ফোক-ঘরানার তারকারা

লোকসঙ্গীতকে আধার করে এঁরা কেউ গেয়েছেন মেনস্ট্রিম সিনেমায়। কেউ আবার ফোক ফিউশনের জঁরে দেশ-বিদেশে কনসার্ট করে অকুণ্ঠ হাততালি কুড়িয়েছেন। আবার লোকসঙ্গীত সংরক্ষণের কাজও চলছে পুরোদমে। এমনই পাঁচ শিল্পীর মুখোমুখি মধুরিমা সিংহ রায়।

রঘু দীক্ষিত এক্সপেরিমেন্টাল, আর্দি আবার আধুনিক... রঘু দীক্ষিতের গান মানেই অভিনব সাউন্ডস্কেপ। ফোক-ফিউশনের জঁরে মঞ্চে এমন স্বতঃস্ফূর্ত পারফরম্যান্স দেন তিনি, যে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে থাকতে হয়। এর সঙ্গে যোগ করুন রঘুর সিগনেচার স্টাইল—লুঙ্গি আর ঘুঙরুর যুগলবন্দি। ‘হে ভগওয়ান’ (হিন্দি), ‘গুড়গুড়িয়া সেরি নোদো’ (কান্নাড়া), বা ‘জগ চাঙ্গা’ (হিন্দি ও কান্নাড়া)...তিনি যে ভাষাতেই গান না কেন তাঁর গানের আবেদন কমে না এতটুকু। ফোকের সঙ্গে রকের মিশেল, সঙ্গে এক অভিনব সাউন্ডস্কেপ। তাঁর সৃষ্টির অনুপ্রেরণার কথা দিয়েই শুরু হল আলাপচারিতা। রঘু জানালেন, “গানে আসাটাই আমার কাছে অ্যাক্সিডেন্টাল। কোনও পরিকল্পনা ছিল না (হাসি)। মাই সাউন্ড হ্যাজ় বিন ভেরি মাচ অ্যান অ্যাক্সিডেন্ট। অ্যাকাওস্টিক গিটার, ভায়োলিন আর আমার কণ্ঠ...এই তিনটি মিলিয়েই আমার ‘কোর’ সাউন্ড গড়ে উঠেছে। ইলেকট্রিক গিটারও ব্যবহার করেছি। সারা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা ঘোরার ফলে নতুন নতুন যন্ত্রকে আমার সাউন্ডস্কেপে যুক্ত করতে পেরেছি। সারা বিশ্বের বিভিন্ন মিউজ়িক ফেস্টিভ্যালে আমার ব্যান্ড নিয়ে পারফর্ম করেছি। কত অচেনা মিউজ়িশিয়ান বন্ধু হয়েছেন। এঁদের কেউ কেউ আমাকে হয়তো কোনও বিশেষ যন্ত্র কিনিয়েছেন। গিটারের বাইরেও স্ট্রিং ইনস্ট্রুমেন্ট যুক্ত হয়েছে। আমি বলব, অনেকটা ওয়র্ল্ড ফোক মিউজ়িকের সুর আমার সাউন্ডস্কেপে পাবেন। ইলেকট্রিক গিটার বা ড্রামের মতো যন্ত্র আরও বেশি এনার্জি কোশেন্ট বাড়িয়েছে সুরের।” তবে শুধু বিশ্ব-ভ্রমণ যে তাঁকে সুরের খোরাক জুগিয়েছে তেমনটা নয়, এক্সপেরিমেন্টাল ফোক মিউজ়িকের পিছনে রয়েছে আমাদের দেশের বিভিন্নতাও। “ইটস ভেরি ফরচুনেট ফর অ্যান আর্টিস্ট টু বি বর্ন ইন ইন্ডিয়া। অন্য কোনও দেশের শিল্পীদের এই সুবিধে নেই। এত গল্প, মিথোলজি, ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে আমাদের দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে... তা বলে শেষ করা যাবে না। এনিথিং অ্যান্ড এভরিথিং ইউ এক্সপিরিয়েন্স ক্যান বিকাম আ সোর্স অফ ইন্সপিরেশন। কবীর, মীরাবাঈ বা আমির খুসরোর ২০০-৩০০ বছর আগের সৃষ্টি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এখনকার প্রজন্মের জন্য পরিবেশন করা আমার লক্ষ্য। আধুনিক সাউন্ডস্কেপের সঙ্গে অরিজিনাল সৃষ্টিকে