দি ল্লির কাশ্মীরি গেট থেকে সন্ধের বাতানুকূল বাসে চণ্ডীগড় হয়ে মানালি আসতে প্রায় ১৩ ঘণ্টা সময় লাগল । তখনও আকাশে আলো ফোটেনি। একটা গাড়ি ভাড়া করে চলে এলাম আরও এক নির্জন ঠিকানায়— জগৎসুখ। রাস্তার পাশেই গঞ্জ। তিন বন্ধু উঠলাম একটি হোমস্টেতে।
আকাশ একটু ফরসা হতেই প্রকৃতিদর্শন হল। মাইলের পর মাইল জুড়ে শুধুই আপেলবাগান । মাঝে মাঝে কিছু ঘরবাড়ি। আকাশের প্রান্তসীমায় তুষারধবল শৃঙ্গেরা। আলুর পরোটা দিয়ে প্রাতরাশ সেরে হোমস্টের বাইরে এলাম। বেজায় ঠান্ডা। পর্যটকদের ভিড় নেই। পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে হিমাচলের সাবেকি কাঠকোনা শৈলীর কাঠের বাড়ির সংখ্যা বেশ কমে গিয়েছে। এখন সবই কংক্রিটে বানানো।
শর্বরী মাতার মন্দিরটি দেখে নিলাম । এখানকার অর্জুন গুহাও বেশ বিখ্যাত। কথিত আছে, এখানে অর্জুন শিবের আরাধনা করেন, শিবকে তুষ্ট করে পাশুপত অস্ত্র লাভ করেন। যদিও মন্দিরে পূজিত হন শ্রীকৃষ্ণ ।
হোমস্টের মালিক বিকাশবাবুর নিজেরও বেশ কয়েক বিঘা আপেল বাগিচা আছে। বাড়ির পিছন দিকে নেমে যাওয়া অপরিসর রাস্তা ধরে নিয়ে গেলেন বাগানে। কাঁটাতারের দরজার ওপাশে মাঝারি উচ্চতার সব গাছ আপেলের ভারে ঝুঁকে আছে। হিমাচলের লাল আপেল তিন ধরনের। গোল্ডেন আপেলের খেত অবশ্য আলাদা। এখানে আপেল পাড়া নিষিদ্ধ কিনা জানি না। তাই কেবল আপেলের ছবি তুলে চলেছি। বিকাশবাবু বললেন, পাড়তেও পারেন। বেশ কয়েকটা আপেল পেড়ে কামড় বসালাম। খুবই মিষ্টি।
বিকাশবাবুর বাগান পেরিয়ে যত এগনো যায়, ততই পথের দু'পাশ জুড়ে আপেল বাগানের ঘনত্ব বাড়তে থাকে। যেখানে বাগান শেষ, সেখান থেকে বেশ কিছুটা এগিয়ে নীচে সমতল খাদ। মানালিকে দেখা যাচ্ছে। নদীর ধ্বংসলীলার কিছু ছাপ এখনও দগদগে। অন্য দিকে, এখান থেকে আপেল বাগিচা আর উপরের জগৎসুখকেও চমৎকার দেখাচ্ছে। বিভোর হয়ে ছবি তুলছি, হঠাৎ দেখি বিকাশবাবু ছুটে আসছেন। কাছে এসে হাঁফাতে হাঁফাতে বললেন, ‘অনেক বাগান মালিক বাগান পাহারা দেওয়ার জন্য পোষা শিকারি কুকুরদের ছেড়ে রাখে, একা আগন্তুক দেখতে পেলেই তারা ঝাঁপিয়ে পড়ে। কাজেই সাবধান!”
ঝলমলে রোদ্দুর মাখা দিন। হিমেল বাতাস বইছে। মানালি থেকে জগৎসুখ হয়ে রাস্তা গিয়েছে নাগারে। হিমাচল পর্যটন দপ্তরের লোকাল বাস যায়। এক পাশে পাহাড়, অন্য পাশে বেশ কিছু বসতি। বসতির নীচে ধাপে ধাপে নেমে গিয়েছে আপেলখেত।
Esta historia es de la edición April 2024 de Bhraman.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor ? Conectar
Esta historia es de la edición April 2024 de Bhraman.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor? Conectar
বসন্তে মানাং
নেপালের বেসিশহর থেকে মার্সিয়াংদি নদীর তীর ধরে মানাং ৯৮ কিলোমিটার। এখন ফোর হুইল গাড়িতে পৌঁছনো যায়। যাত্রাপথের আকাশ জুড়ে নামি নামি তুষারশৃঙ্গ আর মার্সিয়াংদির বয়ে চলা নিবিড়ভাবে দেখতে চাইলে মাঝপথে খানিক আনন্দময় পদযাত্রাও করতে পারেন। বসন্তে মানা গেলে ফোটা ফুলের শোভা বাড়তি পাওনা।
কর্ণাবতীর পাড়ে
কর্ণাবতী বা কেন নদী বয়ে গেছে পান্না অরণ্যের মধ্য দিয়ে। ঘন সবুজ বন, নীল নদী, পাথুরে নদীতট, গভীর গিরিখাত, ঝরনা আর অরণ্যের রাজা-প্রজাদের নিয়ে পান্নার জঙ্গলের কোর অঞ্চল খোলা থাকে অক্টোবর থেকে জুন। বাফার অঞ্চলে যাওয়া চলে বছরভর। খাজুরাহো থেকে পান্না ৩০ কিলোমিটার।
পৌষ সংক্রান্তির শিলাই পরব
পুরুলিয়ার হুড়া থানার বড়গ্রামে শিলাই নদীর উৎপত্তি। প্রতি বছর পৌষ সংক্রান্তিতে নদীর উৎসস্থলে বসে টুসু বিসর্জনের মেলা। এবারের শিলাই পরব শুরু হবে ১৪ জানুয়ারি।
জয়পুর হয়ে ভানগড় মনোহরপুর সরিস্কা
রাজস্থানের জয়পুরে ঘোরাঘুরি খাওয়াদাওয়া সেরে ভূতুড়ে দুর্গ ভানগড় দেখে সরিস্কা অরণ্য। ভানগড় থেকে সরিস্কার পথে মনোহরপুরের বাড়োদিয়া গ্রামে এক মনোরম নিশিযাপন।
শিবখোলার তীরে লিঝিপুর
কার্শিয়াং থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে লিঝিপুরে এসে গোটাদিন কাটিয়ে যেতে পারেন। যাঁরা শিবখোলার ধারে লিঝিপুরে একটা রাত কাটাতে চান, তাঁরা নদীর ধারে বসে একবেলা পিকনিকও করতে পারেন।
নাচুনে হরিণের দেশে
চিরকালের শান্তির রাজ্য মণিপুর ঢেকে গেছিল অশান্তির কালো মেঘে। এখন সেই মেঘ কেটে ধীরে ধীরে শান্তির আলো ফিরছে ক্রমশ। তবে সব জায়গা পর্যটকের জন্য উন্মুক্ত হয়নি এখনও। এই অগস্টের ভ্রমণকথা ।
বরাক উপত্যকার বনবাদাড়ে
দক্ষিণ আসামের বরাক উপত্যকার করিমগঞ্জ জেলার দসদেওয়া গ্রাম ও তার আশপাশের জঙ্গলে পাখপাখালির ভরা সংসার। পর্যটনের পরিকাঠামো গ্রামে সেভাবে গড়ে ওঠেনি, তাই পাখি আর প্রকৃতির সৌন্দর্যের টানে যাঁরা আর সব অসুবিধা তুচ্ছ মানেন, শুধু তাঁরাই যাবেন এই আরণ্যক গ্রাম ভ্রমণে।
জামনগর
শীতের জামনগর এক বিস্ময়নগরী। একদিকে রমরমিয়ে চলছে শিল্পতালুকের কর্মকাণ্ড, অন্যদিকে একের পর এক জলাভূমি অতিথি পাখিদের ভিড়ে যেন নন্দনকানন ।
তিন সংস্কৃতি-স্পর্শী স্পেনের টলেডো
সকাল সাতটায় বেরিয়েছি, ভোরের আলো তখনও ফোটেনি। বড়দিনের ছুটিতে আধঘুমে থাকা মাদ্রিদের শুনশান রাস্তা যেন হলিউডের মার্ডার মিস্ট্রি সিনেমার সেট। লাজ-মাদ্রিদ গেস্ট হাউস থেকে বড় রাস্তায় এসে বাসের পিক-আপ পয়েন্ট খুঁজলাম। টলেডো ট্যুরে আমাদের সঙ্গী দিল্লির এক ভারতীয় পরিবার। বাস ছাড়ল মাদ্রিদ থেকে, টলেডোর দিকে। পাহাড়, নদী আর ইতিহাসে মোড়া শহরটিতে পৌঁছে দেখি ইউনেস্কোর স্বীকৃত প্রাচীন নিদর্শন। সংকীর্ণ রাস্তা, সিনাগগ, ক্যাথিড্রাল আর এল গ্রেকোর শিল্পকর্ম—টলেডো যেন ইতিহাসের এক জীবন্ত জাদুঘর।
তাইগা ফ্লাইক্যাচার
তাইগা ফ্লাইক্যাচার (Taiga Flycatcher), বৈজ্ঞানিক নাম Ficedula albicilla, একটি শীতকালীন পরিযায়ী পাখি, যা মূলত ভারতীয় উপমহাদেশের পূর্ব, মধ্য এবং উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে দেখা যায়। এরা ঝোপঝাড়, চাষের জমি ও ছোট গাছপালার আশেপাশে বিচরণ করে। পাখিটির গড় দৈর্ঘ্য ১১-১২ সেন্টিমিটার। প্রজননকালে পুরুষ পাখিটির গলার গেরুয়া কমলা রঙ খুব উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। স্ত্রী পাখি এবং প্রথম বছরের পুরুষ পাখির রং অপেক্ষাকৃত হালকা। এদের প্রধান খাদ্য পোকামাকড়, যা তারা মাটি, গাছ বা শূন্য থেকে শিকার করে। লেখা ও ছবি: সৌম্যজিৎ বিশ্বাস