চাই কামাথিপুরা, সময় ১৫ দিন

মুম্বইয়ের তারকাদের কাছ থেকে দেখার বিচিত্র অভিজ্ঞতার কথা আনন্দলোক-এর পাঠকদের জন্য নিয়মিত লিখছেন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত প্রোডাকশন ডিজাইনারদ্বয় অমিত রায় ও সুব্রত চক্রবর্তী। এই সংখ্যায় সুব্রত শুরু করলেন ‘গঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি’র গল্প... আর তার আগে?

আজ একেবারে নতুন গল্প শোনাব। সিনেমার নাম ‘গঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি’, পরিচালক সেই সঞ্জয় লীলা ভনশালি। তবে সেই গল্প শুরুর আগে তার আগের পরিস্থিতি সম্পর্কে কিছুটা বলি। নাহলে গল্পে ঢোকা যাবে না। ‘পদ্মাবত’ করার আগে আমাদের কাছে ‘মিডিয়োকার প্রজেক্ট’ই আসত। সে আমরা যতই ‘হায়দর’ বা ‘রাজ়ি’র মতো রিয়্যালিস্টিক কাজ করে থাকি না কেন! মুম্বইয়ের ভাষায় ‘মিডিয়োকার প্রজেক্ট’ কথাটার মানে আগে পরিষ্কার করি। সঞ্জয় লীলা ভনশালি বা যশরাজ ফিল্মস কিংবা ধর্মা প্রোডাকসনস যে গ্র্যাঞ্জারে কাজ করে, সেই গ্র্যাঞ্জার যেখানে নেই, সেগুলি শৈল্পিক দিক থেকে যতই উৎকৃষ্ট মানের হোক না কেন, আসলে সেগুলি সব ওই— ‘মিডিয়োকার প্রজেক্ট'। আসলে তখন হয়তো সকলে ভাবত, আমরা খুঁটিনাটি কিংবা রিয়্যালিস্টিক কাজে মাস্টার হতে পারি কিন্তু ওই গ্র্যাঞ্জারটা তুলে ধরতে পারব না। ‘পদ্মাবত’ সেই ধারণাটা বদলে দিয়েছিল। আমাদের কাছে ইন্ডাস্ট্রির তাবড়-তাবড় পরিচালক-প্রযোজকদের ফোন আসতে শুরু করল। চাঁদের হাট বসে গেল যেন! এর মাঝে আরও একটা মজা হল। বলিউডের নামকরা সিনেমাটোগ্রাফার সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা একদমই আলাদা লেভেলের। দাদার মতো গাইড করেন আমাদের। তো একদিন সুদীপদা ফোন করে বললেন, ‘অনেক দিন তোরা কাজ করে নিয়েছিস, এবার বড় একটা কাজ করব আর আনন্দ করে করব।' আমরা জিজ্ঞেস করলাম সিনেমার নাম, বললেন ‘হাউজফুল ৪’! আমরা বললাম, ‘ওরকম সিনেমা তো আমরা করি না