হৃদয় ছুয়ে যায়

উনি মেয়েকে আদর করে ননদের দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘খুব মিষ্টি! তোমার মেয়ে বুঝি?’ ননদ উত্তর দেয়, ‘হ্যাঁ, কেন আমাদের দু’জনের মধ্যে সিমিলারিটি নেই?’

ব্যাংকে তখন আমার নতুন চাকরি। আমার লাজুক স্বভাবের জন্য ব্যাংকে কারও সঙ্গেই আমার ঘনিষ্ঠ মেলামেশার সুযোগ তখনও হয়ে ওঠেনি। সারাদিন মুখ বুজে আমি নিজের কাজ করে যেতাম। তবুও আমার বস আমার উপর সন্তুষ্ট ছিলেন না। ভিতরে ভিতরে আমি খুবই উতলা হয়ে উঠছিলাম। কিছুতেই বুঝতে পারতাম না, ঠিক করে কাজ করার পরেও কেন ওরা সন্তুষ্ট নয়।

একাদন বেয রাখতে না পেরে বস-এর উপর আমি আমার ক্ষোভ উগরে দিই, আমাদের কথা কাটাকাটির মাঝখানেই ব্যাংকের ইস্টার্ন জোনাল হেড ব্যাংকে প্রবেশ করেন এবং সোজা আমার সামনে এসে ঝগড়ার কারণ জিজ্ঞেস করেন।

ওনার কাছে কারণ খুলে বললে, উনি আমাকে একটা কথা বলেন, যেটা আমার হৃদয়কে স্পর্শ করে। উনি বলেন, ‘একটা কথা সবসময় মনে রাখবে, নিজের কাজ দিয়ে কখনও সবাইকে সন্তুষ্ট করতে পারবে না। শুধু নিজেকে সন্তুষ্ট করতে কাজ করে যাও। তুমি যদি নিজের বেতন অনুযায়ী ঠিকমতো কাজ করছ মনে করো এবং নিজে সন্তুষ্ট, তাহলে চিন্তা বা রাগ করার কোনও কারণ নেই।' আজ ওই জোনাল হেড ভদ্রলোক আর বেঁচে নেই। কিন্তু ১৮ বছরের ব্যাংকের এই চাকরি জীবনে ওনার বলা প্রতিটা কথা আমায় প্রতিটা ক্ষেত্রে প্রচুর সাহায্য করেছে।

অজিত কয়াল, সুন্দরবন