ব্ৰহ্মা নন্দিনী

রামায়ণে অহল্যা এবং ঋষি গৌতমের গল্পে, অহল্যাকে অভিশাপ দিয়ে পাথরে পরিণত করা হয়। ব্রহ্মার আদেশে গৌতম তাঁকে পালন করে বিবাহ করেন, কিন্তু দেবরাজ ইন্দ্রের ষড়যন্ত্রে অহল্যা অপবিত্র হন। শেষে গৌতমের শাপে অহল্যা নদী রূপে রূপান্তরিত হন এবং শাপমুক্ত হন।

-  পূর্বা সেনগুপ্ত

ঋষি গৌতমের স্ত্রী অহল্যাকে অভিশাপ দেওয়ার ফলে পাথর হয়ে যাওয়ার ঘটনা বর্ণিত হয়েছে রামায়ণে। কিন্তু বিভিন্ন পুরাণে অহল্যার প্রতি গৌতমের অভিশাপের ভিন্নতা দেখা যায়। কোথাও বলা হয়েছে ঋষি অহল্যাকে বলেছেন, অন্ন ছাড়া কেবল বায়ু ভক্ষণ করে জীবনপাত কর। ব্রহ্মপুরাণে ঋষি গৌতম স্ত্রীকে বলেছিলেন, তুমি একটা শুষ্ক নদী হয়ে যাও। যার গতি নেই, যা স্থানু।

পুরাকালে স্বয়ং পিতামহ ব্রহ্মা রূপ ও বহুবিধ গুণসম্পন্না এক কন্যাকে সৃষ্টি করেছিলেন। তাঁর নাম দিলেন অহল্যা। ব্রহ্মা তাঁকে দেখে বললেন, এই সর্বোৎকৃষ্ট কন্যাটিকে পালন করা কি আমার পক্ষে সম্ভব হবে? আমি তপস্যায় মগ্ন থাকলে কী করে এই কন্যাকে রক্ষা করব? চিন্তা করে তিনি সেই শিশুকন্যা ঋষি গৌতমের হাতে দিয়ে বললেন, “ঋষিবর, এই কন্যাকে পালন করুন। কন্যা যখন বিবাহযোগ্যা হয়ে উঠবে তখন আপনি তাঁকে আমার কাছে নিয়ে আসবেন।' ব্ৰহ্মা