লিভার ভালো রাখার ডায়েট

তাই প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্কের উচিত নিজেদের ডায়েটে নিয়ন্ত্রণ আনার পাশাপাশি বাড়ির শিশুদেরও ডায়েটে সংযমের শিক্ষা দেওয়া৷

- শতভিষা বসু

 লিভার কী? লিভার বা যকৃৎ একটি অঙ্গ যা আমাদের পেটের ডানদিকে থাকে। লিভারে তৈরি হয় পিত্ত রস। প্রত্যেক অঙ্গের একএকটি ইউনিট বা একক থাকে। লিভারের একক হল লিভারের কোষ। কোষগুলি এক সঙ্গে মিলে মিশে একটি লোবিউল তৈরি করে। এই লিভার লোবিউল থেকে ছোট ছোট নালী বের হয়। নালীগুলি যুক্ত হয়ে তৈরি করে পিত্তনালী। লিভারের ডানদিক থেকে আসে রাইট বাইল ডাক্ট। বাম দিক থেকে আসে লেফট বাইল ডাক্ট। এরা একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তৈরি করে কমন বাইল ডাক্ট বা সাধারণ পিত্তনালী। লিভার থেকে নিঃসৃত পিত্তরস ফ্যাট হজম ও শোষণে সাহায্য করে।

লিভার ভালো রাখার উপায়— লিভার ভালো রাখার ক্ষেত্রে প্রথম শর্তই হল মাত্রাতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাদ্য পরিহার করা। কারণ চর্বি জাতীয় খাদ্য বেশি খেলে লিভারে ফ্যাট জমতে শুরু করে। আর লিভারের যে যে সমস্যায় মানুষ ভোগেন তার মধ্যে ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই বেশি। অথচ চাইলেই ডায়েটের মাধ্যমে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা অনেকখানি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। প্রশ্ন হল শরীরে চর্বির মাত্রা বাড়ায় কোন কোন খাদ্য? প্রথমেই ফাস্টফুডের কথা বলা দরকার। ময়দার তৈরি চাউমিন, বার্গার, প্যাটিস, পাস্তা, এগরোল, মোগলাই খাওয়া বর্জন করতে হবে।

• মাত্রাতিরিক্ত ভাজাভুজি খাওয়া যাবে না একেবারেই। বাদ দিতে হবে শিঙাড়া, চপ, ফিশফ্রাই, চিকেন পকোড়া, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই-এর মতো খাদ্য।

 • প্রিজারভেটিভ দেওয়া যে কোনও খাদ্যই রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডস-এর মাত্রা বাড়ায়। ট্রাইগ্লিসারাইডস লিভারের ভয়ঙ্কর শত্রু। অতএব সম্পূর্ণভাবে ছাড়তে হবে সসেজ, নাগেটস-এর মতো প্রিজারভেটিভ দেওয়া খাদ্য। খাওয়া যাবে না প্যাকেটজাত খাবারও। • মাত্রাতিরিক্ত মাখন, ঘি খাওয়ার অভ্যেসও রক্তে