বিষয়: যৌন হিংসা ও ভিক্টিমের অধিকার

দেশের আইন যৌন হিংসার ভিক্টিমদের জন্য কী কী অধিকার সুনিশ্চিত করে? বিশদে জানালেন আইনজীবী দ্যুতিমালা বাগচী। লিখছেন উপমা মুখোপাধ্যায়।

- উপমা মুখোপাধ্যায়।

ফৈজজদারি বিচারের উদ্দেশ্যই হল অপরাধ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি সুনিশ্চিত করার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তদের সুরক্ষা প্রদান করে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। তাই যাদের উপর কোনও যৌন হিংসা সংঘটিত হয়েছে, এবং সেই কারণে তারা শারীরিক, মানসিক বা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, তাদের প্রত্যেকের জন্যই কিছু আইনি অধিকার সুনির্দিষ্ট করা রয়েছে। আক্রান্তকে ন্যায় বিচার পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের আইন সম্পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করে। সে ক্ষেত্রে বিচারব্যবস্থা যাতে সুষ্ঠু ভাবে পরিচালিত হতে পারে, তার জন্য ভিক্টিমের তরফ থেকেও অপরাধের অভিযোগ জানানো, আদালতে সাক্ষ্য দেওয়া ইত্যাদি বিষয়ে সম্পূর্ণ সহযোগিতা চাওয়া হয়। বিচার চলাকালীন ভিক্টিমের কয়েকটি প্রাথমিক প্রাপ্য অধিকার রয়েছে। তার মধ্যে অগ্রগণ্য হল, তথ্যের অধিকার, বিচার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের অধিকার, সুরক্ষা ও ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকার ইত্যাদি। জেনে নেওয়া যাক, বিচারব্যবস্থার অধীনে এই যৌন হিংসার ভিক্টিমদের ঠিক কী কী অধিকার রয়েছে এবং সেগুলো কী ভাবে কাজ করে

অভিযোগ জানানোর অধিকার কেউ যদি যৌন হেনস্থার শিকার হন, তা হলে প্রথমেই তাকে নিকটবর্তী থানায় অপরাধীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানাতে হবে। যদি সংশ্লিষ্ট থানা অভিযোগ গ্রহণে অস্বীকার করে, তবে ওই নির্দিষ্ট পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ লিপিবদ্ধ করানো যায়। এ সবের পরেও থানা ঘটনার লিখিত এফআইআর না নিতে চাইলে আদালতের কাছে অভিযোগ জানানো যায়।