আজ মনে হয় কী ভাগ্যিস সেদিন কাকাকে বলেছিলাম মৃণাল সেনের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়ার কথা। আসলে মুখে যতই না বলি, আমার মনে হয় ভাগ্য জিনিসটা মানুষের জীবনে গতিপথ নির্ধারণের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। নয়তো আমার মতো একজন মানুষ, যার অভিনয় নিয়ে কোনও অভিজ্ঞতাই নেই, প্রথাগত শিক্ষা নেই, বাড়ির কাউকে কোনও দিন দেখেনি অভিনয় করতে, শুধু ইচ্ছে হয়েছে বলেই মৃণাল সেন তাঁর স্ক্রিন টেস্ট নেবেন কেন? আমার মতো ইচ্ছে তো বাংলার সত্তর শতাংশ ছেলেরই হয়েছে কোনও না-কোনও সময়। নিজেকে পর্দায় দেখতে পাওয়ার লোভ কার না থাকে? আমাদের মল্লিক বাড়িতে অভিনয় বলতে হত শুধু নাটক। তাও দুর্গাপুজোর নবমীর দিন, নয়তো কোনও শনিবার ওই একটা দিনই দেখতাম, বাড়ির বাবা-কাকাদাদারা রং মেখে দালানে নাটক মঞ্চস্থ করছেন। তাতে আমিও শামিল হয়ে গিয়েছিলাম। আর শু সেই অভিজ্ঞতায় ভর করে মৃণাল সেনের কাছে অভিনয়ের আবদার করতে গিয়েছিলাম। কেন করেছিলাম, তা আজ আর মনে পড়ে না। তবে এটা ঠিক, মৃণাল সেন তখন যে-ধরনের ছবি তৈি করছেন, তার সঙ্গে একাত্মবোধ করতে পারতাম হয়তো ওঁর ছবি দেখেই মনে হয়েছিল, মানুষটার কাছে অ্যাপ্রোচ করা যায়। তা ছাড়া সেই সময় একটি পত্রিকায় ওঁকে নিয়ে খবর বেরিয়েছিল। তাতে লেখা ছিল, তিনি যুবকদের সমস্যা নিয়ে ছবি করতে চলেছেন। এবার এই সমস্যার প্রত্যক্ষ সাক্ষী তো আমরা। ছয়-সাতের দশকে উত্তাল রাজনীতির আঁচে পুড়ছি সকলে। সেই জায়গা থেকেই আমার কাকা বিমল মল্লিককে বলেছিলাম, যদি একবার মৃণাল সেনের সঙ্গে আমায় দেখা করিয়ে দেন। কাকা মৃণাল সেনের বন্ধু ছিলেন। কাকা বিনা বাক্যব্যয়ে আমাকে ওঁর কাছে নিয়ে যান। আমি নিজের পরিচয় দেওয়ার পর বলেছিলাম, ‘আমি আপনার ছবিতে কাজ করতে চাই। আপনার পরের ছবির সাবজেক্ট ম্যাটার নিয়ে আমার ধারণা আছে।' মৃণালবাবুর আমাকে দেখে কী মনে হল কে জানে, দিনকয়েব পরে ডেকে নিলেন দক্ষিণ কলকাতার লেকের কাছে। সেদিন ওঁর সঙ্গে ছিলেন ওঁর পছন্দের সিনেমাটোগ্রাফার কে কে মহাজন।
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
চিকিৎসক আন্দোলন, কোন পথে? নিঃসন্দেহে, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর সরকারবিরোধী এই মাপের আন্দোলন কখনও দেখেনি।
জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন ধর্মঘট উঠে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত বাঙালি স্বস্তি পেয়েছে। আন্দোলনের ইতিবাচক দিক যেমন আছে, তেমনই শাসকের প্রতিক্রিয়া নিয়ে নানা বিতর্কও রয়েছে। এই প্রতিবাদ শাসককে নাড়া দিলেও আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
ভারতীয় দার্য্যের প্রতীক
ফোর্ড মোটর কোম্পানি ১৯০৮ সালে ‘মডেল টি’ গাড়ি চালু করে, যা জনসাধারণের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী হয়ে ওঠে। ১০০ বছর পর, ২০০৮ সালে রতন টাটা ‘ন্যানো’ গাড়ি নিয়ে বিশ্বমঞ্চে ওঠেন, যাকে বলা হয়েছিল ‘পিপলস কার’। টাটার নেতৃত্বে টাটা গ্রুপ বিশ্ববাজারে বিশাল অধিগ্রহণ করে, যেমন জাগুয়ার-ল্যান্ড রোভার, এবং গড়ে তোলে এক শক্তিশালী আন্তর্জাতিক উপস্থিতি।
মৃত্যুরূপা কালী, আজও
শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর কালীসাধনায় এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন, যা যুক্তিবোধ ও ভক্তির সমন্বয় করে। তাঁর গভীর আবেগে জীবনপণ করে কালীসাধনা কেবল আধ্যাত্মিক নয়, সামাজিক বিপ্লবেরও প্রতীক হয়ে ওঠে। স্বামী বিবেকানন্দ সেই বার্তা শক্তি ও সংগ্রামের পূজার রূপে প্রসারিত করেন।
দেশের খোঁজ
স্মৃতি, সত্তা, ভবিষ্যৎ একটা মাটির মণ্ডের মতো অর্বাচীন অবয়ব নিয়ে তার তাত্ত্বিক পরিণতিকে জব্দ করে চলে নিয়ত।
যারা শুনতে পেয়েছিল
রবি প্রতি রাতে দেওয়ালের ফিসফিস আওয়াজ শুনতে পায়। দেওয়াল তাকে গল্প শোনায়, পুরনো স্মৃতি আর লুকোনো রহস্যের কথা বলে। একদিন রবির দেওয়ালের কথার সত্যতা প্রমাণ হলে তার জীবন বদলে যায়।
নিঃসঙ্গ
ওখানেও দু'কামরার ঘর তুলে দিয়েছি।” লোকটার গলায় দীর্ঘশ্বাস। একটু চুপ করে থেকে লোকটা বলল, “চলি স্যর, নমস্কার।” লোকটা চলে গেল। একদম একা, নিঃসঙ্গ।
আনন্দময় অনন্তের উপলব্ধি
দু'টি পর্বে বিন্যস্ত অনুষ্ঠানটিতে রবীন্দ্র গান ও কবিতা পরস্পরের জন্য সযত্নে চালচিত্র নির্মাণ করে।
স্মৃতিমেদুরতা ও গূঢ় জীবনদর্শন সংস্কৃতির দু'টি নাট্য। একটিতে মনস্তাত্ত্বিক জটিলতার ভাষ্য, অন্যটিতে পুরুষতন্ত্রের সূক্ষ্ম অসুখ।
স্বাধীনতা-উত্তর ভারতে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশি নাটক আত্মস্থ করে বাংলার মঞ্চে নতুন প্রযোজনার পথ খুঁজেছিলেন। পিরানদেল্লো থেকে ব্রেশটের নাটকের বঙ্গীকরণে তিনি সমকালীন বাংলা থিয়েটারকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেন। দেবেশ চট্টোপাধ্যায় তাঁর পুনর্নির্মাণে আধুনিকতার সংযোজন করে বাংলা নাটকের ঐতিহ্য ও নতুনত্বকে মেলাতে চেষ্টা করেন।
তুষারচিতার ডেরায়
স্পিতি থেকে লাদাখ যাওয়ার রাস্তায় শেষ গ্রাম কিব্বের। তুষারচিতার ওম আর পর্যটন ব্যবসার সোনার কাঠির ছোঁয়ায় তা আড়মোড়া ভেঙে জাগছে।
চন্দননগরের বিপ্লবী সুবাস
আলোচ্য গ্রন্থে চন্দননগর মহাফেজখানার বহু মূল্যবান তথ্যাদি অনেক ক্ষেত্রেই এই প্রথমবার ব্যবহার করা হয়েছে।