সমরেশদার কথা বলতে গেলে আমি যে-পাড়ার লোক, সেই পাড়ার কথা চলেই আসে। শ্যামপুকুর এমন একটি বিশিষ্ট অঞ্চল, যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে শ্রীরামকৃষ্ণ থেকে শুরু করে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র, রবিন মজুমদার, যূথিকা রায়, দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, বিকাশ ভট্টাচার্য, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, প্রদ্যুৎ ভদ্র, মহেন্দ্র গুপ্ত, গৌরী ঘোষ এমন সব বিখ্যাত নাম। সেই তালিকার আর-একজন বিশিষ্ট মানুষ সমরেশ মজুমদার। তবে জন্মগত ভাবে এই এলাকার না হয়েও সমরেশ মজুমদার যে ভাবে দীর্ঘদিন ধরে শ্যামপুকুরে থেকে গিয়েছিলেন, সে ভাবে অন্যরা কেউ থাকেননি। তাঁর চলে যাওয়া তাই শ্যামপুকুরের এক অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে-সঙ্গে শ্যামপুকুরের সেই সব বিশিষ্ট মানুষের ঘরানার শেষ প্রদীপটি যেন নিভে গেল।
সমরেশ মজুমদারের ছোটবেলা কেটেছে উত্তরবঙ্গে। শ্যামপুকুর আসলে তাঁর শ্বশুরবাড়ির এলাকা। সমরেশদার সঙ্গে পরিচয় সেই '৮২-৮৩ সাল থেকে, যখন থেকে সমরেশদা পাকাপাকি ভাবে শ্যামপুকুরে থাকতে শুরু করেছেন। তখন আমি দেশ পত্রিকায় কালবেলা, কালপুরুষ পড়ছি। সমরেশদা সে সময়ে ইনকাম ট্যাক্সে চাকরি করতেন। দৌড়-এর বিপুল জনপ্রিয়তা এবং পরবর্তীকালের বিখ্যাত উপন্যাসগুলি তাঁকে খ্যাতির শীর্ষে নিয়ে যায়। পুরোদস্তুর পেশাদার লেখক হওয়ার তাগিদে তিনি ইনকাম ট্যাক্সের চাকরি ছেড়ে দিলেন। সমরেশদা যখন ইনকাম ট্যাক্সের চাকরিটা ছেড়ে দিলেন, তখন সকালের রকের আড্ডাটা যেমন চলত, সেই আড্ডাটা সকাল দশটার পর চলে আসত সমরেশদার বাড়ির নীচের ঘরে। সেই আড্ডায় যাঁরা এখানে থাকতেন তাঁরা তো আসতেনই, আসতেন অনেক তরুণ সাহিত্যিক। তাঁদের মধ্যে বিশেষ করে অনীশ দেব, অমর মিত্র প্রায়ই থাকতেন, সংস্কৃতি জগতের আরও অনেক লোক আসতেন সেই আড্ডায়।
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
চিকিৎসক আন্দোলন, কোন পথে? নিঃসন্দেহে, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর সরকারবিরোধী এই মাপের আন্দোলন কখনও দেখেনি।
জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন ধর্মঘট উঠে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত বাঙালি স্বস্তি পেয়েছে। আন্দোলনের ইতিবাচক দিক যেমন আছে, তেমনই শাসকের প্রতিক্রিয়া নিয়ে নানা বিতর্কও রয়েছে। এই প্রতিবাদ শাসককে নাড়া দিলেও আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
ভারতীয় দার্য্যের প্রতীক
ফোর্ড মোটর কোম্পানি ১৯০৮ সালে ‘মডেল টি’ গাড়ি চালু করে, যা জনসাধারণের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী হয়ে ওঠে। ১০০ বছর পর, ২০০৮ সালে রতন টাটা ‘ন্যানো’ গাড়ি নিয়ে বিশ্বমঞ্চে ওঠেন, যাকে বলা হয়েছিল ‘পিপলস কার’। টাটার নেতৃত্বে টাটা গ্রুপ বিশ্ববাজারে বিশাল অধিগ্রহণ করে, যেমন জাগুয়ার-ল্যান্ড রোভার, এবং গড়ে তোলে এক শক্তিশালী আন্তর্জাতিক উপস্থিতি।
মৃত্যুরূপা কালী, আজও
শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর কালীসাধনায় এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন, যা যুক্তিবোধ ও ভক্তির সমন্বয় করে। তাঁর গভীর আবেগে জীবনপণ করে কালীসাধনা কেবল আধ্যাত্মিক নয়, সামাজিক বিপ্লবেরও প্রতীক হয়ে ওঠে। স্বামী বিবেকানন্দ সেই বার্তা শক্তি ও সংগ্রামের পূজার রূপে প্রসারিত করেন।
দেশের খোঁজ
স্মৃতি, সত্তা, ভবিষ্যৎ একটা মাটির মণ্ডের মতো অর্বাচীন অবয়ব নিয়ে তার তাত্ত্বিক পরিণতিকে জব্দ করে চলে নিয়ত।
যারা শুনতে পেয়েছিল
রবি প্রতি রাতে দেওয়ালের ফিসফিস আওয়াজ শুনতে পায়। দেওয়াল তাকে গল্প শোনায়, পুরনো স্মৃতি আর লুকোনো রহস্যের কথা বলে। একদিন রবির দেওয়ালের কথার সত্যতা প্রমাণ হলে তার জীবন বদলে যায়।
নিঃসঙ্গ
ওখানেও দু'কামরার ঘর তুলে দিয়েছি।” লোকটার গলায় দীর্ঘশ্বাস। একটু চুপ করে থেকে লোকটা বলল, “চলি স্যর, নমস্কার।” লোকটা চলে গেল। একদম একা, নিঃসঙ্গ।
আনন্দময় অনন্তের উপলব্ধি
দু'টি পর্বে বিন্যস্ত অনুষ্ঠানটিতে রবীন্দ্র গান ও কবিতা পরস্পরের জন্য সযত্নে চালচিত্র নির্মাণ করে।
স্মৃতিমেদুরতা ও গূঢ় জীবনদর্শন সংস্কৃতির দু'টি নাট্য। একটিতে মনস্তাত্ত্বিক জটিলতার ভাষ্য, অন্যটিতে পুরুষতন্ত্রের সূক্ষ্ম অসুখ।
স্বাধীনতা-উত্তর ভারতে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশি নাটক আত্মস্থ করে বাংলার মঞ্চে নতুন প্রযোজনার পথ খুঁজেছিলেন। পিরানদেল্লো থেকে ব্রেশটের নাটকের বঙ্গীকরণে তিনি সমকালীন বাংলা থিয়েটারকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেন। দেবেশ চট্টোপাধ্যায় তাঁর পুনর্নির্মাণে আধুনিকতার সংযোজন করে বাংলা নাটকের ঐতিহ্য ও নতুনত্বকে মেলাতে চেষ্টা করেন।
তুষারচিতার ডেরায়
স্পিতি থেকে লাদাখ যাওয়ার রাস্তায় শেষ গ্রাম কিব্বের। তুষারচিতার ওম আর পর্যটন ব্যবসার সোনার কাঠির ছোঁয়ায় তা আড়মোড়া ভেঙে জাগছে।
চন্দননগরের বিপ্লবী সুবাস
আলোচ্য গ্রন্থে চন্দননগর মহাফেজখানার বহু মূল্যবান তথ্যাদি অনেক ক্ষেত্রেই এই প্রথমবার ব্যবহার করা হয়েছে।