কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা নিরাময় কী?

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ধূমপান বেশি করেন এমন ব্যক্তির কনস্টিপেশনে আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকে। সেক্ষেত্রে ধূমপান ছাড়তে হবে।

- ডাঃ সত্যপ্রিয় দে সরকার

কনস্টিপেশন বা কোষ্ঠকাঠিন্য কী? আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে, কোনও ব্যক্তির সাধারণভাবে দিনে তিনবার পর্যন্ত স্কুল হওয়া স্বাভাবিক। আবার সপ্তাহে মাত্র তিনবার স্টুল হওয়াও আশ্চর্য নয়। তবে অন্যান্য জাতির তুলনায় ভারতীয়দের ডায়েটে শাকসব্জির মাত্রা বেশি থাকে। ফলে তাদের স্কুলের পরিমাণও বেশি হয়। এই হিসেবে ভারতীয়রা দিনে চারবার ল্যাট্রিনে গেলেও তা স্বাভাবিক। আবার ভারতীয়দের ক্ষেত্রে কনস্টিপেশন হচ্ছে কি না বুঝতে হলে দেখতে হবে তাদের সপ্তাহে চারবারের কম স্টুল হচ্ছে কি না।

কনস্টিপেশন যে হচ্ছে তা কোন কোন শারীরিক লক্ষণ দেখে বোঝা যাবে? হ্যাঁ, অনেকেরই হয়তো সপ্তাহে চারবার স্কুল হয়। তবে স্কুলের প্রকৃতি ভিন্ন হতে পারে। স্কুলের প্রকৃতি দেখেও বোঝা যেতে পারে ওই ব্যক্তি কনস্টিপেশনের সমস্যায় ভুগছেন কি না। ‘ব্রিস্টল স্থুল’ মাপদণ্ড অনুসারে ৭ ধরনের স্কুল হতে পারে। ১) খণ্ড খণ্ড হয়ে গোলাকার বাদামের মতো শক্ত মল বেরতে পারে। মলের রং কালো হতে পারে। ২) লাম্পযুক্ত সসেজের আকারের মল। ৩) একাধিক ফাটলযুক্ত সসেজের আকৃতির মল। মলের রং কালো হতে পারে। ৪) সর্পাকৃতি মল। গাত্র মসৃণ এবং প্রকৃতিতে নরম। ৫) ক্ষুদ্র আকারের বড়ির মতো মল। । ফোলা এবং ছিদ্রযুক্ত প্রান্তদেশসহ মল বা নরম মাশরুমের মতো স্টুল। (ডায়ারিয়া হলে এমন মল বেরতে পারে)।

৭) জলের মতো মল। (ডায়ারিয়া) ব্রিস্টল স্টুল স্কেল অনুসারে, কোনও ব্যক্তির প্রথম এবং দ্বিতীয় প্রকৃতির মল বেরনোর অর্থ ওই ব্যক্তির কনস্টিপেশনের সমস্যা হচ্ছে। স্কুলে জলের স্বাভাবিক পরিমাণও অনেক কম থাকছে।

কনস্টিপেশনের আরও একটি শর্ত হল কোনও ব্যক্তিকে চাপ প্রয়োগ করে বা কোঁত দিয়ে মল প্রয়োগ করতে হচ্ছে কি না। চাপ দেওয়ার ফলে পেরিঅ্যানাল এরিয়া বা মলদ্বারের চারপাশে ব্যথা শুরু হয়। এমনকী কিছু কিছু ক্ষেত্রে রক্তপাতও হয়। এছাড়া মলত্যাগের সময় বেশি সময় লাগছে কি না সেই বিষয়টিও দেখা দরকার। আবার বেশি চাপ প্রয়োগ করে মলত্যাগ করার কারণে ফিসার-এর মতো সমস্যাও তৈরি হয় অনেকের। এগুলিও কনস্টিপেশনের গুরুত্বপূর্ণ দিক। .