসতে হয় অনেকগুলি সিঁড়ির ধাপ, হয়তো ওঠা বা নামা নয়, সমতলেই হাঁটা, এক বিন্দু থেকে শুরু করে ছুঁতে চাওয়া আর-একটি স্থানাঙ্ক, জেগে থাকার মতো গান শোনাও একটা ধর্ম, যেমনতেমনভাবে তা আসতে পারে না রসিক শ্রোতার কাছে, যে-সুর ভাঙিয়ে দিতে পারে রমণীয় ঘুম, তাকে গ্রহণ করার ভিতরেও কাজ করে এক ব্যাকরণ, কবিতার মতো কোনও গণিত...আর যিনি গাইছেন গান, এই মুহুর্তে?
সেই গান শুনতে-শুনতে ছেলেবেলায় প্রতিশব্দের বইয়ে পড়া অর্থ মনে পড়ে যায়। লেখা ছিল— funambulist, দড়ির উপর দিয়ে যে হাঁটে, দেখা যায় এখনও রাস্তায় অথবা সমুদ্রের ধারে, অসাধারণ দক্ষতায় পা ফেলে ফেলে হেঁটে চলেছে কোনও কিশোরী, মাটি থেকে কত উঁচুতে, একচুল এদিক-ওদিক হলেই আছড়ে পড়বে মাটিতে, ভেঙে যাবে সুর...। কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (১২ অক্টোবর ১৯২৪-৫ এপ্রিল ২০০০) যেন এরকমই এক ফিউন্যামবুলিস্ট-এর মতো হেঁটে যান নবরবিকিরণ ছুঁয়ে ছুঁয়ে, সুরের প্রতিটি নোট-এ তাঁর অনায়াস বিচরণ, দূর থেকে আমরা শুনি বিস্ময়ে, এতটুকু বিচ্যুতি হলেই নষ্ট হবে ভারসাম্য, কিন্তু তা হয় না, হয় না বলেই অরুণ মিত্র ‘কণিকার গান' কবিতায় লিখতে পারেন ‘ওই কণ্ঠ আকাশসীমায় দোলে...। আকাশ হতে আকাশ-পথে হাজার স্রোতে ছড়িয়ে যায় তাঁর গান, হেঁটে যায় সরু দড়ির উপর দিয়ে, অনায়াস, স্বতশ্চল। স্কুলের পাঠ্যবইয়ে পড়তে হয়েছিল এক প্রবাদপ্রতিম ফরাসি টাইটরোপ ওয়াকার-এর কথা, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠিক একশো বছর আগে তাঁর জন্ম — আমেরিকায় পরিচিত চার্লস ব্লনডিন (১৮২৪-১৮৯৭) নামে, যিনি মাটি থেকে ১১০০ ফিট উপর দিয়ে হেঁটে যেতেন, স্টোভ জ্বেলে ডিম ভেজে খেতেন, পিঠে আর-একজনকে বহন করে হাঁটতেন! কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গীতের চার্লস ব্লনডিন।
Esta historia es de la edición October 17, 2024 de Desh.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor ? Conectar
Esta historia es de la edición October 17, 2024 de Desh.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor? Conectar
চিকিৎসক আন্দোলন, কোন পথে? নিঃসন্দেহে, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর সরকারবিরোধী এই মাপের আন্দোলন কখনও দেখেনি।
জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন ধর্মঘট উঠে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত বাঙালি স্বস্তি পেয়েছে। আন্দোলনের ইতিবাচক দিক যেমন আছে, তেমনই শাসকের প্রতিক্রিয়া নিয়ে নানা বিতর্কও রয়েছে। এই প্রতিবাদ শাসককে নাড়া দিলেও আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
ভারতীয় দার্য্যের প্রতীক
ফোর্ড মোটর কোম্পানি ১৯০৮ সালে ‘মডেল টি’ গাড়ি চালু করে, যা জনসাধারণের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী হয়ে ওঠে। ১০০ বছর পর, ২০০৮ সালে রতন টাটা ‘ন্যানো’ গাড়ি নিয়ে বিশ্বমঞ্চে ওঠেন, যাকে বলা হয়েছিল ‘পিপলস কার’। টাটার নেতৃত্বে টাটা গ্রুপ বিশ্ববাজারে বিশাল অধিগ্রহণ করে, যেমন জাগুয়ার-ল্যান্ড রোভার, এবং গড়ে তোলে এক শক্তিশালী আন্তর্জাতিক উপস্থিতি।
মৃত্যুরূপা কালী, আজও
শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর কালীসাধনায় এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন, যা যুক্তিবোধ ও ভক্তির সমন্বয় করে। তাঁর গভীর আবেগে জীবনপণ করে কালীসাধনা কেবল আধ্যাত্মিক নয়, সামাজিক বিপ্লবেরও প্রতীক হয়ে ওঠে। স্বামী বিবেকানন্দ সেই বার্তা শক্তি ও সংগ্রামের পূজার রূপে প্রসারিত করেন।
দেশের খোঁজ
স্মৃতি, সত্তা, ভবিষ্যৎ একটা মাটির মণ্ডের মতো অর্বাচীন অবয়ব নিয়ে তার তাত্ত্বিক পরিণতিকে জব্দ করে চলে নিয়ত।
যারা শুনতে পেয়েছিল
রবি প্রতি রাতে দেওয়ালের ফিসফিস আওয়াজ শুনতে পায়। দেওয়াল তাকে গল্প শোনায়, পুরনো স্মৃতি আর লুকোনো রহস্যের কথা বলে। একদিন রবির দেওয়ালের কথার সত্যতা প্রমাণ হলে তার জীবন বদলে যায়।
নিঃসঙ্গ
ওখানেও দু'কামরার ঘর তুলে দিয়েছি।” লোকটার গলায় দীর্ঘশ্বাস। একটু চুপ করে থেকে লোকটা বলল, “চলি স্যর, নমস্কার।” লোকটা চলে গেল। একদম একা, নিঃসঙ্গ।
আনন্দময় অনন্তের উপলব্ধি
দু'টি পর্বে বিন্যস্ত অনুষ্ঠানটিতে রবীন্দ্র গান ও কবিতা পরস্পরের জন্য সযত্নে চালচিত্র নির্মাণ করে।
স্মৃতিমেদুরতা ও গূঢ় জীবনদর্শন সংস্কৃতির দু'টি নাট্য। একটিতে মনস্তাত্ত্বিক জটিলতার ভাষ্য, অন্যটিতে পুরুষতন্ত্রের সূক্ষ্ম অসুখ।
স্বাধীনতা-উত্তর ভারতে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশি নাটক আত্মস্থ করে বাংলার মঞ্চে নতুন প্রযোজনার পথ খুঁজেছিলেন। পিরানদেল্লো থেকে ব্রেশটের নাটকের বঙ্গীকরণে তিনি সমকালীন বাংলা থিয়েটারকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেন। দেবেশ চট্টোপাধ্যায় তাঁর পুনর্নির্মাণে আধুনিকতার সংযোজন করে বাংলা নাটকের ঐতিহ্য ও নতুনত্বকে মেলাতে চেষ্টা করেন।
তুষারচিতার ডেরায়
স্পিতি থেকে লাদাখ যাওয়ার রাস্তায় শেষ গ্রাম কিব্বের। তুষারচিতার ওম আর পর্যটন ব্যবসার সোনার কাঠির ছোঁয়ায় তা আড়মোড়া ভেঙে জাগছে।
চন্দননগরের বিপ্লবী সুবাস
আলোচ্য গ্রন্থে চন্দননগর মহাফেজখানার বহু মূল্যবান তথ্যাদি অনেক ক্ষেত্রেই এই প্রথমবার ব্যবহার করা হয়েছে।