ব্রোজ জয়ের পরে প্যারিসে ব্রোঞ্জ জিতেছি, এ বার সোনা জেতার সময়

২১ বছর বয়সে প্রথম অলিম্পিক্স। তাতেই কুস্তিতে ব্রোঞ্জ জিতে দেশকে গর্বিত করেছেন অমন সেহরাওয়াত। প্যারিস থেকে ফিরে ব্যস্ততার মাঝেও সাক্ষাৎকার দিলেন মধুরিমা সিংহ রায়কে।

- মধুরিমা সিংহ রায়কে।

প্যারিসে পদক জয়ের জন্য অভিনন্দন! আপনার সাফল্যের গল্প তো শুনব। কিন্তু কুস্তিতে শুরুটা কী ভাবে হয়েছিল? হরিয়ানার বিরোহার গ্রামের ছেলে আমি। ওখানেই প্রথম ‘মাড রেসলিং' দেখি। ভারতের অনেক গ্রামেই কাদার মধ্যে এমন কুস্তি প্রতিযোগিতা দেখে থাকবেন। তবে কুস্তির প্রতি ভালবাসা জন্মায় ২০১২-তে, যখন ভারত লন্ডন অলিম্পিক্সে দু'টি পদক পায় এই খেলায়। ওই ঘটনা এতটাই অনুপ্রেরণা দেয় যে উত্তর দিল্লির ছত্রশাল স্টেডিয়ামে ভর্তি হই প্ৰশিক্ষণ নিতে। তখন বছর দশেক বয়স। আমার জীবনের অন্যতম সেরা সিদ্ধান্ত ছিল ওটি। প্রবীণ সিংহ দাহিয়াজির কোচিং পাই ওখানে। আজ আমাকে যা দেখছেন, তার পুরো কৃতিত্ব ওঁর। ছত্রশাল স্টেডিয়ামের রেসলিং ম্যাট বহু তারকার জন্ম দিয়েছে। আমিও সেই তালিকায় নিজের নাম সংযোজিত হতে দেখতে চাইতাম।

প্রথম বার আখড়ায় পা দেওয়ার মুহূর্ত নিশ্চয়ই মনে আছে.....

হ্যাঁ, আমার গ্রামের মাড রেসলিংয়েই হাতেখড়ি আমার। তবে স্কুলে কিন্তু আমি অ্যাথলেটিক্স, রেসিং পছন্দ করতাম। প্রথম বার কুস্তির আখড়ায় নেমে এক অদ্ভুত কানেকশন অনুভব করি খেলাটির সঙ্গে! তা বুঝেই বোধহয় বাবা আমাকে দিল্লি নিয়ে আসেন, যাতে সেরাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিতে পারি। ওইটুকু বয়সেই মনে হয়েছিল এই জায়গাটি আমার কাছে খুব স্পেশ্যাল।