বলি সেলেবদের গুরুদক্ষিণা

অথচ সেই সময় বেশ কিছু অন্য ছবিতে সই করেন বিদ্যা। প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও কাজে নিজের ক্ষোভ বুঝিয়ে দেন তিনি।

গুরু-শিষ্য একই আত্মা, শিষ্য যদি দর জাগায়/ শিষ্য হইতে গুরুর উদ্ধার, এমন শিষ্য কয়জন হয়। লালন সাঁই সে কবে বলে গিয়েছিলেন গুরু-শিষ্য পরম্পরার সারসত্যটি। গুরুকে উদ্ধার করা তো অনেকের দূরের বিষয়। গুরুর দেখানো পথ ধরে হেঁটে সাফল্যের চুড়োয় বসেছেন যাঁরা পরবর্তীকালে সেই গডফাদারকেই তুলোধনা করতে পিছপা হননি বলি সেলেবরা।

প্রতিটি সফল অভিনেতার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে একজন তুখোড় পরিচালকের হাতযশ। আবার স্টারডম ও পরিচালকের টানাপোড়েনের কাহিনি বহু পুরনো। আশা পারেখ তখন নিতান্তই খুকি। তাঁকে দেখে বাতিল করে

দেন পরিচালক বিজয় ভাট। হতাশ আশা তখন একটা মাত্র সুযোগের অপেক্ষায়। এমন সময় তাঁর সৌন্দর্যকে আবিষ্কার করেন নাজির হুসেন। শশধর মুখার্জির কাছে নিয়ে যান তাঁকে৷ ‘দিল দেকে দেখ’ ফিল্মের জন্য শাম্মি কাপুরের সঙ্গে নায়িকার চরিত্রে আশাকে বেছে নেন শশধর মুখার্জি। এরপর নাজির হুসেনের একের পর এক ফিল্মেও সুযোগ পান তিনি। সাফল্যের চুড়োয় উঠে নাজিরকেই ভুলে যান আশা।

এখনও সেই ধারা বজায় রয়েছে – সেলেবদের অকৃতজ্ঞতায় বহু পরিচালক ও মেন্টর অসম্মানিত হয়েছেন। নানা সময়ে। যে পরিচালকের হাত ধরে কেরিয়ারে দাগ কেটে যাওয়ার মতো ছবিটি করেছেন তাঁকেই পরে মনে রাখেননি তারকারা।

শুরুটা করা যাক বিটাউনের ভাইজানকে নিয়ে। সলমনের কেরিয়ারে বরাবরই আলাদা মাত্রা যোগ করেছে সঞ্জয় লীলা বনশালির ‘খামোশি’ ও ‘হম দিল দে চুকে সনম' ছবি দুটি। অথচ ১৯৯৯ সালে ঐশ্বর্য রাইয়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘হম দিল দে চুকে সনম' ফিল্মটির পর বনশালির কোনও ফিল্মে নায়কের ভূমিকায় দেখা যায়নি তাঁকে। মাঝে ‘সাঁওয়ারিয়া’- ছবিতে গেস্ট অ্যাপিয়ারেন্স— তাও রণবীর কাপুর সনম কাপুরের অনুরোধে।