এ | ই ইংরেজি বছরের ২৩ মে তাঁর একশো বছর পূর্ণ হবার কথা ছিল। কিন্তু তার কয়েক সপ্তাহ আগে, গত ২৮ এপ্রিল, তাঁর ভিয়েনার প্রান্তে পুর্কেসডর্ফে অবস্থিত বাসভবনে স্ত্রী মেখঠিল্ড গুহকে রেখে চলে গেলেন তিনি। ভারতবর্ষের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে একটি বিশ্ববিশ্রুত নাম; আমাদের অনেকের চিন্তায় একজন মোড়-ঘোরানো ব্যক্তিত্ব; সাম্প্রতিক কালে বয়োজ্যেষ্ঠ বাঙালি ভাবনাশিল্পীদের মধ্যে আপন বৈশিষ্ট্যে ও মৌলিকত্বে উজ্জ্বল এক মেধাবী মানুষ রণজিৎ গুহ। তাঁর পরিচিত বয়োকনিষ্ঠ বাঙালিদের—ও কিছু অবাঙালিদের— সম্বোধনে, ‘রণজিৎদা। সেই নামেই এখানে তাঁকে উল্লেখ করব। আজ চল্লিশ বছর তাঁকে ওই নামে সম্বোধন করি, হঠাৎ ‘শ্রীগুহ’ লিখতে কলম আড়ষ্ট হয়, কৃত্রিম ও অস্বাভাবিক লাগে। এ-কথা অবশ্যই সত্য যে, ব্যক্তিগতভাবে অপরিচিত রবীন্দ্রনাথকে আমরা সবাই লেখায় শুধু ‘রবীন্দ্রনাথ’ বলে যে উল্লেখ করি, তাতে তাঁর প্রতি প্রদর্শিত শ্রদ্ধার কোনও কমতি হয় না। কিন্তু যে-মানুষটিকে পরিচয়ের প্রথম দিন থেকেই ও পরে অনেক অন্তরঙ্গ পরিসরে ‘রণজিৎদা’ বলে ডেকেছি, তাঁর প্রতিষ্ঠিত ‘সাবঅল্টার্ন স্টাডিজ়’ গোষ্ঠীতে যাঁর ভূমিকা একজন পিতৃপুরুষের মতো, তাঁকে হঠাৎ ছাপার অক্ষরে শুধু ‘রণজিৎ’ বলে উল্লেখ করতে শুধু যে ব্যক্তিগত অস্বস্তি হয় তাই নয়, পরশুরামের সেই বিখ্যাত রসিকতাটি মনে পড়ে, ‘একে বাপ তায় বয়সে বড়’!
তাই ‘রণজিৎদা’ বলে উল্লেখ করেই ইতিহাসের ছাত্র হিসেবে তাঁর কাছে যা শিখেছি সে সম্বন্ধে আমার কিছু ভাবনা সংক্ষিপ্তভাবে পেশ করি। ১৯৭৯ সালে আমার সঙ্গে রণজিৎদার দ্বিতীয়বার দেখা। আমি তখন অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা শহরে ডক্টরেট ডিগ্রির জন্য গবেষণারত। আমি গবেষণার সূত্রে ইংল্যান্ডে যাই। রণজিৎদারা তার পরের বছর ক্যানবেরা চলে আসবেন। সেই ১৯৭৯ সালে তাঁরই উদার আমন্ত্রণে তাঁদের সাসেক্সের বাড়িতে একটি সপ্তাহান্ত কাটিয়ে আসি। রণজিৎদার নেতৃত্বে কতিপয় যুবা গবেষক তখন সাবঅল্টার্ন স্টাডিজ বা নিম্নবর্গের ইতিহাস বলে একটি প্রকল্পের কথা ভাবছেন, তাঁরা হলেন, ডেভিড হারডিম্যান, ডেভিড আর্নল্ড, জ্ঞান পাণ্ডে ও শহিদ আমিন। সে বছর যুক্ত হলাম আমি। আর ক্যানবেরা আসার পথে
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
চিকিৎসক আন্দোলন, কোন পথে? নিঃসন্দেহে, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর সরকারবিরোধী এই মাপের আন্দোলন কখনও দেখেনি।
জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন ধর্মঘট উঠে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত বাঙালি স্বস্তি পেয়েছে। আন্দোলনের ইতিবাচক দিক যেমন আছে, তেমনই শাসকের প্রতিক্রিয়া নিয়ে নানা বিতর্কও রয়েছে। এই প্রতিবাদ শাসককে নাড়া দিলেও আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
ভারতীয় দার্য্যের প্রতীক
ফোর্ড মোটর কোম্পানি ১৯০৮ সালে ‘মডেল টি’ গাড়ি চালু করে, যা জনসাধারণের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী হয়ে ওঠে। ১০০ বছর পর, ২০০৮ সালে রতন টাটা ‘ন্যানো’ গাড়ি নিয়ে বিশ্বমঞ্চে ওঠেন, যাকে বলা হয়েছিল ‘পিপলস কার’। টাটার নেতৃত্বে টাটা গ্রুপ বিশ্ববাজারে বিশাল অধিগ্রহণ করে, যেমন জাগুয়ার-ল্যান্ড রোভার, এবং গড়ে তোলে এক শক্তিশালী আন্তর্জাতিক উপস্থিতি।
মৃত্যুরূপা কালী, আজও
শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর কালীসাধনায় এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন, যা যুক্তিবোধ ও ভক্তির সমন্বয় করে। তাঁর গভীর আবেগে জীবনপণ করে কালীসাধনা কেবল আধ্যাত্মিক নয়, সামাজিক বিপ্লবেরও প্রতীক হয়ে ওঠে। স্বামী বিবেকানন্দ সেই বার্তা শক্তি ও সংগ্রামের পূজার রূপে প্রসারিত করেন।
দেশের খোঁজ
স্মৃতি, সত্তা, ভবিষ্যৎ একটা মাটির মণ্ডের মতো অর্বাচীন অবয়ব নিয়ে তার তাত্ত্বিক পরিণতিকে জব্দ করে চলে নিয়ত।
যারা শুনতে পেয়েছিল
রবি প্রতি রাতে দেওয়ালের ফিসফিস আওয়াজ শুনতে পায়। দেওয়াল তাকে গল্প শোনায়, পুরনো স্মৃতি আর লুকোনো রহস্যের কথা বলে। একদিন রবির দেওয়ালের কথার সত্যতা প্রমাণ হলে তার জীবন বদলে যায়।
নিঃসঙ্গ
ওখানেও দু'কামরার ঘর তুলে দিয়েছি।” লোকটার গলায় দীর্ঘশ্বাস। একটু চুপ করে থেকে লোকটা বলল, “চলি স্যর, নমস্কার।” লোকটা চলে গেল। একদম একা, নিঃসঙ্গ।
আনন্দময় অনন্তের উপলব্ধি
দু'টি পর্বে বিন্যস্ত অনুষ্ঠানটিতে রবীন্দ্র গান ও কবিতা পরস্পরের জন্য সযত্নে চালচিত্র নির্মাণ করে।
স্মৃতিমেদুরতা ও গূঢ় জীবনদর্শন সংস্কৃতির দু'টি নাট্য। একটিতে মনস্তাত্ত্বিক জটিলতার ভাষ্য, অন্যটিতে পুরুষতন্ত্রের সূক্ষ্ম অসুখ।
স্বাধীনতা-উত্তর ভারতে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশি নাটক আত্মস্থ করে বাংলার মঞ্চে নতুন প্রযোজনার পথ খুঁজেছিলেন। পিরানদেল্লো থেকে ব্রেশটের নাটকের বঙ্গীকরণে তিনি সমকালীন বাংলা থিয়েটারকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেন। দেবেশ চট্টোপাধ্যায় তাঁর পুনর্নির্মাণে আধুনিকতার সংযোজন করে বাংলা নাটকের ঐতিহ্য ও নতুনত্বকে মেলাতে চেষ্টা করেন।
তুষারচিতার ডেরায়
স্পিতি থেকে লাদাখ যাওয়ার রাস্তায় শেষ গ্রাম কিব্বের। তুষারচিতার ওম আর পর্যটন ব্যবসার সোনার কাঠির ছোঁয়ায় তা আড়মোড়া ভেঙে জাগছে।
চন্দননগরের বিপ্লবী সুবাস
আলোচ্য গ্রন্থে চন্দননগর মহাফেজখানার বহু মূল্যবান তথ্যাদি অনেক ক্ষেত্রেই এই প্রথমবার ব্যবহার করা হয়েছে।