পুরনো জমিদার বাড়িটায় ঢুকে জায়গাটা কেমন চেনা চেনা লাগল ঋজুর। খিলান, দরজা, জানলা যেন কত পরিচিত। তাহলে কি সত্যিই পুনর্জন্ম বলে কিছু আছে?
মাথাটা যেন একবার বনবন করে ঘুরে উঠল। এক অদৃশ্য শক্তি যেন ওকে টেনে এনেছে এই বাড়িতে। কখনও ভাবেনি কলকাতা থেকে কয়েক মাইল দূরে এমন এক অচেনা অজানা জায়গায় তাকে চাকরিসূত্রে আসতে হবে। যদিও বা আসতে হল পথে বাস খারাপ হওয়া, এমন এক সহযাত্রী বন্ধ জটে যাওয়া, যে তার সম্পর্কে কোনও কিছু না জেনেই তাকে সোজা তার বাড়িতে থাকার সুযোগ দেবে— এসবই কি পূর্বপরিকল্পিত ভবিতব্য নয়? সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতেই চোখ পড়ল দেওয়ালে ঝুলতে থাকা জমিদারের ছবির দিকে। হাতে তরবারি, পেল্লাই চেহারা জলরঙে দিব্যি ফুটে উঠেছে। গোঁফের শৌখিনতা ছবিতে পরিষ্কার আর চোখ দুটো থেকে যেন ঠিকরে পড়ছে আলো। ছবিটার গায়ে একবার হাত দিতেই বিদ্যুৎ খেলে গেল শিরা ও ধমনীর মধ্যে দিয়ে।
Esta historia es de la edición September 2024 de Sukhi Grihakon.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor ? Conectar
Esta historia es de la edición September 2024 de Sukhi Grihakon.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor? Conectar
সুন্দরের অন্তরমহল
পালমশায়ের গলার আওয়াজ মিহি ও মৃদু, তিনি কথা বলেন আঙুল নাড়িয়ে নাড়িয়ে, যেন হাওয়ায় ছবি আঁকছেন। গলা শুকিয়ে আসায় চা খাওয়ার ইচ্ছে জানিয়ে তিনি গুপীর দোকানে যাওয়ার প্রস্তাব দেন, যেখানে চা, টোস্ট এবং অন্যান্য নাস্তাও পাওয়া যায়। তাঁর এলাকার ইতিহাসের গল্প শোনাতে শোনাতে তিনি জানালেন, তাঁদের পূর্বপুরুষরা বাংলাদেশের নাটোর থেকে এসে মৃৎশিল্প শুরু করেছিলেন এবং এখন তাঁদের তৈরি মূর্তি বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। পালমশায়ের মূর্তি তৈরির শৈলী গ্রিক বা রোমান শিল্পের প্রভাবের মতো, কিন্তু সেই সঙ্গে আছে বাঙালি নারীর সহজ সৌন্দর্য। তবে তাঁর স্ত্রী এ বিষয়ে একটু ভিন্ন মত পোষণ করেন, এবং মৃৎশিল্পের প্রতি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি কিছুটা তিক্ত।
ভালোবাসার ফুলছাপ
ধান কাটার পরিশ্রম শেষে সন্ধ্যায় ক্লান্ত সুবল পবনের চায়ের দোকানে ঢুকেছিল। দোকানটি ঘরের কাছে, বাঁশের মাচায় বসার ব্যবস্থা। চায়ের কাপ হাতে নিয়ে তিনি শান্তিতে চুমুক দিচ্ছিলেন, এমন সময় বাইরে হারান আর নিমাইয়ের গলা শুনে তার কানে এল ললিতার নাম। তারা বলছিল, ইয়াকুব মিঞার সঙ্গে ললিতার নাকি বিয়ে হবে। ললিতার মতে, সে কাউকে ভয় পায় না, নিজের কাজ করবে। তবে হারান আর নিমাই মনে করছিলেন, ইয়াকুবের পরিবারের কাছে ললিতার জন্য ভালো কিছু হতে পারে। এসব কথা শুনতে শুনতে সুবলের মন মেঘলা হয়ে গেল, বিশেষত ললিতার সিদ্ধান্তের পর।
তিন রঙের ফুল
শাসুজিত বসাক শ্বেতী হাতে ক্রেপ ব্যান্ডেজ বেঁধে দিতে দিতে বললেন, \"এখনও আগের মতোই ব্যথা আছে?\" সোমপ্রভা মুখ ঘুরিয়ে বললেন, \"এ শা, ব্যথা সহজে যাবে না। তাড়াতাড়ি করো...\" শাশ্বতী হাসলেন, \"কথায় কথায় এত রেগে যান কেন বলুন তো? রাগলে আপনার শরীর খারাপ হয়, বোঝেন না?\" সোমপ্রভা বললেন, \"হোক। তুমি মাথাব্যথা করো না।\" শাশ্বতী বুঝতে পারলেন, রাগ কমছে সোমপ্রভার। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাগও বেড়ে গেছে, তবে শাশ্বতী তা মেনে নিয়েছেন। শাশ্বতী জানতেন, রণজিৎ তাঁর মাকে অসম্ভব ভালোবাসতেন, কিন্তু শাশ্বতী কখনও কখনও বিরক্ত হতেন। রণজিৎ মারা যাওয়ার পর শাশ্বতী কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছিলেন, কিন্তু সোমপ্রভা তাঁর পাশে ছিলেন।
রুদ্রাণী রূপে মা সারদা
একুশ শতকের নারী ভাবনার সঙ্গে উনিশ শতকের মা সারদার ভাবনার সাযুজ্য নিয়ে লিখছেন পারমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রসগোল্লা ছেড়ে দিতে বললে কান্না পাবে।
নানা ধরনের খাবার খেতে ভালোবাসেন অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু। তাঁর রকমারি ভোজনের গল্প শেয়ার করলেন। লিখছেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য।
‘দেবদা আমার ক্রাশ, সামনে গেলে হয়তো নার্ভাস হয়ে যাব
অভিনয় করতে গিয়ে নানা অভিজ্ঞতা তৈরি হয়। সেসব গল্প শোনালেন ডোনা ভৌমিক। লিখছেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য।
বিনোদিনী
টলিউডে নানা ধরনের ছবি তৈরি হচ্ছে। তেমনই একটি ছবির কথায় স্বরলিপি ভট্টাচার্য।
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।