যিশুখ্রিস্ট ও পঁচিশে ডিসেম্বর

উৎসবের ফোকাস এভাবেই বদলে বদলে যায়। ইন্টারনেট আর সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর মানুষের বিপুল নির্ভরতার কারণে মানুষের মনকে প্রভাবিত করা আজ আরও সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

- মোনালিসা চন্দ্ৰ

আজ শুভদিন আজ বড়দিন সূর্যি-তারা হাসে যিশুবাবা জন্ম নিলেন আস্তাবলের ঘাসে। সারা বিশ্বের লোক জানে যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন ‘বড়দিন’-এ অর্থাৎ ২৫ ডিসেম্বর। আর তাঁর জন্মসাল পয়লা খ্রিস্টাব্দ। বস্তুত তাঁর জন্মগ্রহণের বছরটিকে সম্মান জানিয়েই ধরাতলে শুরু হয়েছিল খ্রিস্ট অব্দ (সন্ধি করলে যা দাঁড়ায় খ্রিস্টাব্দ) গণনা, পরবর্তীকালে যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বছর গণনার মুখ্য রীতি।

কিন্তু এখন যদি বলা হয় যিশুখ্রিস্ট মোটেই ২৫ ডিসেম্বর জন্মাননি, তাঁর জন্মের কয়েকশো বছর পরে অনেক ভাবনা চিন্তা করে তাঁর জন্মদিনটিকে ওই দিনে ‘ফেলা’ হয়েছিল তাহলে কার না ভ্রু কুঁচকোয়? হ্যাঁ, এই রকমটিই মনে করেন এই বিষয়ে অনুসন্ধানী গবেষকেরা। ঐতিহাসিক সত্যগুলো সবসময় যে খুব মনপসন্দ হয় তা নয়। তবে আমাদের অপছন্দের ভ্রুকুটিতে সত্যের কিছু যায় আসেও না, তাই পছন্দ হোক বা না হোক সত্যকে গলাধঃকরণ করতেই হয় আমাদের।

এবার কিছু তথ্যের কথায় আসা যাক। খ্রিস্টের জীবন ও বাণী সংবলিত মহান যে গ্রন্থ বাইবেল, সেই বাইবেলের কোথাও নাকি বলা নেই যিশুর জন্ম ২৫ ডিসেম্বর। প্রকৃতপক্ষে, প্রথম তিনটি শতাব্দীতে যিশুর জন্মদিন কোথাও পালন করা হয়েছিল এমন নজিরও ইতিহাসে নেই। সেই সময় বরং অনেক বেশি গুরুত্ব ও ভক্তিসহকারে পালন করা হতো বা হয় ইস্টার, অর্থাৎ মৃত্যুর পরে যিশুর পুনরুত্থানের দিনটি। যিশুর জন্মদিন হিসেবে ২৫ ডিসেম্বরের বদলে ৬ জানুয়ারি তারিখটিকেও কোথাও কোথাও মান্যতা দেওয়া হতো। কিন্তু কেন সেই তারিখ, তারও কোনও সদুত্তর কোথাও মেলে না।