আমাকে ব্যক্তিগত জীবনে প্রচুর ঝড়ঝপটা সামলাতে হয়েছে : ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত

নিজেকে ব্যস্ত রাখতে ভালবাসেন ইন্ডাস্ট্রির এই সুপারস্টার নায়িকা। কিন্তু তাই বলে কি প্রেমে পড়া, মন খারাপ, এগুলোর সম্মুখীন হননি তিনি? ‘মায়াকুমারী’ মুক্তির আগে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত কথা বললেন আসিফ সালামের সঙ্গে

নতুন বছরের অনেক শুভেচ্ছা। এই বছরের রেজোলিউশন কী? প্রত্যেক বছরের শুরুতেই আমার মনে হতে থাকে, খুব কম সময়ের মধ্যে অনেক কাজ করতে হবে। বছরের শেষে গিয়ে দেখি, তার মধ্যে কিছু কাজ হয়েছে, কিছু হয়নি। সেজন্যই হয়তো আবার নতুনভাবে সেই একই রেজোলিউশন নিই পরের বছর। তবে এবার শুধু বেশি কাজই নয়, নতুন ধরনের ইন্টারেস্টিং কাজও করতে চাই। শুধু বাংলাতে নয়, অন্য ভাষাতেও ভাল-ভাল কাজ করতে চাই। আর এবছরে আমার প্রোডাকশন থেকে মিউজ়িক্যালটা করতেই হবে। গত বছরও ভেবেছিলাম, কিন্তু করতে পারিনি। অনেকগুলো ওভারল্যাপিং প্রোজেক্ট ছিল, দু’বার ইউএসএ গেলাম, প্রচুর ট্র্যাভেল করেছি। তাই হল না। আর একটা ইচ্ছে আছে। সামনের বইমেলায় আমার লেখা প্রকাশ করব। ও হ্যাঁ, আর একটা ইচ্ছে হল খুব ভালভাবে গাড়ি চালানোটা শিখে নেওয়া। কারণ, সঞ্জয় (ঋতুপর্ণার স্বামী) বলেছে আমি যদি গাড়ি চালানোটা পুরোপুরি শিখে নিই, তা হলে সিঙ্গাপুরে আমাকে আর একটা গাড়ি গিফট করবে! যাতে ওখানে দু’জনেই গাড়ি চালাতে পারি। এ তো গেল আমার নিজের জীবনের কথা। আপনারা জানেন, আমি পেডিয়াট্রিক ক্যানসার নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর কাজ করছি অনেক বছর ধরে। একটি সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরও আমি। সেই ফিল্ডে আরও কিছু উল্লেখযোগ্য কাজ করতে চাই। আর পরিবারকে সময় দেওয়া তো পরিকল্পনার মধ্যে সবসময়ই থাকে। আমার ছেলে আবার বস্টন চলে গিয়েছে। মেয়েকে খুব মিস করি। কারণ ও এখন সিঙ্গাপুরে থাকে। এদিকে মা এবং শাশুড়িমায়ের শরীরও ভাল নেই। ওদের সঙ্গেও সময় কাটাতে চাই।

প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার বাড়িতে গিয়েছিলেন? হ্যাঁ, প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে দেখা হয়নি, কারণ ও ছিল না। তবে ওর পরিবার এবং ওর স্বামী নিকের সঙ্গে গল্প হল অনেকক্ষণ। আমার চেয়ে প্রিয়ঙ্কা বয়সে ছোট। কিন্তু ও যেভাবে পুরো পৃথিবী জয় করে ফেলেছে, সেটা আমার কাছে একটা অনুপ্রেরণা। আমিও এমন কিছু করে যেতে চাই, যার নজির থেকে যাবে। প্রিয়ঙ্কার মা বলছিলেন, ও সারাক্ষণ কাজে ডুবে থাকে। সবসময় নতুন কিছু করতে চায়। ওর আর নিকের কেমিস্ট্রিটাও দারুণ। ভাল কিছু করতে গেলে পরিবারের সমর্থন থাকা খুব প্রয়োজনীয়। ওর সেটা আছে। মানসিকভাবে ব্যালেন্স ঠিক না থাকলে কোনও কাজই ঠিকমতো হবে না। আমিও ঠিক একইভাবে আমার পরিবারের সমর্থন পেয়ে এসেছি।