প্রেসিডেন্সি কলেজ ও কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সর্বকালের সেরা ছাত্র। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর দু'টিতেই প্রথম শ্রেণিতে প্রথম। সে তো প্রতি বছরই কেউ না কেউ হন। এতে আশ্চর্যের কী! পেয়েছিলেন রেকর্ড মার্কস। উত্তরকালের কোনও ছাত্রের পক্ষে তা ছোঁয়া ছিল দুঃসাধ্য। তাতেই-বা কী! আসলে মিথের মতো ছড়িয়ে আছে তাঁর পাণ্ডিত্যের গল্প। তাঁর পাণ্ডিত্যে মুগ্ধ মাস্টারমশাইরা, বন্ধুমহল, অগণিত ছাত্রছাত্রী। বাংলা সাহিত্যের পাশাপাশি ইংরেজি সাহিত্যেও তাঁর আত্মবিশ্বাসী পদচারণা। গবেষণার প্রয়োজনে বা চাকরিসূত্রে কখনও তিনি কলকাতায়, কখনও দিল্লিতে, লন্ডনে কিংবা নিউ ইয়র্কে। ভূগোল বেড়েছে কাজ ও ভাবনার। তাঁকেই নেওয়া হল না কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘রিডার’ পদে। বর্ধমানেও না। ‘সঙ্ঘবদ্ধ প্রতিকূলতায়’ আমাদের পাপ বাড়ে। ১৯৬৯ সালের ১৯ এপ্রিল মাস্টারমশাই জনার্দন চক্রবর্তীর একটি চিঠিতে আছে সে সবের ভেতরের গল্প।
অজস্র তাঁর লেখালিখি। গোটা চারেক কাব্যগ্রন্থ তো আছেই, বেরিয়েছে কবিতা সংগ্রহের দু'টি খণ্ড। এ ছাড়া খোঁজ মিলেছে পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত অনেক কবিতার। পাওয়া গেছে বেশ কিছু ডায়েরি, পাণ্ডুলিপি, অল্প বয়সের কিছু লেখা। অনূদিত নানা কাব্যের পাশাপাশি হদিশ পাওয়া গেছে অগ্রন্থিত কিছু অনুবাদ কবিতারও। তাঁর মৌলিক নাটকের সংখ্যা চল্লিশটিরও বেশি। অপ্রকাশিত ছ’টি নাটক সম্প্রতি সঙ্কলন করেছেন সার্থক দাস। কিছু-কিছু নাটক অন্য ভাষায় অনূদিত হয়েছে। প্রকাশিত উপন্যাস দু’টি। প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত ছোটগল্প পঞ্চাশটির কাছাকাছি। প্রায় এক ডজন প্রবন্ধ- গ্রন্থ। দে’জ-এর বর্তমান প্রবন্ধ সংগ্রহের বাইরেও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে অজস্র প্রবন্ধ। দ্বিতীয় খণ্ডের কাজ চলছে। এই খণ্ডেও প্রবন্ধ সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় প্রথমটির সমান। কবিতা ছাড়া অন্য যে-সব অনুবাদের কাজ আছে, তার সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ইংরেজি বইও ডজনখানেক। আছে অর্ধশতাধিক ইংরেজি প্রবন্ধ। শিশিরকুমার দাশ কয়েকটি যৌথ সম্পাদনার কাজও করেছেন। আছে ছদ্মনামে লেখা রচনা।
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
চিকিৎসক আন্দোলন, কোন পথে? নিঃসন্দেহে, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর সরকারবিরোধী এই মাপের আন্দোলন কখনও দেখেনি।
জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন ধর্মঘট উঠে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত বাঙালি স্বস্তি পেয়েছে। আন্দোলনের ইতিবাচক দিক যেমন আছে, তেমনই শাসকের প্রতিক্রিয়া নিয়ে নানা বিতর্কও রয়েছে। এই প্রতিবাদ শাসককে নাড়া দিলেও আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
ভারতীয় দার্য্যের প্রতীক
ফোর্ড মোটর কোম্পানি ১৯০৮ সালে ‘মডেল টি’ গাড়ি চালু করে, যা জনসাধারণের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী হয়ে ওঠে। ১০০ বছর পর, ২০০৮ সালে রতন টাটা ‘ন্যানো’ গাড়ি নিয়ে বিশ্বমঞ্চে ওঠেন, যাকে বলা হয়েছিল ‘পিপলস কার’। টাটার নেতৃত্বে টাটা গ্রুপ বিশ্ববাজারে বিশাল অধিগ্রহণ করে, যেমন জাগুয়ার-ল্যান্ড রোভার, এবং গড়ে তোলে এক শক্তিশালী আন্তর্জাতিক উপস্থিতি।
মৃত্যুরূপা কালী, আজও
শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর কালীসাধনায় এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন, যা যুক্তিবোধ ও ভক্তির সমন্বয় করে। তাঁর গভীর আবেগে জীবনপণ করে কালীসাধনা কেবল আধ্যাত্মিক নয়, সামাজিক বিপ্লবেরও প্রতীক হয়ে ওঠে। স্বামী বিবেকানন্দ সেই বার্তা শক্তি ও সংগ্রামের পূজার রূপে প্রসারিত করেন।
দেশের খোঁজ
স্মৃতি, সত্তা, ভবিষ্যৎ একটা মাটির মণ্ডের মতো অর্বাচীন অবয়ব নিয়ে তার তাত্ত্বিক পরিণতিকে জব্দ করে চলে নিয়ত।
যারা শুনতে পেয়েছিল
রবি প্রতি রাতে দেওয়ালের ফিসফিস আওয়াজ শুনতে পায়। দেওয়াল তাকে গল্প শোনায়, পুরনো স্মৃতি আর লুকোনো রহস্যের কথা বলে। একদিন রবির দেওয়ালের কথার সত্যতা প্রমাণ হলে তার জীবন বদলে যায়।
নিঃসঙ্গ
ওখানেও দু'কামরার ঘর তুলে দিয়েছি।” লোকটার গলায় দীর্ঘশ্বাস। একটু চুপ করে থেকে লোকটা বলল, “চলি স্যর, নমস্কার।” লোকটা চলে গেল। একদম একা, নিঃসঙ্গ।
আনন্দময় অনন্তের উপলব্ধি
দু'টি পর্বে বিন্যস্ত অনুষ্ঠানটিতে রবীন্দ্র গান ও কবিতা পরস্পরের জন্য সযত্নে চালচিত্র নির্মাণ করে।
স্মৃতিমেদুরতা ও গূঢ় জীবনদর্শন সংস্কৃতির দু'টি নাট্য। একটিতে মনস্তাত্ত্বিক জটিলতার ভাষ্য, অন্যটিতে পুরুষতন্ত্রের সূক্ষ্ম অসুখ।
স্বাধীনতা-উত্তর ভারতে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশি নাটক আত্মস্থ করে বাংলার মঞ্চে নতুন প্রযোজনার পথ খুঁজেছিলেন। পিরানদেল্লো থেকে ব্রেশটের নাটকের বঙ্গীকরণে তিনি সমকালীন বাংলা থিয়েটারকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেন। দেবেশ চট্টোপাধ্যায় তাঁর পুনর্নির্মাণে আধুনিকতার সংযোজন করে বাংলা নাটকের ঐতিহ্য ও নতুনত্বকে মেলাতে চেষ্টা করেন।
তুষারচিতার ডেরায়
স্পিতি থেকে লাদাখ যাওয়ার রাস্তায় শেষ গ্রাম কিব্বের। তুষারচিতার ওম আর পর্যটন ব্যবসার সোনার কাঠির ছোঁয়ায় তা আড়মোড়া ভেঙে জাগছে।
চন্দননগরের বিপ্লবী সুবাস
আলোচ্য গ্রন্থে চন্দননগর মহাফেজখানার বহু মূল্যবান তথ্যাদি অনেক ক্ষেত্রেই এই প্রথমবার ব্যবহার করা হয়েছে।