আজ স্বামীজিকে বড় প্রয়োজন

তিনি একবার স্বামীজিকে বলছেন, How best can we serve you Swamiji? উত্তরে স্বামীজি বললেন, অন্য কিছু নয়, Love India Serve India তবেই আমার সেবা হবে। সবচেয়ে বেশি পরিতপ্ত হব।

অদ্ভুত এক আঁধার এসেছে এ পৃথিবীতে আজ/ যারা অন্ধ, সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দ্যাখে তারা/ যাদের হৃদয়ে কোনো প্রেম নেই, প্রীতি নেই, করুণার আলোড়ন নেই/ পৃথিবী অচল আজ তাদের সুপরামর্শ ছাড়া’— আজকের সমাজের এই হল বাস্তব চিত্র। তাই দেখা যায় সর্বত্র বিশৃঙ্খলা, বিভেদনীতি, বিদ্রোহ, বিদ্বেষ যা পরিণতি— বিনাশ!

কিন্তু কেন? ৮০০ বছর ধরে শক, হুন, পাঠান, মোঘল, পর্তুগিজ সব শেষে ইংরেজদের দ্বারা ভারত এবং ভারতবাসীরা হয়েছে নিপীড়িত, লাঞ্ছিত, লুণ্ঠিত এবং ধর্ম হয়েছে কলুষিত। যুগের প্রয়োজনে তাই সপ্তর্ষী মণ্ডল থেকে ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণদেব নিয়ে এলেন বীরেশ্বর বিবেকানন্দকে। ভারতের পুনর্জাগরণ এবং ধর্মের উত্থানের ভার দিলেন তাঁকে। জাগল ভারত, উত্থান হল নবযুগধর্মের। পরাধীন ভারত পেল স্বাধীনতার স্বাদ। কিন্তু আজও আমরা শ্রীরামকৃষ্ণদেবের ভাব এবং বিবেকানন্দের শিক্ষা পরিপূর্ণভাবে গ্রহণ করতে পারিনি। আজকের এই সমাজ চিত্র তারই প্রতিফলন।

N একটু ফিরে যাই পিছনে...। আমেরিকার শিকাগোতে কলম্বাস হলে শুরু হতে চলেছে বিশ্বধর্ম মহাসম্মেলন। অনিমন্ত্রিত এক হিন্দু র সন্ন্যাসী সেখানে গেলেন যোগ দিতে। পরিচয়পত্র নেই। একদম অপরিচিত। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রিক ভাষার অধ্যাপক প্রফেসর জন রাইট এই নবীন সন্ন্যাসীর সঙ্গে পরিচিত হয়ে মুগ্ধ হলেন। বললেন, ‘আপনার কাছে ই পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়া, আর সূর্যকে তার আলো দেওয়ার কি অধিকার আছে, জিজ্ঞাসা করা একই কথা।' তবু নিয়মমাফিক পরিচয়পত্র লিখতে হল, তিনি লিখলেন, 'ইনি এমন একজন ব্যক্তি যে, সমস্ত আমেরিকার অধ্যাপকদের পাণ্ডিত্য এক করলেও এঁর পাণ্ডিত্যের সমান হবে না।' শুধু তাই নয়, তিনি শিকাগো পর্যন্ত টিকিটও কিনে দেন, সঙ্গে কিছু টাকাও দেন যাতে অজ্ঞাত স্থান শিকাগোতে গিয়ে তাঁকে অসুবিধাতে না পড়তে হয়। ১১ সেপ্টেম্বর ১৮৯৩ সাল ১২টি - ধর্মের প্রতিনিধি এসেছিলেন এই ধর্ম মহাসম্মেলনে যোগ দিতে। অল্প কথায় ওই হিন্দু সন্ন্যাসী তদানীন্তন