হতে চাই না, তবু বইয়ের ডিজিটাল কপির শরণাপন্ন হতেই হয় অনেক সময়ে। কোনও একটি বইয়ের আশু প্রয়োজন, লাইব্রেরির কপিটি কেউ পড়তে নিয়েছেন, অ্যামাজনে কিনতেও দু’-তিনদিন লাগবে, নিজের আরও দশটা কাজ আছে, ইন্টারনেট ঘেঁটেও বইটি পাই না— এমন সময় কী করা? তখন গিয়ে ধরতে হয় ছাত্রদের। পিএইচ ডি ডিগ্রির জন্য পড়ছে এমন ছাত্রদের। শুনি যে, তারা নাকি আর বই কেনে না, বই ছাপাখানা থেকে বেরোতে-না-বেরোতেই বেআইনি সব পিডিএফ কপি বাজারে এসে যায়। আন্তর্জালে কোথায় নাকি এক রুশদেশি ঠিকানা আছে, যেখান থেকে দুনিয়ার সমস্ত বই নিজের কম্পিউটারে নামিয়ে নেওয়া যায়, পয়সা লাগে না। ভারত, পাকিস্তান, বা বাংলাদেশে এখনও ভাল লাইব্রেরির অভাব, বিদেশি বই সহজে প্রাপ্য নয়, তাই উপমহাদেশের ছাত্ররা বইয়ের এই বেআইনি কপি ডাউনলোড করে পড়তে অভ্যস্ত হয়েই বিদেশে আসেন উচ্চতর শিক্ষার জন্য। তাঁদের সম্বন্ধে নালিশ নয় এটা, এটা বাস্তব। আমি অবশ্য এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান ও মানবিকীবিদ্যার শিক্ষক-গবেষক হিসেবে যে-ধরনের বই পড়ি, মূলত সে সবের কথাই বলছি। কিন্তু কথাগুলো মনে হয় অনেকখানি গল্প-উপন্যাসের বই সম্বন্ধেও খাটবে।
সমবয়সি বন্ধুরা— যাঁরা এখনও বই পড়েন ও বেশ মন দিয়েই পড়েনতাঁরাও জানান যে, তাঁরা ফোনে বই পড়েন, আর বেশির ভাগ বই-ই পড়েন পিডিএফ কপিতে। কখনও-বা পড়েন কম্পিউটারে বা ট্যাবলেটে। কিংবা কিডল-এ। আজকাল বিদেশে বইয়ের প্রকাশকরা বইয়ের বৈদ্যুতিন সংস্করণ ছাপেন। সমাজবিজ্ঞান বা মানবিকীবিদ্যার অ্যাকাডেমিক বই হলে অনেক সময় অধ্যায়গুলি আলাদা করে বিক্রি করেন। সেই জন্য গবেষক-লেখকদের শুধু বইয়ের নয়, প্রতিটি পরিচ্ছেদের সারাংশ করে দিতে হয়, যাতে প্রকাশকরা একটি গোটা বইয়ের অধ্যায় ধরে ধরে আলাদা করে বিক্রি করতে পারেন। ভাবুন ব্যাপারটা— আপনি যত্ন করে একটি বই লিখলেন এবং বইটিকে সামগ্রিক ভাবে রচনা করে, অন্তত আপনার সাধ্য ও কল্পনা মতো, সেটিকে এক পূর্ণাঙ্গ অবয়ব দিলেন। অথচ অনেকেই পড়বেন বইটির ভগ্নাংশ মাত্র। শুধু তাই নয়, হয়তো সেই ভগ্নাংশ পড়েই বইটির সম্বন্ধে মতামত ঠিক করে আপনার লেখার তাঁরা কিছু বেশ ঝাঁজালো সমালোচনাও প্রকাশ করে দিলেন! নালিশ করে লাভ নেই। আজকের অতি ব্যস্ত পাঠকের অরণ্যে সে
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
চিকিৎসক আন্দোলন, কোন পথে? নিঃসন্দেহে, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর সরকারবিরোধী এই মাপের আন্দোলন কখনও দেখেনি।
জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন ধর্মঘট উঠে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত বাঙালি স্বস্তি পেয়েছে। আন্দোলনের ইতিবাচক দিক যেমন আছে, তেমনই শাসকের প্রতিক্রিয়া নিয়ে নানা বিতর্কও রয়েছে। এই প্রতিবাদ শাসককে নাড়া দিলেও আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
ভারতীয় দার্য্যের প্রতীক
ফোর্ড মোটর কোম্পানি ১৯০৮ সালে ‘মডেল টি’ গাড়ি চালু করে, যা জনসাধারণের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী হয়ে ওঠে। ১০০ বছর পর, ২০০৮ সালে রতন টাটা ‘ন্যানো’ গাড়ি নিয়ে বিশ্বমঞ্চে ওঠেন, যাকে বলা হয়েছিল ‘পিপলস কার’। টাটার নেতৃত্বে টাটা গ্রুপ বিশ্ববাজারে বিশাল অধিগ্রহণ করে, যেমন জাগুয়ার-ল্যান্ড রোভার, এবং গড়ে তোলে এক শক্তিশালী আন্তর্জাতিক উপস্থিতি।
মৃত্যুরূপা কালী, আজও
শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর কালীসাধনায় এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন, যা যুক্তিবোধ ও ভক্তির সমন্বয় করে। তাঁর গভীর আবেগে জীবনপণ করে কালীসাধনা কেবল আধ্যাত্মিক নয়, সামাজিক বিপ্লবেরও প্রতীক হয়ে ওঠে। স্বামী বিবেকানন্দ সেই বার্তা শক্তি ও সংগ্রামের পূজার রূপে প্রসারিত করেন।
দেশের খোঁজ
স্মৃতি, সত্তা, ভবিষ্যৎ একটা মাটির মণ্ডের মতো অর্বাচীন অবয়ব নিয়ে তার তাত্ত্বিক পরিণতিকে জব্দ করে চলে নিয়ত।
যারা শুনতে পেয়েছিল
রবি প্রতি রাতে দেওয়ালের ফিসফিস আওয়াজ শুনতে পায়। দেওয়াল তাকে গল্প শোনায়, পুরনো স্মৃতি আর লুকোনো রহস্যের কথা বলে। একদিন রবির দেওয়ালের কথার সত্যতা প্রমাণ হলে তার জীবন বদলে যায়।
নিঃসঙ্গ
ওখানেও দু'কামরার ঘর তুলে দিয়েছি।” লোকটার গলায় দীর্ঘশ্বাস। একটু চুপ করে থেকে লোকটা বলল, “চলি স্যর, নমস্কার।” লোকটা চলে গেল। একদম একা, নিঃসঙ্গ।
আনন্দময় অনন্তের উপলব্ধি
দু'টি পর্বে বিন্যস্ত অনুষ্ঠানটিতে রবীন্দ্র গান ও কবিতা পরস্পরের জন্য সযত্নে চালচিত্র নির্মাণ করে।
স্মৃতিমেদুরতা ও গূঢ় জীবনদর্শন সংস্কৃতির দু'টি নাট্য। একটিতে মনস্তাত্ত্বিক জটিলতার ভাষ্য, অন্যটিতে পুরুষতন্ত্রের সূক্ষ্ম অসুখ।
স্বাধীনতা-উত্তর ভারতে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশি নাটক আত্মস্থ করে বাংলার মঞ্চে নতুন প্রযোজনার পথ খুঁজেছিলেন। পিরানদেল্লো থেকে ব্রেশটের নাটকের বঙ্গীকরণে তিনি সমকালীন বাংলা থিয়েটারকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেন। দেবেশ চট্টোপাধ্যায় তাঁর পুনর্নির্মাণে আধুনিকতার সংযোজন করে বাংলা নাটকের ঐতিহ্য ও নতুনত্বকে মেলাতে চেষ্টা করেন।
তুষারচিতার ডেরায়
স্পিতি থেকে লাদাখ যাওয়ার রাস্তায় শেষ গ্রাম কিব্বের। তুষারচিতার ওম আর পর্যটন ব্যবসার সোনার কাঠির ছোঁয়ায় তা আড়মোড়া ভেঙে জাগছে।
চন্দননগরের বিপ্লবী সুবাস
আলোচ্য গ্রন্থে চন্দননগর মহাফেজখানার বহু মূল্যবান তথ্যাদি অনেক ক্ষেত্রেই এই প্রথমবার ব্যবহার করা হয়েছে।