৯৬২/৬৩ সাল হবে। তখন উত্তর কলকাতায় একটা এঁদো গলির মধ্যে অস্বাস্থ্যকর বোর্ডিং হাউসে বসবাস করি। আমার রুমমেট ছিল ত্রিদিব মালাকার (পরে দূরদর্শনের অধিকর্তা হয়েছিল)। তারই বন্ধু ছিল সমরেশ মজুমদার। মাঝে মাঝে আমাদের ঘরে হানা দিত। প্রাণচঞ্চল, ছটফটে ছেলে। কথাবার্তায় বুদ্ধির দীপ্তি। তখন শুনেছিলাম সমরেশ নাটক লেখে এবং অভিনয় করে। জলপাইগুড়ির ছেলে শুনে আমি একটু দ্রব হয়ে পড়ি ওর প্রতি। উত্তরবঙ্গ মানেই আপনজন। সমরেশ বেশ ডাকাবুকো ছেলে ছিল। তখনও গল্প বা উপন্যাস লিখত না, তবে পড়ত। এর কিছুকাল পরে আমি ওই বোর্ডিং ছেড়ে দক্ষিণ কলকাতায় এক মেস-এ চলে আসি, সমরেশের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ আর ছিল না। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই সমরেশ মজুমদারের লেখা দেশ পত্রিকায় বেরোল এবং প্রশংসিতও হল। শুনেছিলাম সমরেশ ইনকাম ট্যাক্সে চাকরি করে, তা ছাড়া নাটক নিয়ে ব্যস্ত। তাই দেখাসাক্ষাৎ বড় একটা হত না তখন। কিন্তু সমরেশের লেখার প্রশংসা শোনা যেত।
সাগরদার মতো জহুরি সম্পাদক কমই হয়। কয়েকটি গল্প প্রকাশের পরই সমরেশকে দিয়ে তিনি একটি উপন্যাস লিখিয়ে নিলেন। দৌড় চমৎকার উপন্যাস। প্রথম উপন্যাস হিসেবে খুবই পরিণত। চা-বাগানের ছেলে বলে ওর অভিজ্ঞতা ছিল প্রত্যক্ষ। তাই চা-বাগানের পটভূমি ওর পরবর্তী লেখায় চলে এল। সাগরদাই ওকে দিয়ে দেশ পত্রিকায় ধারাবাহিক ট্রিলজি লিখিয়েছিলেন। উত্তরাধিকার, কালবেলা, কালপুরুষ। এই তিনটি উপন্যাসের ভিতর দিয়ে বাঙালির হৃদয়ে রাস্তা তৈরি করে ফেলেছিল সমরেশ।
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
চিকিৎসক আন্দোলন, কোন পথে? নিঃসন্দেহে, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর সরকারবিরোধী এই মাপের আন্দোলন কখনও দেখেনি।
জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন ধর্মঘট উঠে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত বাঙালি স্বস্তি পেয়েছে। আন্দোলনের ইতিবাচক দিক যেমন আছে, তেমনই শাসকের প্রতিক্রিয়া নিয়ে নানা বিতর্কও রয়েছে। এই প্রতিবাদ শাসককে নাড়া দিলেও আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
ভারতীয় দার্য্যের প্রতীক
ফোর্ড মোটর কোম্পানি ১৯০৮ সালে ‘মডেল টি’ গাড়ি চালু করে, যা জনসাধারণের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী হয়ে ওঠে। ১০০ বছর পর, ২০০৮ সালে রতন টাটা ‘ন্যানো’ গাড়ি নিয়ে বিশ্বমঞ্চে ওঠেন, যাকে বলা হয়েছিল ‘পিপলস কার’। টাটার নেতৃত্বে টাটা গ্রুপ বিশ্ববাজারে বিশাল অধিগ্রহণ করে, যেমন জাগুয়ার-ল্যান্ড রোভার, এবং গড়ে তোলে এক শক্তিশালী আন্তর্জাতিক উপস্থিতি।
মৃত্যুরূপা কালী, আজও
শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর কালীসাধনায় এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন, যা যুক্তিবোধ ও ভক্তির সমন্বয় করে। তাঁর গভীর আবেগে জীবনপণ করে কালীসাধনা কেবল আধ্যাত্মিক নয়, সামাজিক বিপ্লবেরও প্রতীক হয়ে ওঠে। স্বামী বিবেকানন্দ সেই বার্তা শক্তি ও সংগ্রামের পূজার রূপে প্রসারিত করেন।
দেশের খোঁজ
স্মৃতি, সত্তা, ভবিষ্যৎ একটা মাটির মণ্ডের মতো অর্বাচীন অবয়ব নিয়ে তার তাত্ত্বিক পরিণতিকে জব্দ করে চলে নিয়ত।
যারা শুনতে পেয়েছিল
রবি প্রতি রাতে দেওয়ালের ফিসফিস আওয়াজ শুনতে পায়। দেওয়াল তাকে গল্প শোনায়, পুরনো স্মৃতি আর লুকোনো রহস্যের কথা বলে। একদিন রবির দেওয়ালের কথার সত্যতা প্রমাণ হলে তার জীবন বদলে যায়।
নিঃসঙ্গ
ওখানেও দু'কামরার ঘর তুলে দিয়েছি।” লোকটার গলায় দীর্ঘশ্বাস। একটু চুপ করে থেকে লোকটা বলল, “চলি স্যর, নমস্কার।” লোকটা চলে গেল। একদম একা, নিঃসঙ্গ।
আনন্দময় অনন্তের উপলব্ধি
দু'টি পর্বে বিন্যস্ত অনুষ্ঠানটিতে রবীন্দ্র গান ও কবিতা পরস্পরের জন্য সযত্নে চালচিত্র নির্মাণ করে।
স্মৃতিমেদুরতা ও গূঢ় জীবনদর্শন সংস্কৃতির দু'টি নাট্য। একটিতে মনস্তাত্ত্বিক জটিলতার ভাষ্য, অন্যটিতে পুরুষতন্ত্রের সূক্ষ্ম অসুখ।
স্বাধীনতা-উত্তর ভারতে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশি নাটক আত্মস্থ করে বাংলার মঞ্চে নতুন প্রযোজনার পথ খুঁজেছিলেন। পিরানদেল্লো থেকে ব্রেশটের নাটকের বঙ্গীকরণে তিনি সমকালীন বাংলা থিয়েটারকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেন। দেবেশ চট্টোপাধ্যায় তাঁর পুনর্নির্মাণে আধুনিকতার সংযোজন করে বাংলা নাটকের ঐতিহ্য ও নতুনত্বকে মেলাতে চেষ্টা করেন।
তুষারচিতার ডেরায়
স্পিতি থেকে লাদাখ যাওয়ার রাস্তায় শেষ গ্রাম কিব্বের। তুষারচিতার ওম আর পর্যটন ব্যবসার সোনার কাঠির ছোঁয়ায় তা আড়মোড়া ভেঙে জাগছে।
চন্দননগরের বিপ্লবী সুবাস
আলোচ্য গ্রন্থে চন্দননগর মহাফেজখানার বহু মূল্যবান তথ্যাদি অনেক ক্ষেত্রেই এই প্রথমবার ব্যবহার করা হয়েছে।