রাগ সামলানোর উপায়

স্পেশ্যাল চাইল্ডদের রাগ নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সময়ই মুশকিল হয়। এর কারণ ও প্রতিকার কী হতে পারে? বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জানলেন সংবেত্তা চক্রবর্তী।

মা ঝ-সপ্তাহের এক সকাল। ভিড় মেট্রো। একটি ১০-১২ বছর বয়সের অটিস্টিক বাচ্চাকে নিয়ে উঠেছেন তার মা। হঠাৎ কী হল কে জানে, বাচ্চাটি গেল রেগে! হাত-পা ছুড়ছে, চিৎকার করছে... মা কিছুতেই তাকে শান্ত করতে পারছেন না! আশপাশের সকলে বাচ্চাটিকে দেখছে, কেউ কেউ মা-কে নানা পরামর্শ দিচ্ছে, কেউ ‘এদের নিয়ে কেন যে পাবলিক ট্রান্সপোর্টে ওঠে' জাতীয় মন্তব্য করতেও ছাড়ছে না। মায়ের মুখ লাল হয়ে উঠেছে অসহায়তায়, অপমানে! বিশেষ ভাবে সক্ষম বাচ্চাদের অনেক সময়ই এমন প্রবল রেগে যেতে দেখা যায়। এর কারণ ও প্রতিকার নিয়েই আজকের আলোচনা।

রাগের কারণ সিনিয়র কনসালট্যান্ট পিডিয়াট্রিশিয়ান ডা. শমীক ঘোষ বুঝিয়ে বললেন, “যে কোনও মানুষের প্রথমে একটা র ইমোশন বা ইমপালস তৈরি হয়— সেটা রাগ, দুঃখ, আনন্দ, যে কোনও কিছু হতে পারে। মস্তিষ্কের গঠন যত পরিণত হয়, আমাদের ফোর ব্রেন বা মস্তিষ্কের সামনের দিক (যেটাকে থিঙ্কিং ব্রেনও বলা হয়) এই র ইমোশনগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে। আমরা যে প্রচণ্ড রাগ হলে সামলানোর চেষ্টা করি, তার বায়োলজিকাল কারণ এটাই। বিশেষ ভাবে সক্ষম বাচ্চাদের এই থিঙ্কিং ব্রেন বাকি বাচ্চাদের তুলনায় কম পরিণত হয়। ফলে ওদের র ইমোশনগুলো ভীষণ ভাবে প্রকাশ পায়।