শ্রীলঙ্কা কাও

রাবণরাজার দেশ সিংহল। পুরাণ, সংস্কৃতি মিলেমিশে এক হয়ে যায় এখানে। বাড়তি পাওনা নৈসর্গিক প্রকৃতি। প্রতিবেশি দেশে সপ্তাহযাপনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়।

করোনা আমাদের দেশে তখনও অফিশিয়ালি আসেনি। হোয়াটসঅ্যাপে ঘুরছে তার ছবি। আমরা অকুতোভয়। আমাদের দেশে করোনার থাবা পড়বে না। এমনই সময় কলকাতার আদরের শীত থেকে মাত্র আটটা দিন চুরি করে গরমের দেশে পাড়ি দেওয়া। বিজয় সিংহ সিঙ্গুর থেকে সমুদ্রপথে পাড়ি দিয়েছিল যেখানে। রামরাজ্য থেকে রাবণরাজ্যের দিকে।

সেই শ্রীলঙ্কা যার সঙ্গে আমাদের বাংলার সম্পর্ক অনেককালের। সেখানে আম-আদমিরা সবাই সিঙ্গুরের নাম জানে। উত্তাল সমুদ্রপথ পেরিয়ে বঙ্গের সিংহপুরুষ বিজয় সিংহ এসে সিংহল গড়েছিল, সে কাহিনি এখনও সবার মুখেমুখে ফেরে। তাই বুঝি আজও মনে পড়ে সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের সেই কবিতা। আমাদের ছেলে বিজয় সিংহ লঙ্কা করিয়া বিজয় সেখানে পৌঁছে শুধু দ্বীপ দখলই করেননি, নিজের সিংহ বংশের নামে সেই দ্বীপের নাম বদলে রেখেছিলেন সিংহল। এখান থেকেই সিংহলের ইতিহাসের সূচনা আর সিংহলি জাতির সূত্রপাত। বাঙালি হয়ে আমরাও তাই গর্বিত। আর তাই বুঝি বাংলা সাহিত্যে বিজয় সিংহের নাম আজও মনে রেখেছে মানুষ। কলকাতা থেকে চেন্নাই হয়ে শ্রীলঙ্কার বন্দরনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ। গাড়ি নিয়ে চলল ক্যান্ডির দিকে। রাজধানী কলম্বোর পর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। পাহাড়ের পাদদেশে শ্রীলঙ্কার প্রধান চা উৎপাদনকারী শহর। পর্তুগিজরা নাম রেখেছিল ক্যান্ডিয়া। পথ চলতে চলতে দেখি মিনি ইন্ডিয়া তো! গমগমে ভিড়, থিকথিকে দোকানপাট।