আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি

ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে উল্কার গতিতে বাড়ছে ভার্চুয়াল গ্রুপের সংখ্যা। ডিজিট্যাল আইসোলেশন কাটিয়ে কী আবারও ‘সামাজিক’ হয়ে উঠছি আমরা? সোশ্যাল মিডিয়ার অন্দরে কান পাতলেন অনিকেত গুহ।

এসি ঘরে শুয়ে ফোনে স্ক্রোল করতে করতে হঠাৎই বিদিশার চোখে পড়ল একটা ফেসবুক পোস্ট— ‘আমার মায়ের জন্য ও নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত দরকার। কেউ যদি অ্যারেঞ্জ করে দিতে পারেন দয়া করে জানাবেন।' পোস্টটা পড়ে বিদিশা কমেন্ট সেকশনে লিখে দিল নিজের ফোন নম্বরটা। একজন সম্পূর্ণ অচেনা, অজানা ব্যক্তিকে সাহায্য করতে পেরে সে মনে মনে খুশিই হল। কিছুদিন পর সেই ব্যক্তির সঙ্গে একটা সেলফি তুলে পোস্টও করেছিল নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে। এটা নেহাতই কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। কাগজে, টিভিতে প্রায়ই আমরা এ ধরনের খবর দেখে থাকি। যেখানে বহু বছরের হারিয়ে যাওয়া বন্ধুকে কেউ খুঁজে পেয়েছে ফেসবুকে, টেলিগ্রাম গ্রুপের ফ্রি নোটস পড়ে কেউ পড়াশোনায় নজিরবিহীন সাফল্য অর্জন করেছে। ‘ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ আমাদের সম্পর্কের দূরত্ব বাড়িয়ে তুলছে’, ‘সোশ্যাল মিডিয়া মানুষকে আরও ইন্ট্রোভার্ট করে দিচ্ছে’, ‘মানুষ এখন শুধুই ডিজিট্যাল লাইফে হ্যাপি' ইত্যাদি হাজারও অভিযোগের ভিড়ে এই ছোট ছোট ঘটনাগুলো আবারও মনে করিয়ে দেয় 'আমাদের গেছে যে দিন একরেবারেই কি গেছে, কিছুই কি নেই বাকি....'? অজুহাত, হিংসা, দায়িত্ব, কাজের চাপ, সম্পর্কের অবনতি— এসবের ঘেরাটোপেই দিন কাটছে নিজের ছন্দে। নিজের ভাললাগার ক্ষেত্রটুকু যদি একটা সেলফোনে সীমাবদ্ধ হয়, সত্যিই যদি ভার্চুয়াল জগতে ‘সকলের তরে সকলে আমরা' হয়ে উঠতে পারি, তবে ক্ষতি কী?

বিশ্বজোড়া ‘গ্রুপ’বাজি একটু খোঁজ নিলেই দেখবেন আপনার পাড়ায় যাকে হয়তো আপনি চেনেনও না, সে কীভাবে ঢুকে গিয়েছে আপনার ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টে। ফিজিক্যাল পরিচিতি না থাকলেও, ডিজিট্যালি আপনারা একে অন্যের পরিচিত! ব্যাপারটা বেশ মজার, তাই না? এবার একটু সাম্প্রতিক তথ্য পরিসংখ্যানে