শিশু ও মহিলাদের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি

পরামর্শে বর্ধমান হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের মেটেরিয়া ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান ডাঃ প্রিয়াঙ্কা মাজী

- লিখেছেন সুদীপ্ত সেন

শিশুর চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি জ্বর বেলাডোনা: শিশুদের যেকোনও রোগের প্রথম অবস্থায় অর্থাৎ যখন চোখ লাল, শরীর বেশ গরম হয়ে থাকে, তখন এই ওষুধটি দেওয়া হয়।

ব্রায়োনিয়া: অনেক সময় জ্বর, সর্দি, কাশি, হাঁচি, মাথার যন্ত্রণা সঙ্গে মুখের ভিতরের অংশ শুষ্ক হয়ে যায়। শিশু হঠাৎ করে চুপচাপ হয়ে যায় এবং অনেকক্ষণ অন্তর অধিক পরিমাণে জলপান করে, তখন ওষুধটি দেওয়া যেতে পারে।

অ্যাকোনাইট: ঠান্ডা লাগার কারণে সামান্য বা প্রবল জ্বর, কান ও মাথায় ব্যথা, প্ৰবল অস্থিরতা সহ কোনও উপসর্গ দেখা দিলে এই ওষুধ কার্যকরী।

ও আর্সেনিক অ্যালবাম: শ্লেষ্মা, বারবার অল্প অল্প জল খেলে, শিশু অত্যন্ত অস্থির অবসন্ন হলে আর্সেনিক অ্যালবাম দিতে হবে।

ফেরাম ফস: যে কোনও জ্বরের পূর্বাবস্থায় দেওয়া হয়, শিশু খুব নিস্তেজ হয়ে পড়লে এই ওষুধ খেতে বলা হয়।

রাসটক্স: রোদ লেগে বা জলে ভিজে জ্বর হলে সারা শরীরে ব্যথা-অস্থিরতা থাকে। শিশুটি ছটফট করে। কিছুক্ষণ পরপর জ্বর ও ডায়ারিয়া হলে রাসটক্স উপকারী।

সর্দি কাশি বেলাডোনা: হঠাৎ ঠান্ডা লাগলে, চোখ মুখ লাল হয়ে গেলে, টনসিল বেড়ে গেলে এবং সবসময় আবৃত থাকতে চাইলে এই ওষুধ খেতে বলা হয়।

ব্রায়োনিয়া: সর্দির সঙ্গে বেশি হাঁচি, মাথার যন্ত্রণার মতো উপসর্গ এবং তার সঙ্গে শিশু যদি চুপচাপ শুয়ে থাকে, অনেকক্ষণ পর পর জল খেলে ব্রায়োনিয়া খুবই উপকারী। ড্রসেরা: হুপিং কাশির ন্যায় কাশি। শোয়ামাত্রই কাশির দমক উঠলে ড্রসেরা স্বস্তি দেয়।

রিউমেক্স: অত্যন্ত কষ্টদায়ক শুষ্ক কাশি, কাশতে কাশতে শিশু ক্লান্ত হয়ে পড়লে, রাতের দিকে কাশির বৃদ্ধি হলে এই ওষুধ দেওয়া হয়।

পাতলা পায়খানা ক্যামোমিলা: বদ মেজাজি, খিটখিটে স্বভাব, বড় ঘ্যান ঘ্যান করে, বায়না করে, দাঁত ওঠার সময় জ্বর ও ডায়ারিয়া দেখা দিলে এই ওষুধ বেশ কাজে আসে।