হসপিটালে কেমো নিতে যেতাম আমার বেস্ট আউটফিটে

ক্যানসার তাঁকে থামাতে পারেনি। তৈরি করেছেন নিজের ব্র্যান্ড, নিজের এনজিও। দেশবাসীর কাছে তিনি আজ এক পরিচিত মুখ। আঁচল শর্মার মুখোমুখি অনিকেত গুহ।

"I am a phoenix rising from the ashes of my pain and suffering. Today I am reborn, today begins my growth and change...”, ডিএস ক্যামির বিখ্যাত এই উক্তি মনে পড়ে? আপনাদের মনে হতেই পারে, হঠাৎ এই প্রসঙ্গ উঠছে কেন? আসলে আমার, আপনার চারপাশে এমন কিছু মানুষ আছেন, যাঁদেরকে ঠিক একটা বা দুটো বিশেষণে ব্যাখ্যা করা যায় না। সমাজের সব প্রতিকূলতা, প্রতিবন্ধকতাকে এক লহমায় চূর্ণবিচূর্ণ করে এগিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। ভেঙেছেন সমাজের ‘অচলায়তন'। আঁচল শৰ্মা শুধু একজন ব্যক্তিত্ব নন, এক নক্ষত্রের নাম। যাঁর ঔজ্জ্বল্যে ম্লান হয়েছে সব অন্ধকার। তিনি একজন ক্যানসারজয়ী, ওম্যান অ্যাক্টিভিস্ট, সোশ্যাল ওয়র্কার ও দেশের অন্যতম সফল অন্ধ্রপ্রনর। দিল্লি সহ গোটা দেশের লক্ষ লক্ষ ক্যানসার রোগীদের অনুপ্রেরণা তিনি। অত্যাচারের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন নিজের স্বামীর বিরূদ্ধে, তৈরি করেছেন নিজের নন-প্রফিট অর্গানাইজ়েশন, ক্যানসার সারভাইভারদের জন্য তৈরি করেছেন নিশ ব্র্যান্ড। এভাবেই প্রত্যেক দিন তিনি অতিক্রম করছেন একের পর সাফল্যের মাইলফলক। সেই নজিরবিহীন সাফল্যের কাহিনি শোনালেন নিজেই, “আপনার কাছে যখন খুব বেশি বিকল্প থাকে না, তখন যেটুকু আছে তাতেই আপনি একশো শতাংশ দেওয়ার চেষ্টা করেন। আমার জীবনের ঘটনাগুলো খানিকটা সে রকমই। দিল্লির ব্যাকওয়র্ড এরিয়াতে আমরা থাকতাম। অভাবঅনটনকে সঙ্গী করে বড় হয়ে ওঠা। সেখানে কম বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া, জোর করে বিয়ে করানো, ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স— সবটাই অতি সাধারণ বিষয়। আমার নিজের পরিবারেও একই