ইলেভেনের রেজ়াল্টের দিন সালোয়ার কামিজ পরে স্কুলে যাই

২০২৩-এর উচ্চমাধ্যমিকে সপ্তম। তিনি স্মরণ্যা ঘোষ। মুখোমুখি অনিকেত গুহ।

নি জের লক্ষ্য ও আত্মবিশ্বাস স্থির থাকলে জীবনে [ কোনও কিছুই অসাধ্য নয়। আপনি নারী হোন, পুরুষ হোন বা রূপান্তরকামী, এর কোনওটাই আপনার পরিচয় নয়। শিক্ষা-সংস্কৃতির আলোয় নিজেকে সফল করে তুলুন, সেটাই হবে আপনার প্রকৃত পরিচয়। বাংলার বুকে স্মরণ্যা ঘোষের পরিচিতও আজ তেমনই। ছোট থেকেই একটু ‘অন্যরকম’ স্মরণ্যার পছন্দগুলো ছিল আলাদা। ছেলে হয়েও আয়নায় দেখতেন এক

নারীর প্রতিফলন। না, তিনি এখানেই থেমে থাকেননি। সমাজের চির চেনা ছক ভেঙ্গে বেরিয়ে এসেছিলেন নিজের পরিচয়ে। স্মরণ্য হলেন স্মরণ্যা। সকলের চোখে চোখ রেখে তৈরি করেন নিজের নতুন ‘আইডেন্টিটি’। তবে তাঁর সাফল্যের বিজয় রথ এখানেই থামেনি। ২০২৩-এর উচ্চমাধ্যমিকে অর্জন করেন সপ্তম স্থান। বাংলার বুকে প্রথম কোনও রূপান্তরকামী ব্যক্তি স্থান পান উচ্চমাধ্যমিকের মেধা তালিকায়। এত কম বয়সেই এমন নজিরবিহীন সাফল্য। কেমন ছিল শুরুর দিনগুলো? খুলে বললেন সবটা, “প্রথমেই বলি খুব ছোট থেকেই আমি জানতাম আমার লিঙ্গ পরিচয় যা-ই হোক না কেন, আসলে আমি একজন মেয়ে। চিন্তা-ভাবনা, আবেগ, অভিব্যক্তি সবেতেই আমার প্রকাশ ছিল নারীসুলভ। বায়োলজিক্যালি আমি একজন ছেলে হলেও, আমার ভিতরে বড় হচ্ছিল পূর্ণ এক নারীসত্তা। আমাদের সমাজ ব্যক্তির বাহ্যিক গঠন দেখেই সিদ্ধান্তে চলে আসে ‘কে কেমন' বা ‘কার কেমন হওয়া উচিত'। কিন্তু সেখানেই ঢাকা পড়ে যায় তার প্রকৃত সত্তা। অর্থাৎ, তিনি নিজের শারীরিক গঠনে খুশি কি না, এই প্রশ্নটা থেকে যায় অন্ধকারে। নিজের প্রকৃত পছন্দ বুঝতে আমার খুব একটা দেরি হয়নি। কিন্তু বোঝাতে পারার প্রক্রিয়াটা মোটেই এত সহজ ছিল না। সমাজে প্রচলিত ‘নারী ও পুরুষ’ ধারণার বাইরে গিয়ে ভাবার মতো মানসিকতাই সেভাবে নেই। স্বাভাবিকভাবেই আর পাঁচজনকে বোঝানোর কাজটাও রাতারাতি হয়ে ওঠেনি। ক্লাস টেনএ যখন পড়ি তখন থেকে আমার কাউন্সেলিং শুরু হয়। ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলা, বাড়ির লোকেদের সঙ্গে কথা বলা, নিজেকে প্রস্তুত করা,