নিঃশব্দ পাথরের কথা ভাসাই ফোর্ট

তখন এই দুর্গ বরং সবুজের রঙে আরও উজ্জীবিত হয়ে উঠবে। যেমন ভাবা তেমনই চলা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়িতে শরীরটাকে এলিয়ে দিলাম।

- সুমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়

স্বইয়ের আকাশে যেন আগুন ঝরছে। হাঁসফাঁস করা গরম। তবুও অনড় মন। এই গরমেই বেরিয়ে পড়তে হবে। গন্তব্য পাঁচ শতাব্দী প্রাচীন ভাসাই ফোর্ট। মারাঠিতে ‘ভাসাই কিল্লা'। আর পর্তুগিজে ‘ফোর্টালেজা দে সাও সেবাস্তিয়াও দে বাকাইম' এবং ইংরেজিতে 'ফোর্ট বাসেইন' নামে পরিচিত। মহারাষ্ট্রের কোঙ্কন বিভাগের ভাসাই শহরে অবস্থিত প্রায়-ধ্বংসপ্রাপ্ত এই দুর্গ। ইন্দো-পর্তুগিজ যুগে দুর্গটি ‘সেন্ট সেবাস্তিয়ানের দুর্গ' নামে পরিচিত ছিল। দীর্ঘদিন ধরে, এটি এক গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যকেন্দ্র এবং পর্তুগিজদের ভারতের পশ্চিম উপকূলে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি ছিল। মুম্বইয়ের উত্তরে ৩০ কিমি দূরে, ভাসাই ক্রিকের তীরে এই ফোর্ট। ষোড়শ শতকে পর্তুগিজরা দুর্গটি নির্মাণ করে। তারা প্রায় তিনশো বছর ধরে এই দুর্গ থেকে শাসন করেছিল। ১৭৩৯ সালে মারাঠারা পর্তুগিজদের কাছ থেকে দুর্গটি জয় করে নেয়। ব্রিটিশ শাসনকালে দুর্গটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হতো। ভারতের স্বাধীনতার পর ভাসাই ফোর্ট একটি পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়।

বিশাল আকার এবং ঐতিহাসিক স্থাপত্যের জন্য বিখ্যাত দুর্গটিতে বেশ কিছু গির্জা, ক্যাথিড্রাল, মন্দির ও প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। এর দেওয়াল এবং বুরুজগুলি থেকে ভাসাই ক্রিক (খাঁড়ি) এবং খানিকটা মুম্বই শহরের দৃশ্য দেখা যায়। মুম্বই ভ্রমণকারীদের জন্য এটি অবশ্যই দর্শনীয় স্থান।