শুনিয়াতে রাজা চন্দ্রবর্মার বহু প্রাচীন এক শিলালিপি যে আছে, সেকথা অনেকের মুখেই শুনেছিলাম। কিন্তু সেটা দেখতে যাওয়া আর হয়ে ওঠেনি। তাই মহামারীর ভ্রুকুটি দূরে সরিয়ে রেখে ইতিহাসকে ছুঁয়ে দেখার একটা সুযোগ যখন এল, তখন তা হাতছাড়া করতে পারলাম না। শুশুনিয়া হল পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র ক্ষয়জাত পর্বত। এই পাহাড়ের প্রতি পরতে ছড়িয়ে রয়েছে অনেক বিস্ময় আর অজানা ইতিহাস। তাছাড়া বাঘের মুখ থেকে জল পড়ার দৃশ্য এই পাহাড়ের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ।
স্থানীয় মানুষ এই জলকে বলে ‘ধারা’। তাদের কাছে এই জল অত্যন্ত পবিত্র এবং বিভিন্ন রোগপ্রতিরোধক। পাহাড়ি ঝরনার জল এমনিতে বেশ সুস্বাদু, হজমেও সহায়ক। পাশাপাশি গ্রামের বহু মানুষ এই জল সাইকেল বা ভ্যান রিক্সায় বয়ে নিয়ে যান। আবহমানকাল ধরে এই জল পড়েই চলেছে অবিরাম। সেই জল কোথা থেকে আসছে তার হদিশ কেউ পায়নি। আঞ্চলিক প্রশাসন জলের উৎসস্থলে একটা বাঘের মুখ বানিয়ে দিয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে দেখলে মনে হয় বাঘের মুখ থেকেই জল পড়ছে। আর এই দৃশ্য দেখার জন্য সারা বছর ভিড় লেগেই থাকে। এর থেকে যে জলাশয়টি তৈরি হয়েছে সেখানেই ভানু-জহর অভিনীত বিখ্যাত সিনেমা ‘আশিতে আসিও না’-র র শ্যুটিং হয়েছিল।
এখানে শুধু যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মোহিত করবে তা নয়। এখানকার পাথর শিল্পীদের খোদাইয়ের কাজও জগৎ বিখ্যাত। পাহাড় থেকে পাথর কেটে এখানকার শিল্পীরা যে সমস্ত জিনিস তৈরি করেন, তা দেখলে বিস্মিত হতে হয়। খুব অল্প দামে এখানে পাথরের থালা, বাটি, গ্লাস থেকে শুরু করে শিল নোড়া, বিভিন্ন সাইজের প্রদীপ, শিবলিঙ্গ এবং ঘর সাজানোর হরেকরকম টুকিটাকি পাবেন। এখানকার গ্রামে একবার ঢুঁ মারলেই সন্ধান পাওয়া যাবে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পীদের। এক টাকার কয়েন সাইজের একটা পাথরের ওপর মা দুর্গার মূর্তি বা শাঁখের ওপর তাঁদের করা অপূর্ব হাতের কাজ না দেখলে বিশ্বাস করা মুশকিল।
Esta historia es de la edición December 2023 de Sukhi Grihakon.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor ? Conectar
Esta historia es de la edición December 2023 de Sukhi Grihakon.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor? Conectar
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।