নতুন জুটির নতুন রসায়ন

বিক্রম চট্টোপাধ্যায় ও দর্শনা বণিক একসঙ্গে এই প্রথমবার স্ক্রিন ভাগ করে নিলেন। ‘সূর্য' মুক্তির পর নিজেদের অনুভূতি ভাগ করলেন আসিফ সালাম-এর সঙ্গে।

একে অপরের সঙ্গে এই প্রথম কাজ করলেন। হয়তো এর আগে আলাপ বা বন্ধুত্ব ছিল, কিন্তু প্রথম বার কাজের অভিজ্ঞতা কেমন? বিক্রম: (মজার ছলে) দেখুন, খুব খারাপ অভিজ্ঞতা হলেও, তো তা স্বীকার করতে পারব না (হাসি)! যদি মনে হয়ে থাকে একে অপরকে পাহাড় থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিই, সেটাও আপনাকে বলতে পারব না। দর্শনা: অনেক দিন আগে বিক্রমের সঙ্গে একটি ফোটোশুটে আলাপ হয়েছিল। সেদিন অতটা কথা হয়নি। বন্ধুত্বও ছিল না তাই। এই কাজটা করতে গিয়েই ওর সঙ্গে বন্ধুত্ব হল। ফ্লাইটে ওঠা থেকে আমরা কথাবার্তা বলতে শুরু করি। একই হোটেলে ছিলাম। মনেই হয়নি যে

প্রথমবার একসঙ্গে কাজ করছি। পুরো টিম এত তরুণ আর এনার্জেটিক, সকলের সঙ্গেই দারুণ অভিজ্ঞতা। বিক্রম: আমি তো বললাম, কী ভাবে বলি খারাপ লেগে থাকলেও...

দর্শনা: মানে, তোমার কি খারাপ লেগেছে? বিক্রম: আমি এর আগেও অনেক সাক্ষাৎকারে বলেছি, দর্শনা অসম্ভব সুইট। খুব সহযোগিতা করেছে। দর্শনা: বিক্রম খুব হার্ডওয়ার্কিং। আমি তো সৌরভকেও বলি ওর কথা। সৌরভও বলে, অনেকে তো এত পরিশ্রমই করে না ছবির প্রচারে। বিক্রম করে। বিক্রম: যাক, আমার ব্যাপারে ভাল ভাল কথা শুনে খুশি হয়েছি। দর্শনার সঙ্গে এটাই সেদিক থেকে দেখতে গেলে প্রথম কাজ। আমরা কখনও আড্ডা মারিনি, কথা বলিনি। তাই ভাবছিলাম, কেমন লাগবে। তবে ওর সঙ্গে শুরু থেকেই বন্ডিং তৈরি হয়ে গিয়েছিল।

সেটে দু'জন নায়িকা। দু'জনকে সামলানো কতটা কঠিন ছিল? বিক্রম: কোনও সমস্যাই হয়নি। আমরা শুট শুরু করেছিলাম আউটডোরে। অরুণাচল প্রদেশে অনেকটা শুট হয়েছে। আউটডোর হলে টিম বন্ডিং দৃঢ় হয়। কলকাতায় হলে তো যে যার মতো শুট করে বাড়ি ফিরে যাই। তাই বোধহয় আমি, মধুমিতা, দর্শনা ও বাকি সকলের সঙ্গে বন্ডিং হয়ে গিয়েছে। আমাকে তো দুই নায়িকার কেউ বিরক্ত করেনি (হাসি)।