অম্ল ও ক্ষার শরীরের জন্য কতটা জরুরি?

দেখা গেছে, ক্যান্সার রোগে ক্ষতস্থানে ক্ষারত্বের মাত্রা (কলায়) বৃদ্ধি করার ফলেও কোনওরকম সুফল পাওয়া যায়নি।

ডঃ বিভাষ চন্দ্র মজুমদার খা |-দ্যের মান বা গুণাবলি নির্ণয় করা হয় পুষ্টির ওপর। পুষ্টি বলতে বোঝায় ছয় শ্রেণির রাসায়নিক পদার্থ— প্রোটিন, শর্করা, স্নেহজাতীয় পদার্থ, ভিটামিন, খনিজ পদার্থ ও জল। অর্থাৎ কোন খাদ্যের গুণমান কত, তা নির্ভর করে এই পৌষ্টিক উপাদানগুলো সেই খাদ্যে কতটা পরিমাণ আছে তার ওপর। এর কারণ, এই উপাদানগুলো শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির প্রয়োজনে ও রোগ প্রতিরোধ করায় একান্তভাবে অপরিহার্য। পুষ্টিবিজ্ঞানে, খাদ্যের দু’টি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। যা হল, কোন খাদ্যে কোন পৌষ্টিক উপাদান কী পরিমাণ আছে, তা নির্ধারণ ও শ্রেণিবিভাগ এবং দ্বিতীয়ত, উপযুক্ত প্রযুক্তির প্রয়োগে উপাদানগুলোর পরিমাণ ও উৎকর্ষতা বৃদ্ধি করা।

বর্তমান যুগের একশ্রেণির খাদ্য বিজ্ঞানীদের মতে, কোন খাদ্যের কী গুণ, তা শুধুমাত্র সেই খাদ্যের পুষ্টিগত উপাদানের ওপরেই নির্ভর করে না। এছাড়াও, আর একটি গুণ আছে, যা হল, সেই খাদ্য গ্রহণের ফলে শরীরে কী পরিমাণে অম্লত্ব (Acidity) অথবা ক্ষারত্ব (Alkalinity) তৈরি হয়, তার ওপর। অর্থাৎ কয়েক ধরনের খাদ্য গ্রহণে, শরীরের বিভিন্ন কলায় টিস্যু এবং বিশেষত রক্তে অম্লত্ব বৃদ্ধি পেতে দেখা যায় এবং অপর পক্ষে, অন্য ধরনের খাদ্য গ্রহণে অম্লতার পরিবর্তে ক্ষারত্ব বৃদ্ধি পায়।

যে সব খাদ্য অপেক্ষাকৃত বেশি অম্ল উৎপাদন করে, সেগুলোকে বলা হয় অম্ল উৎপাদনকারী খাদ্য। যে সব খাদ্য অপেক্ষাকৃত বেশি পরিমাণে ক্ষার উৎপাদন করে, সেগুলোর নাম হয়েছে ক্ষার উৎপাদনকারী খাদ্য। অম্ল উৎপাদনকারী খাদ্য সবসময় অম্লস্বাদযুক্ত নাও হতে পারে। যেমন বলা যায়, পাতিলেবু ও লেমন লেবু অতি অম্লস্বাদের হলেও, এগুলি বিশেষভাবে ক্ষার উৎপাদনকারী খাদ্যের মধ্যে পড়ে।