ক্রান্তিকালের অভিজ্ঞতালব্ধ লেখকসত্তা

- প্রচ্ছদ কাহিনিগুলিতে (সমরেশ বসু, ২ ডিসেম্বর ২০২৪) সংক্ষিপ্ত পরিসরের আলোচনা থেকে সমরেশ বসুর সামগ্রিক জীবনের সঙ্গে সাহিত্যকর্মের নিবিড় গভীর, আন্তরিক এবং অকপট সম্পর্ক অনুভব করা যায়। বেশ বোঝা যাচ্ছে, কেন এই সাহিত্যকর্মের বিশ্লেষণ ও বিচার আজও গবেষণার বিষয়। এই গবেষণার মুখ্য বিষয় হওয়া উচিত রক্তমাংসের লেখকের বস্তুনিষ্ঠ সাহিত্যকর্মে বস্তুনিষ্ঠ অনুভব ও দর্শন। এই গবেষণা থেকেই সম্যক উপলব্ধি হবে আজকের সাহিত্যকর্মের দুর্বলতা কোথায়, কী তার উদ্দেশ্য হওয়া দরকার, অথবা তার গন্তব্য পথ কেমন হতে পারে।
সমরেশ বসুর কথাসাহিত্যে তাঁর জীবন ও জীবিকা সম্পৃক্ত হয়ে গেছে, নেশা ও পেশা একাকার হয়ে গেছে। স্বাধীনতা, ভারত ভাগ, বাংলা ভাগ, কমিউনিজমের বিভাজন সর্বোপরি স্বীয় ব্যক্তিত্ব ভাগের সঙ্গে জড়িত তাঁর ক্রান্তিকালের অভিজ্ঞতালব্ধ লেখনী। তাঁর লেখকসত্তার অভিনবত্ব অবাক করে। সমরেশ বসু লেখকোচিত বিনয়ের সঙ্গে আক্ষেপ করেছেন, ‘জীবনে কিছুই হল না। তারাশঙ্করের মতো একটা লাইনও লিখতে পারলাম না।' কোনও তুলনা নয়, রাঢ় বাংলাকে বুঝতে যেমন তারাশঙ্কর-রচনা পড়তেই হবে, তেমনই দুই অখণ্ড ও খণ্ডিত বাংলাকে বুঝতে গেলে সমরেশ-রচনা পড়তেই হবে।
Esta historia es de la edición December 17, 2024 de Desh.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor ? Conectar


Esta historia es de la edición December 17, 2024 de Desh.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor? Conectar

পুলকেশীর রত্নভান্ডার
সবাই এসে ঘিরে ধরল ওকে। ছোটকাকা কলার ধরে তুলে আরও কয়েকটা কিল ঘুষি বসিয়ে দিল। মার খেতে খেতে পুলু দেখল ইভাকে। মেয়েটার চোখে খুনে চাহনি। ওকে কি সবাই মেরে ফেলবে!
পাশের বাড়ির মেয়ে
আমায় নাকি তাদের গাঁয়ের রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের কেষ্ট ঠাকুরের মতো দেখতে। কোনও রসিক নাগর তাকে বাড়ি থেকে ভাগিয়ে এনেছিল। ক'দিন ফুর্তি-ফার্তা করে দালালের হাতে বিক্রি করে কেটে পড়েছে।

প্রত্যাবর্তন
সে মাছ নিয়ে বাজারে বসা শুরু করে। কেননা সে লক্ষ করেছিল বাজারে বেশ কিছু মাছওয়ালা সকালে লুঙ্গি-গেঞ্জি পরে মাছ বেচলেও, বিকেলে গলায় বগলে পাউডার মেখে হেভি ড্রেস দিয়ে বাইকে চেপে ঘোরে।

হারানোর পরের খোঁজ
আত্মীয়স্বজনের কাছে মা হেরে যেতে যেতেও জিতে গেছে, মা তো এখনও সবাইকে বলে, ‘আমার মিতুন ওই পাষণ্ড ছেলেটার কাছ থেকে এক পয়সা নেয়নি। এই জন্য আমরা খেয়ে না-খেয়ে মেয়েকে পড়িয়েছি।'

ছবির নিসর্গ
কত্তামা চোখে আগুন ঢেলে বললেন, “যা তো এখান থেকে। শুধু ছুকছুক করবে।” বড়বৌকে বললেন, “দরজাটা বন্ধ কর তো মা। এই সব আর নিজের কাছে রাখব না। কার্শিয়াং থেকে এসে সব লকারে দিয়ে দেব।”

আলো থরথর, গৃহ প্রতিপক্ষ
সে এদিকেই আসেনি। মাঝে মধ্যে রাতে দরজা খুলে আলো জ্বালিয়ে দাঁড়িয়ে থেকেছে। বা সকালের আলোয় দেখেছে। দূর থেকে অবলোকন, না-গিয়ে। আজ মুখোমুখি হচ্ছে সে, মাতৃযোনিসদৃশ এক গহ্বরের।

মাত্রা ছাড়ানো দুর্নীতির পরিণতি
সীমাবদ্ধ দলীয় ভাবনার উপরে উঠে ভাবার সময় এসেছে। না হলে এ-রাজ্যে শিক্ষার মানের উপর আস্থা থাকবে না।

নদীর ছায়া
চেহারায় অদ্ভুত এক আবেদন রয়েছে, পড়ন্ত যৌবনের এক শান্ত দিঘি মনে হচ্ছে ওকে, একবার ডুব দিলেই নিস্তরঙ্গ জল আলোড়নে অস্থির হয়ে যাবে। বিপাশার আকর্ষণ তাকে টেনে নিয়ে এসেছে এখানে।

পদাঘাতের আমরা-ওরা
দুর্নীতির কবলে শিক্ষা। শিক্ষকরা প্রহৃত, লাথি মারছে পুলিশ। কবি ব্যস্ত লাথির তুলনায়।

সিঁড়ি
মুন্নাজ্যাঠার বগলে বালিশ বিছানা। আর কাঁধে কাঠের বাক্স। দোতলার বারান্দা থেকে দেখেছিল মোহনা। তারপর অসহায় আক্রোশে কাঁদতে শুরু করেছিল। হারমোনিয়ামটা থেকে গিয়েছিল মোহনাদের ফ্ল্যাটে।