দাওয়াইপানি শিয়রের পাশে রূপসী কাঞ্চনজঙ্ঘা

দাওয়াইপানি ছেড়ে সিটং-এর পথে যতই এগচ্ছি, পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখি কাঞ্চনজঙ্ঘা হাত নেড়ে বিদায় জানাচ্ছে।

- মাধব ভট্টাচার্য

পা হাড়ের কোলে ছোট্ট একটা গ্রাম। গ্রামের নাম দাওয়াইপানি। দার্জিলিং শহরের ঘুম রেল স্টেশনের থেকেও উচ্চতায় কিছুটা বেশি। চড়াই উতরাইয়ের রোমাঞ্চকর পথ দাওয়াইপানি থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে যেন হাত বাড়ালেই পাওয়া যায়।

যাওয়ার পথটা আগে বলে নিই। কলকাতা থেকে ট্রেনে নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছে তাকদা-লামাহাটাগামী জিপ ধরে দাওয়াইপানি পৌঁছনো যেতে পারে। ঘণ্টা চারেকের পথ। আমরা অবশ্য নিজেদের গাড়ি নিজেরাই চালিয়ে গিয়েছিলাম। আমাদের দুটো গাড়িতে মোট ন'জন যাত্রী। তার মধ্যে সত্তরোর্ধ চারজন। কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে ধরে কল্যাণী পৌঁছে ঈশ্বর গুপ্ত সেতু পেরিয়ে আদি সপ্তগ্রাম-কৃষ্ণনগর-নবদ্বীপ বাইপাস ধরে

বহরমপুর, ফারাক্কা রায়গঞ্জ হয়ে শিলিগুড়ি। শিলিগুড়ির সেবক রোড লাগোয়া শালুগোড়া বনবাংলোয় যখন পৌঁছলাম তখন প্রায় সকাল আটটা। সেখানেই ফ্রেশ হয়ে ব্রেকফাস্ট ও লাঞ্চ সেরে বেরতে বেরতে বেলা তিনটে হয়ে গেল। ম্যাপ পথ দেখিয়ে নিয়ে চলেছে। শালুগোড়ার বনবাংলো থেকে বেরিয়ে সেবক রোড ধরে ঘন অরণ্য গুহার পথে গাড়ি চলল বেশ কিছুট সময়। রাতের অন্ধকারে কখনও কখনও এ পথে হাতির দেখা মেলে বলে শুনেছি। জঙ্গল পেরিয়ে পাহাড়ি পথ—চড়াই উতরাই। কালিম্পংয়ের রাস্তা ধরে মংপুকে এক ধারে রেখে তাকদা-লামাহাটার পথে মাইলস্টোন পেষক চা বাগান। এখান থেকে দাওয়াইপানির পথ বেশ খানিকটা দুর্গম। রাতের অন্ধকারে দুর্গম অচেনা পথ খুঁজে গন্তব্যে পৌঁছনোটা ছিল বেশ উত্তেজনাপূর্ণ অভিজ্ঞতা। এখানে কোনও হোটেল নেই। কয়েকটা হোম স্টে আছে।