শীতবর্ষার অস্ট্রেলিয়ায়

সাহিত্যের সঙ্গে ভ্রমণের মেলবন্ধন ঘটলে সেটা কেমন হয়, অস্ট্রেলিয়া ঘুরে তার আভাস দিলেন বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়

শীতকালে বৃষ্টি হয়। মানে শীতই বর্ষার ঋতু। এমন ‘টুইনওয়ান’ আবহাওয়ার কথা তো শুনিনি আগে। অবশ্য আমি গেঁয়ো যোগী, কতটুকুই বা জানি দুনিয়ার। কিন্তু না জানলেও এটুকু বুঝি যে যাচা অন্ন আর কাচা কাপড় ফিরিয়ে দিতে নেই। আর  এ হল গিয়ে অস্ট্রেলিয়ার নেমন্তন্ন! এই বছর মেলবোর্নের ‘বাংলা সাহিত্য সংসদ' যখন আবার আন্তরিক আহ্বান জানালেন আমার মতো নগণ্যকে, তখন মনে হল সপ্তসিন্ধুর জলের ঝাপটা চোখেমুখে নিয়ে দশদিগন্তে দু’ হাত ছড়িয়ে বাঁচি। অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার দারুণ সময় হচ্ছে

ডিসেম্বর থেকে মার্চ। কিন্তু জানুয়ারিতে তৃতীয় ঢেউ এসে আবারও গুবলেট করে দিল অনেক কিছু। ফলে নিমন্ত্রণ রক্ষার্থে মে মাসের শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়ার দিকে রওনা দিলাম। সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দর বোধহয় মানুষ নয় ময়দানবের তৈরি। কোথায় যে তার শুরু আর কোথায় শেষ, বলা মুশকিল। প্লেন থেকে নেমে কানেকটিং ফ্লাইট ধরতে প্রায় এক ঘণ্টা লাগল। এবার অস্ট্রেলিয়ার মাটি ছোঁওয়ার জন্য প্লেন আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণ পর আইল সিটে বসেও ঘুমিয়ে গেলাম আমি। আর ঘুম ভাঙতেই দেখলাম আমার সহযাত্রী ছত্রিশ হাজার ফিট উপরেও পছন্দসই ব্র্যান্ডের বিয়ার নেই কেন, আর বালিশে দাগ আছে কেন তাই নিয়ে জোরদার তর্ক জুড়েছেন। মেলবোর্নে নামতেই এক ইমিগ্রেশন অফিসারেরও বোধহয় একটু তর্ক করার ইচ্ছে ছিল আমার সঙ্গে, কিন্তু সে যতবার আমার কাছে উত্তর কলকাতার কড়াপাক সন্দেশের ভিতর দুধ কতখানি জিজ্ঞেস করে আমি ততবার ওই অমৃতকে ‘ক্যান্ডি’ বলে বোকা সেজে যাই। অবশেষে রণে ভঙ্গ দিল সেই মক্কেলই আর আমি প্রস্থানপথের দিকে অগ্রসর হলাম। কথিত আছে, অস্ট্রেলিয়ায় আগত জনৈক ভারতীয়কে তুমি কি আজ এসেছ জানতে চেয়ে এক অস্ট্রেলিয় ট্যাক্সিচালক জিজ্ঞেস করেছিল “হ্যাভ ইউ কাম টু ডাই” আর সেই বেচারি